ঢাকা ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

যশোরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল ভেঙে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

  • আপডেট সময় : ০৯:১২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

সোমবার যশোর শহরের বকুলতলায় জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম -ছবি সংগৃহীত

যশোর সংবাদদাতা: যশোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ম্যুরাল ভেঙে একই জায়গায় জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে শহরের বকুলতলায় এর নির্মাণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম।
প্রায় ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের আওতায় যৌথভাবে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণ করছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত বিভাগ। এটির উচ্চতা হবে ১৮ ফুট ও প্রস্থ ৬ ফুট। স্মৃতিস্তম্ভের বিভিন্ন অংশে খোদাই করা হবে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সময় রাজপথে উচ্চারিত উদ্দীপনামূলক স্লোগান। জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা, নিহতদের পরিবার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। শুরুতেই এ আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘১৯৭১ সালে রক্তের বিনিময়ে আমরা বহিরাগত শক্তির বিরুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাইয়ে দেশের ভেতরের এক ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। রক্তের বিনিময়ে নতুন এক ইতিহাস রচিত হয়েছে। এই স্মৃতিস্তম্ভ আমাদের সেই সাহস, ত্যাগ আর প্রত্যয়ের কথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মনে করিয়ে দেবে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাসার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারি আবু জাফর সিদ্দিকী, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য নুরুজ্জামান, জুলাই আন্দোলনে নিহত আবদুল্লার বাবা আবদুল জব্বার, মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের ভাঙার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গত ৫ আগস্টের পর তিন দফায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি ভাঙা হয়। সর্বশেষ কয়েক দিন ধরে যশোর পৌরসভার বুলডোজার দিয়ে ম্যুরালটি অপসারণ করা হয়।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আবু সাঈদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা

যশোরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল ভেঙে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

আপডেট সময় : ০৯:১২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

যশোর সংবাদদাতা: যশোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ম্যুরাল ভেঙে একই জায়গায় জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে শহরের বকুলতলায় এর নির্মাণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম।
প্রায় ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের আওতায় যৌথভাবে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণ করছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত বিভাগ। এটির উচ্চতা হবে ১৮ ফুট ও প্রস্থ ৬ ফুট। স্মৃতিস্তম্ভের বিভিন্ন অংশে খোদাই করা হবে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সময় রাজপথে উচ্চারিত উদ্দীপনামূলক স্লোগান। জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা, নিহতদের পরিবার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। শুরুতেই এ আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘১৯৭১ সালে রক্তের বিনিময়ে আমরা বহিরাগত শক্তির বিরুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাইয়ে দেশের ভেতরের এক ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। রক্তের বিনিময়ে নতুন এক ইতিহাস রচিত হয়েছে। এই স্মৃতিস্তম্ভ আমাদের সেই সাহস, ত্যাগ আর প্রত্যয়ের কথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মনে করিয়ে দেবে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাসার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারি আবু জাফর সিদ্দিকী, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য নুরুজ্জামান, জুলাই আন্দোলনে নিহত আবদুল্লার বাবা আবদুল জব্বার, মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের ভাঙার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গত ৫ আগস্টের পর তিন দফায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি ভাঙা হয়। সর্বশেষ কয়েক দিন ধরে যশোর পৌরসভার বুলডোজার দিয়ে ম্যুরালটি অপসারণ করা হয়।