ঢাকা ১২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

যশোর বোর্ডে দশ বছর নিয়োগ বন্ধ, অর্ধেক পদ শূন্য

  • আপডেট সময় : ০২:২৪:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে দশ বছর ধরে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। ২৫৪টির মধ্যে এখন ১২৫টি পদ শূন্য রয়েছে।
কর্মরতরা জানান, লোকবল কমে যাওয়ায় বর্তমান কর্মরতদের উপর কাজের চাপ বেড়েছে। সঠিকভাবে সঠিক সময়ে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বোর্ডের কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার জনবল নিয়োগের অনুরোধ করা হলেও কোনো কাজ হয়নি বলে জানান ইউনিয়নের নেতারা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন। অনুমতি চাওয়া হয়েছে; নিয়োগের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাস মিলেছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদ আল হাবীব জানান, ২০১২ সালের পর কোনো নিয়োগ হয়নি শিক্ষা বোর্ডে। জনবল কাঠামো অনুযায়ী বোর্ডে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার জন্য অনুমোদিত পদ রয়েছে ২৫টি। এর মধ্যে একটি শূন্য রয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণির ২৩টি অনুমোদিত পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে ৭টি। তৃতীয় শ্রেণির সেকশন অফিসার ও সমমর্যাদার ১৯টি পদের মধ্যে চারটি শূন্য রয়েছে। একই শ্রেণির উচ্চমান সহকারী পদমর্যাদার ৫১টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৩০টি। নি¤œমান সহকারী ও সমমর্যাদায় ৫৩টি পদের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ৩৯টি। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের অনুমোদিত ১২৩টি পদের মধ্যে ৫০টি শূন্য। চতুর্থ শ্রেণির ৮৩টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৪৪টি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, প্রথম শ্রেণির ২৫টি পদের বিপরীতে ২৪ জন কর্মরত থাকলেও তাদের সহকারী বা ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির জনবল কম রয়েছে। এ কারণে বোর্ড এখন মাথাভারী প্রশাসনে পরিণত হয়েছে। কর্মকর্তা আছেন, কর্মচারী নেই – এমন অবস্থা বিরাজ করছে।
কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদ আল হাবীব আরও জানান, শূন্য পদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কারণ, এদিকে বছরের পর বছর নিয়োগ নেই। তারপরও প্রতি মাসে দুই একজন করে অবসরজনিত কারণে পিআরএল-এ চলে যাচ্ছেন। কারো কারো মৃত্যুও হয়েছে। গত মাসে পাঁচটি পদ শূন্য হয়েছে। তিনটি পিআরএল-এর কারণে ও দুইটি মৃত্যুজনিত কারণে। দ্রুত আরও তিনজন অবসরে যাবেন।
“লোকবল কমে কাজের চাপ বেড়েছে। সঠিকভাবে সঠিক সময়ে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কর্মচারী নিয়োগের জন্যে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন মহলে কথা বললেও নিয়োগ হয়নি।”
যশোর শিক্ষা বোর্ড এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, “এর আগে চেয়ারম্যান অধ্যাপক এমএ আলীম এবং অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন স্যারকে একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে। তারা উদ্যোগ নেবেন বলে দিন পার করেছেন। বাস্তবে জনবল বৃদ্ধি হয়নি।”
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়রম্যান অধ্যাপক আহসান হাবীব জনবল সংকটকে চরম সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, লোকবল কম থাকায় কাজের ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব আয়ে কর্মচারীদের বেতন দিতে হলেও নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়।
“বর্তমান শিক্ষা সচিব মো. আবু বক্কার সিদ্দিকীর কাছে চলতি মাসে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। সার্বিক বিষয় শুনে শিক্ষা সচিব দ্রুত বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যশোর বোর্ডে দশ বছর নিয়োগ বন্ধ, অর্ধেক পদ শূন্য

আপডেট সময় : ০২:২৪:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে দশ বছর ধরে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। ২৫৪টির মধ্যে এখন ১২৫টি পদ শূন্য রয়েছে।
কর্মরতরা জানান, লোকবল কমে যাওয়ায় বর্তমান কর্মরতদের উপর কাজের চাপ বেড়েছে। সঠিকভাবে সঠিক সময়ে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বোর্ডের কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার জনবল নিয়োগের অনুরোধ করা হলেও কোনো কাজ হয়নি বলে জানান ইউনিয়নের নেতারা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন। অনুমতি চাওয়া হয়েছে; নিয়োগের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাস মিলেছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদ আল হাবীব জানান, ২০১২ সালের পর কোনো নিয়োগ হয়নি শিক্ষা বোর্ডে। জনবল কাঠামো অনুযায়ী বোর্ডে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার জন্য অনুমোদিত পদ রয়েছে ২৫টি। এর মধ্যে একটি শূন্য রয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণির ২৩টি অনুমোদিত পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে ৭টি। তৃতীয় শ্রেণির সেকশন অফিসার ও সমমর্যাদার ১৯টি পদের মধ্যে চারটি শূন্য রয়েছে। একই শ্রেণির উচ্চমান সহকারী পদমর্যাদার ৫১টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৩০টি। নি¤œমান সহকারী ও সমমর্যাদায় ৫৩টি পদের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ৩৯টি। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের অনুমোদিত ১২৩টি পদের মধ্যে ৫০টি শূন্য। চতুর্থ শ্রেণির ৮৩টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৪৪টি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, প্রথম শ্রেণির ২৫টি পদের বিপরীতে ২৪ জন কর্মরত থাকলেও তাদের সহকারী বা ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির জনবল কম রয়েছে। এ কারণে বোর্ড এখন মাথাভারী প্রশাসনে পরিণত হয়েছে। কর্মকর্তা আছেন, কর্মচারী নেই – এমন অবস্থা বিরাজ করছে।
কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদ আল হাবীব আরও জানান, শূন্য পদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কারণ, এদিকে বছরের পর বছর নিয়োগ নেই। তারপরও প্রতি মাসে দুই একজন করে অবসরজনিত কারণে পিআরএল-এ চলে যাচ্ছেন। কারো কারো মৃত্যুও হয়েছে। গত মাসে পাঁচটি পদ শূন্য হয়েছে। তিনটি পিআরএল-এর কারণে ও দুইটি মৃত্যুজনিত কারণে। দ্রুত আরও তিনজন অবসরে যাবেন।
“লোকবল কমে কাজের চাপ বেড়েছে। সঠিকভাবে সঠিক সময়ে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কর্মচারী নিয়োগের জন্যে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন মহলে কথা বললেও নিয়োগ হয়নি।”
যশোর শিক্ষা বোর্ড এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, “এর আগে চেয়ারম্যান অধ্যাপক এমএ আলীম এবং অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন স্যারকে একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে। তারা উদ্যোগ নেবেন বলে দিন পার করেছেন। বাস্তবে জনবল বৃদ্ধি হয়নি।”
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়রম্যান অধ্যাপক আহসান হাবীব জনবল সংকটকে চরম সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, লোকবল কম থাকায় কাজের ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব আয়ে কর্মচারীদের বেতন দিতে হলেও নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়।
“বর্তমান শিক্ষা সচিব মো. আবু বক্কার সিদ্দিকীর কাছে চলতি মাসে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। সার্বিক বিষয় শুনে শিক্ষা সচিব দ্রুত বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।”