ঢাকা ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

যশোর শিক্ষা বোর্ডে ৭ কোটি টাকা লোপাটের সত্যতা মিলেছে

  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : যশোর শিক্ষা বোর্ডে ৭ কোটি টাকার চেক জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত শেষে ঢাকায় ফিরেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টিম। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার (৯ ও ১০ আগস্ট) তদন্ত কাজ শেষে শনিবার (১৩ আগস্ট) ঢাকায় ফিরে জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কমিটির সদস্যরা। ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৩৮টি চেকে জালিয়াতির মাধ্যমে লোপাট করা হয় ৭ কোটি টাকা। এ ঘটনার পর বোর্ড কর্তৃপক্ষ যশোর দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমেই দুদক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় মামলা করে। এতে আসামি করা হয় ৫ জনকে।
অভিযুক্তরা হলেন- শিক্ষাবোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এএমএইচ আলী আর রেজা, কর্মচারী আব্দুস সালাম, জালিয়াতি চক্রের প্রধান ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু ও শেখহাটী জামরুলতলা এলাকার শাহী লাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলম। চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ গত ১৪ জুলাই কর্মচারী আবদুস সালামকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করে। তবে, তাকে চূড়ান্ত বরখাস্তের পর মামলায় তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। এতে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। গত বুধবার (১১ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নির্দেশে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মো. আজমতগীরের নেতৃত্বে দুই সদস্যর টিম যশোর বোর্ডে তদন্তে আসেন। তারা বর্তমান চেয়ারম্যান, সচিব, অডিট অফিসার, হিসাব শাখার উপ-পরিচালকের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথাবার্তা বলেছেন এবং হিসাবের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। বোর্ডের হিসাব ও নিরীক্ষা শাখার উপ-পরিচালক এমদাদুল হক বলেন, তদন্তকাজ শেষ হয়েছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহসান হাবীব জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বোর্ডে সব অনিয়ম, দুর্নীতির তদন্ত করতে দুই সদস্যর কমিটি তাদের কাজ শেষে ঢাকায় ফিরে গেছেন। আমরা চাই এ তদন্তের মাধ্যমে চেক জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীরা সামনে আসুক। তাদের শাস্তি হোক। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর বলেন, যশোর শিক্ষা বোর্ডে জালিয়াতির মাধ্যমে ৭ কোটি টাকা লোপাটের সত্যতা মিলেছে। কর্মচারী আবদুস সালামের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও খুঁজে বের করা হবে। আমরা শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেব।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যশোর শিক্ষা বোর্ডে ৭ কোটি টাকা লোপাটের সত্যতা মিলেছে

আপডেট সময় : ১০:৫৫:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : যশোর শিক্ষা বোর্ডে ৭ কোটি টাকার চেক জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত শেষে ঢাকায় ফিরেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টিম। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার (৯ ও ১০ আগস্ট) তদন্ত কাজ শেষে শনিবার (১৩ আগস্ট) ঢাকায় ফিরে জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কমিটির সদস্যরা। ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৩৮টি চেকে জালিয়াতির মাধ্যমে লোপাট করা হয় ৭ কোটি টাকা। এ ঘটনার পর বোর্ড কর্তৃপক্ষ যশোর দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমেই দুদক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় মামলা করে। এতে আসামি করা হয় ৫ জনকে।
অভিযুক্তরা হলেন- শিক্ষাবোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এএমএইচ আলী আর রেজা, কর্মচারী আব্দুস সালাম, জালিয়াতি চক্রের প্রধান ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু ও শেখহাটী জামরুলতলা এলাকার শাহী লাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলম। চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ গত ১৪ জুলাই কর্মচারী আবদুস সালামকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করে। তবে, তাকে চূড়ান্ত বরখাস্তের পর মামলায় তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। এতে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। গত বুধবার (১১ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নির্দেশে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মো. আজমতগীরের নেতৃত্বে দুই সদস্যর টিম যশোর বোর্ডে তদন্তে আসেন। তারা বর্তমান চেয়ারম্যান, সচিব, অডিট অফিসার, হিসাব শাখার উপ-পরিচালকের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথাবার্তা বলেছেন এবং হিসাবের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। বোর্ডের হিসাব ও নিরীক্ষা শাখার উপ-পরিচালক এমদাদুল হক বলেন, তদন্তকাজ শেষ হয়েছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহসান হাবীব জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বোর্ডে সব অনিয়ম, দুর্নীতির তদন্ত করতে দুই সদস্যর কমিটি তাদের কাজ শেষে ঢাকায় ফিরে গেছেন। আমরা চাই এ তদন্তের মাধ্যমে চেক জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীরা সামনে আসুক। তাদের শাস্তি হোক। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর বলেন, যশোর শিক্ষা বোর্ডে জালিয়াতির মাধ্যমে ৭ কোটি টাকা লোপাটের সত্যতা মিলেছে। কর্মচারী আবদুস সালামের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও খুঁজে বের করা হবে। আমরা শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেব।