ঢাকা ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

যমজ শিশু জন্মরহস্য

  • আপডেট সময় : ১০:৪১:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক : একটি শিশুর জন্ম বাবা-মা উভয়ের জন্যই সবচেয়ে স্মরণীয় ও আনন্দের মুহূর্ত। আর যদি যমজ সন্তান জন্মায় তাহলে তো আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। বর্তমানে সবাই পরিবার পরিকল্পনার কথা মাথায় রেখে দুটি সন্তান চায় ও বেশিরভাগ দম্পতিরা আশা করেন একসঙ্গে যমজ সন্তান হলে সব টেনশনের অবসান ঘটবে। অনেক দম্পতি যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর উপায় খুঁজতে শুরু করে। আপনিও যদি তাদের দলে হন, তাহলে জেনে নিন কেন যমজ সন্তান হয়। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, যমজ সন্তান হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। যেমন- নারীর বয়স, পরিবারে যমজ সন্তান হওয়ার ইতিহাস কিংবা ইনফার্টিলিটি বা উর্বরতার চিকিৎসা। গর্ভাবস্থা ঘটে যখন শুক্রাণু একটি ভ্রূণ গঠনের জন্য নিষিক্ত ডিম্বাণুতে পৌঁছায়। যাই হোক, যদি নিষিক্তকরণের সময় জরায়ুতে দুটি ডিম্বাণু উপস্থিত থাকে বা নিষিক্ত ডিম্বাণু দুটি ভ্রূণে বিভক্ত হয়ে যায়, তাহলে নারী যমজ সন্তান নিয়ে গর্ভবতী হতে পারেন।
ভারতের গাইনোকোলজিস্ট ডাঃ. অর্চনা নারুলা জানান, যমজ দুই ধরনের হয়- একটি আইডেন্টিক্যাল ও অন্যটি নন-আইডেন্টিক্যাল। অভিন্ন যমজ বাচ্চাদের মধ্যে, নিষিক্ত ডিম দুটি ভ্রূণে বিভক্ত হয়। এই ভ্রূণগুলো মনোজাইগোটিক। এর মানে হলো তাদের অভিন্ন জিন আছে। অভিন্ন যমজ একই লিঙ্গের ও একই চেহারার হতে পারে। একটি অভিন্ন গর্ভাবস্থা ঘটে যখন নিষিক্তকরণের সময় জরায়ুতে দুটি ডিম থাকে ও উভয়ই শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়। এই ভ্রূণগুলো ডাইজাইগোটিক, যার মানে উভয় শিশুর লিঙ্গ ভিন্ন হতে পারে। ডা. অর্চনা নরুলা আরও জানান, আইভিএফ’র মতো কোনো উর্বরতা চিকিৎসার মাধ্যমে গর্ভবতী নারীদের মধ্যে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ প্রায়ই চিকিৎসার সময়, ডাক্তাররা সফল গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াতে নারীর গর্ভে দুটি নিষিক্ত ভ্রূণ প্রবেশ করান। এই বিশেষজ্ঞ জানান, প্রাকৃতিকভাবে যমজ সন্তান ধারণের কোনো উপায় নেই। আবার এমন কোনো ঘরোয়া প্রতিকার বা যৌন অবস্থান বা পদ্ধতিও নেই, যা যমজ সন্তানের গর্ভধারণের নিশ্চয়তা দেয়। সূত্র: প্রেসওয়্যার ১৮

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যমজ শিশু জন্মরহস্য

আপডেট সময় : ১০:৪১:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

নারী ও শিশু ডেস্ক : একটি শিশুর জন্ম বাবা-মা উভয়ের জন্যই সবচেয়ে স্মরণীয় ও আনন্দের মুহূর্ত। আর যদি যমজ সন্তান জন্মায় তাহলে তো আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। বর্তমানে সবাই পরিবার পরিকল্পনার কথা মাথায় রেখে দুটি সন্তান চায় ও বেশিরভাগ দম্পতিরা আশা করেন একসঙ্গে যমজ সন্তান হলে সব টেনশনের অবসান ঘটবে। অনেক দম্পতি যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর উপায় খুঁজতে শুরু করে। আপনিও যদি তাদের দলে হন, তাহলে জেনে নিন কেন যমজ সন্তান হয়। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, যমজ সন্তান হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। যেমন- নারীর বয়স, পরিবারে যমজ সন্তান হওয়ার ইতিহাস কিংবা ইনফার্টিলিটি বা উর্বরতার চিকিৎসা। গর্ভাবস্থা ঘটে যখন শুক্রাণু একটি ভ্রূণ গঠনের জন্য নিষিক্ত ডিম্বাণুতে পৌঁছায়। যাই হোক, যদি নিষিক্তকরণের সময় জরায়ুতে দুটি ডিম্বাণু উপস্থিত থাকে বা নিষিক্ত ডিম্বাণু দুটি ভ্রূণে বিভক্ত হয়ে যায়, তাহলে নারী যমজ সন্তান নিয়ে গর্ভবতী হতে পারেন।
ভারতের গাইনোকোলজিস্ট ডাঃ. অর্চনা নারুলা জানান, যমজ দুই ধরনের হয়- একটি আইডেন্টিক্যাল ও অন্যটি নন-আইডেন্টিক্যাল। অভিন্ন যমজ বাচ্চাদের মধ্যে, নিষিক্ত ডিম দুটি ভ্রূণে বিভক্ত হয়। এই ভ্রূণগুলো মনোজাইগোটিক। এর মানে হলো তাদের অভিন্ন জিন আছে। অভিন্ন যমজ একই লিঙ্গের ও একই চেহারার হতে পারে। একটি অভিন্ন গর্ভাবস্থা ঘটে যখন নিষিক্তকরণের সময় জরায়ুতে দুটি ডিম থাকে ও উভয়ই শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়। এই ভ্রূণগুলো ডাইজাইগোটিক, যার মানে উভয় শিশুর লিঙ্গ ভিন্ন হতে পারে। ডা. অর্চনা নরুলা আরও জানান, আইভিএফ’র মতো কোনো উর্বরতা চিকিৎসার মাধ্যমে গর্ভবতী নারীদের মধ্যে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ প্রায়ই চিকিৎসার সময়, ডাক্তাররা সফল গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াতে নারীর গর্ভে দুটি নিষিক্ত ভ্রূণ প্রবেশ করান। এই বিশেষজ্ঞ জানান, প্রাকৃতিকভাবে যমজ সন্তান ধারণের কোনো উপায় নেই। আবার এমন কোনো ঘরোয়া প্রতিকার বা যৌন অবস্থান বা পদ্ধতিও নেই, যা যমজ সন্তানের গর্ভধারণের নিশ্চয়তা দেয়। সূত্র: প্রেসওয়্যার ১৮