প্রত্যাশা ডেস্ক : উড়তে থাকা এমব্রায়ার-১৯০ উড়োজাহাজটি হঠাৎ ধেয়ে গেলো নাক নিচু করে; আছড়ে পড়ল মাটিতে, আগুন ধরে কালো ধোঁয়ায় বিশাল কুণ্ডলী উঠল আকাশে; ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৩৮ জনের। বুধবার আজারবাইজানের ওই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা স্পষ্ট ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। বিধ্বস্ত হওয়ার মুহূর্তে যাত্রীদের করা ভিডিও ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বিমানের এক যাত্রীর শেষ মুহূর্তে করা ভিডিও সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে বারবার ‘আল্লাহু আকবর’ বলছিলেন।
কলেমা পড়ছিলেন। ভেতরে যাত্রীরা চিৎকার করছিল। বিপদ আসন্ন জেনে বিমানের ক্রুরা যাত্রীদের বারবার সিটবেল্ট পড়তে বলছিলেন। ফ্লাইট রেডারের তথ্যে এনডিটিভি লিখেছে, উড়োজাহাজটি স্বাভাবিক রুটের বাইরে ছিল। সেটি কাস্পিয়ান সাগর পার হচ্ছিল। এরপর আকাশে চক্কর মারতে মারতে একপর্যায়ে মাটিতে নেমে আসে। আজারবাইজানের বাকু থেকে চেচনিয়ার রাজধানী গ্রজনিতে যাচ্ছিল উড়োজাহাজটি। ৬৭ জন যাত্রী এবং পাঁচজন ক্রু ছিলেন সেখানে, যাদের বেশিরভাগই আজারবাইজানের নাগরিক। রাশিয়া, কাজাখস্তান ও কিরগিজস্তানের যাত্রীও ছিলেন।
রয়টার্স লিখেছে, আকাশে উড়তে থাকা উড়োজাহাজটিতে ত্রুটি ধরা পড়লে সেটি জরুরি অবতরণের চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত সেটি কাজাখস্তানের আকতাউ বিমানবন্দরের তিন কিলোমিটার দূরে কাস্পিয়ান সাগরে পূর্ব তীরে আছড়ে পড়ে। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরের চিত্র উঠে এসেছে আরো দুটা ভিডিওতে। আহত যাত্রীরা চিৎকার করছিলেন। তারা উদ্ধারকর্মীদের সাহায্য চাইছিলেন। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, কুয়াশার কারণে যাত্রাপথ পরিবর্তন করেছিল উড়োজাহাজটি।
পরে আকতাউ বিমানবন্দরের কাছে সেটি বিধ্বস্ত হয়। রাশিয়ার এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে তাদের ধারণা হয়েছে, পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর পাইলট জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন।