ঢাকা ০১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

যমুনা সার কারখানা ৪৮৬ শ্রমিকের পূনর্নিয়োগ দাবি

  • আপডেট সময় : ০১:২৮:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১২৫ বার পড়া হয়েছে

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ৪৮৬ জনকে ছাটাইয়ের প্রতিবাদ ও পূনর্নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন যমুনা সার কারখানার (জেএফসিএল) শ্রমিকরা। গতকাল শনিবার দুপুরে কারখানার প্রধান সড়কে বিক্ষোভ করে সেখানে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করেন। শ্রমিকরা চাকরি ফেরত না পেলে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সমাবেশে শ্রমিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামস উদ্দিন, মহাদান ইউনিয়নআওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ট্রান্সপোর্ট সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন সরকার, পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের আহ্বায়ক আক্কাস উদ্দিন প্রমুখ। জেএফসিএল সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন কেপিআই-১ মানের যমুনা সারকারখানায় ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দৈনিক হাজিরাভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ করে। দরপত্র আহ্বান করে নির্বাচিত ঠিকাদারের মাধ্যমে দুই বছরের জন্য এসব শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। সর্বশেষ স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান এমপির প্রতিনিধি সাখাওয়াত আলম মুকুলের মালিকানাধীন মেসার্স জান্নাত এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ৪৮৬ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলো। তাদের মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাওয়ার ১ সেপ্টেম্বর থেকে সকল শ্রমিককে কারখানায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দেয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে নতুন শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ রাখতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আদালতে মামলা দায়ের করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহ্বান না করে বিধিবহির্ভূতভাবে নিজেদের পছন্দমতো লোকজন নিয়োগের পায়তারা করছে। অথচ কর্মহীন শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক জানান, শ্রমিকদের যোক্তিক দাবি পূরণ না হওয়ায় ক্ষোভ বেড়েই চলছে। দ্রুত সমাধান না হলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন জানান, চুক্তিভিত্তিক ৪৮৬ জনৎ শ্রমিকের মধ্যে ১৯৩ জনের নিয়োগবিধি মোতাবেক আগেই বাতিল হয়েছে। বাকি ২৯৩ জনের মেয়াদকাল গত ৩১ আগস্ট শেষ হয়। নতুন ঠিকাদার নিযুক্ত করতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিলো, কিন্তু ঠিকাদারের মামলার কারণে নতুন শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ আছে। সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, যমুনা সার কারখানার শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচির জন্য পুলিশ সর্তক অবস্থানে ছিলো। শান্তিপূর্ণভাবে শ্রমিকরা কর্মসূচি পালন করেছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

৭২ বছর বয়সে অভিনেত্রীর আত্মহত্যা!

যমুনা সার কারখানা ৪৮৬ শ্রমিকের পূনর্নিয়োগ দাবি

আপডেট সময় : ০১:২৮:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ৪৮৬ জনকে ছাটাইয়ের প্রতিবাদ ও পূনর্নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন যমুনা সার কারখানার (জেএফসিএল) শ্রমিকরা। গতকাল শনিবার দুপুরে কারখানার প্রধান সড়কে বিক্ষোভ করে সেখানে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করেন। শ্রমিকরা চাকরি ফেরত না পেলে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সমাবেশে শ্রমিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামস উদ্দিন, মহাদান ইউনিয়নআওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ট্রান্সপোর্ট সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন সরকার, পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের আহ্বায়ক আক্কাস উদ্দিন প্রমুখ। জেএফসিএল সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন কেপিআই-১ মানের যমুনা সারকারখানায় ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দৈনিক হাজিরাভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ করে। দরপত্র আহ্বান করে নির্বাচিত ঠিকাদারের মাধ্যমে দুই বছরের জন্য এসব শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। সর্বশেষ স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান এমপির প্রতিনিধি সাখাওয়াত আলম মুকুলের মালিকানাধীন মেসার্স জান্নাত এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ৪৮৬ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলো। তাদের মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাওয়ার ১ সেপ্টেম্বর থেকে সকল শ্রমিককে কারখানায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দেয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে নতুন শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ রাখতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আদালতে মামলা দায়ের করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহ্বান না করে বিধিবহির্ভূতভাবে নিজেদের পছন্দমতো লোকজন নিয়োগের পায়তারা করছে। অথচ কর্মহীন শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক জানান, শ্রমিকদের যোক্তিক দাবি পূরণ না হওয়ায় ক্ষোভ বেড়েই চলছে। দ্রুত সমাধান না হলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন জানান, চুক্তিভিত্তিক ৪৮৬ জনৎ শ্রমিকের মধ্যে ১৯৩ জনের নিয়োগবিধি মোতাবেক আগেই বাতিল হয়েছে। বাকি ২৯৩ জনের মেয়াদকাল গত ৩১ আগস্ট শেষ হয়। নতুন ঠিকাদার নিযুক্ত করতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিলো, কিন্তু ঠিকাদারের মামলার কারণে নতুন শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ আছে। সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, যমুনা সার কারখানার শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচির জন্য পুলিশ সর্তক অবস্থানে ছিলো। শান্তিপূর্ণভাবে শ্রমিকরা কর্মসূচি পালন করেছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়।