মহানগর প্রতিবেদন ঃ: যানজটে বিখ্যাত শহর ঢাকা। দীর্ঘ যানজটে মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে। শহরে বলতে গেলে প্রায় সারাদিন যানজট থাকলেও সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা এবং বিকেল ৫টায় অফিস ছুটির পর যানজটের মাত্রা হয় অসহনীয়। প্রতিটি ট্রাফিক সিগন্যাল পার হতেই লেগে যায় ১৫-২০ মিনিট।
সরেজমিন কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, নয়াপল্টন ও গুলিস্তান এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি সড়কেই যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। তবে গুলিস্তান এলাকায় যানজটের মাত্রা ভয়াবহ। কারওয়ান বাজার থেকে সদরঘাট যাওয়ার জন্য হাতে রাখতে হয় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। যাত্রীদের অধিকাংশের ভাষ্য, এ পথ যেতে ৩০ মিনিটও লাগার কথা না।
এই পথে যাতায়াত করতে গিয়ে কারওয়ান বাজার, বাংলা মটর, শাহাবাগ, নয়া পল্টন প্রত্যেকটা মোড়েই যাত্রীদের আটকে থাকতে হয়ে দীর্ঘক্ষণ। এরপর নয়া পল্টন পার হয়ে গুলিস্তানের সিগন্যালে কাটে দীর্ঘক্ষণ। আবার পুরান ঢাকা এলাকার প্রত্যেকটি সড়কে কোনো সিগন্যাল ছাড়াই কাটে দীর্ঘসময়।
গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে কর্তব্যরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সাগর বলেন, যানজট কমাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় প্রত্যেকটি অফিস-আদালত এখন সচল। অফিস আওয়ারে সমস্যা আরও বেশি হয়। তখন মানুষজনের প্রচুর চাপ থাকে।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি সমস্যা সৃষ্টি করে রিক্সা। ঢাকা শহরে রিক্সা চলাচল প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। রিক্সার সমস্যা হচ্ছে, এরা যান চলাচলের গতি মন্থর করে দেয়। গ্রাম থেকে প্রচুর লোক নতুন করে ঢাকা শহরে রিক্সা চালাতে আসছেন। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে প্রাইভেটকারও বেড়েছে। কাগজপত্র ঠিক থাকলেও অতিরিক্ত পরিমাণ গাড়ি যানজট সৃষ্টি করছে।
বাসগুলোর প্রতিযোগিতা ও রাস্তা দখল করে যাত্রী তোলা-নামানোর বিষয়ে আপনারা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করি বিষয়গুলো বন্ধ করার। আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং তা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া মেট্রো রেলের কাজ চলার কারণে রাস্তা সংকুচিত হয়ে গেছে। এই পথে যানজটের এটিও একটি কারণ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কারওয়ান বাজার থেকে সদরঘাটগামী এক যাত্রী বলেন, প্রায় প্রতিদিনই এই পথে একই অবস্থা। শুক্রবার বা বন্ধের দিন ছাড়া প্রতিটি দিন এখন একই অবস্থা থাকে। প্রায় ২-৩ ঘণ্টা হাতে রেখেই আমাকে বের হতে হয়। পরিবার এই দিকে (কারওয়ান বাজার) থাকে, তাই চাইলেও ওই দিকে চলে যেতে পারছি না।
যানজটের ঢাকায় ৩০ মিনিটের রাস্তা ৩ ঘণ্টা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ