ঢাকা ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

যথেষ্ট হয়েছে, ফুলস্টপের সময় চলে এসেছে : সাকিব ইস্যুতে খালেদ মাহমুদ

  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : কোনো সিরিজের আগে খেলা না খেলা নিয়ে সাকিব আল হাসানের টালবাহানার ইতি টানতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশের শীর্ষ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতে, কোনো ক্রিকেটার যদি খেলতে চায় খেলবে, আর না খেলতে চাইলে খেলবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অবস্থায় নেই সাকিব। এজন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে বিরতি চেয়েছেন। দলে থাকার পরও সফরে যাওয়ার সপ্তাহখানেক আগে সাকিবের এমন অপেশাদার আচরণে রীতিমতো বিরক্ত বিসিবির পরিচালক ও জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
মঙ্গলবার মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে খালেদ মাহমুদ বলেছেন, ‘এখন ফুলস্টপের সময় চলে এসেছে। যথেষ্ট হয়েছে। আপনি বিসিবিকে চালাতে পারেন না। চাইলেই কেউ বলতে পারে না যে আমি খেলব কিংবা খেলব না। কেউ যদি খেলতেই চায় তাহলে ঠিকমতো খেলতে হবে। যদি খেলতে না চায় তাহলে বলে দিতে হবে। যদি বিরতি চায়, তাহলে একবারে বিরতি নিক। কেউ তাকে আটকাবে না। প্রেসিডেন্টও বলতে চেয়েছিলেন এভাবে। হয়তো বা তিনি একটু আস্তে বলেছেন। আমি একটু জোরে।’ সাকিবকে নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে বিসিবি দুই দিন সময় দিয়েছে। এখন বোর্ড তার সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিসিবি নেবে বলেই জানালেন খালেদ মাহমুদ। তিনি বললেন, ‘নিশ্চিতভাবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিসিবি নেবে। বিসিবির প্রোডাক্ট ওরা। বিসিবি ওদের প্রোডাক্ট না। বিসিবি কোনো ব্যক্তির জন্য না। বিসিবির জন্যই ওরা। নিশ্চিতভাবেই ওরা বাংলাদেশ ক্রিকেটের মূল স্টেকহোল্ডার। কিন্তু এই স্টেকহোল্ডারের জন্য তো বিসিবির অনেক বিনিয়োগ ছিল। অনূর্ধ্ব-১৪, ১৫, ১৭ৃ তাদেরকে তৈরি করে তোলা, এই করা সেই করা। তাদের পেছনে তো বিসিবি অনেক খরচ করেছে সেই সময়। ঠিক না! বিসিবি তো তাদের অভিভাবক। আমাদের সবার অভিভাবক বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ওপর আমরা কেউ না, তারাও না।’
আইপিএলে দল না পাওয়ায় সাকিবের হতাশা থাকতে পারে। মনে আঘাত লাগতে পারে। মানসিক বিপর্যয়ের সেটাও বড় কারণ হতে পারে বলে ধারণা খালেদ মাহমুদের, ‘শুধু সাকিব না, আমিও প্রত্যাশা করেছিলাম সে ভালো দামে আইপিএলে বিক্রি হবে। যে ফর্মে সে ছিল! আইপিএলে দলের সংখ্যাও বেড়েছে। খুবই অবাক হয়েছি যে সাকিবকে কেউ নেয়নি। শুধু সাকিবের জন্য না বাংলাদেশের জন্যও লজ্জার যে দেশের সেরা ক্রিকেটাররা আইপিএলের মতো জায়গায় খেলতে পারছে না। সাকিবও ব্যথা পেতে পারে। যদিও সে বলেছে, ‘‘নাহ সুজন ভাই আমি ব্যথা পাইনি।’’ মনের কোনো একটা ব্যাথা থাকতে পারে। দারুণভাবে নিজেকে তৈরি করছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘হতে পারে আপনি যখন আইপিএলের মতো বড় জায়গায় যাওয়ার আশা করছেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেতে পারছেন না। মন খারাপ হতেই পারে। আমি মনে করি সে পেশাদার। খুব ভালোভাবে ফিরে আসবে। তারপরও সে খেলেছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পারফরম্যান্সে আমি একদমই খুশি না। ছিটেফোটাও খেলতে পারেনি।’ ‘সাকিবকে যেহেতু দুদিনের সময় দেওয়া হয়েছে। সে আসুক। কথা বলুক। তারপর সিদ্ধান্ত নেব। আশা করছি সে যাবে। কারণ সাকিব যাওয়া না যাওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে।’- যোগ করেন খালেদ মাহমুদ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যথেষ্ট হয়েছে, ফুলস্টপের সময় চলে এসেছে : সাকিব ইস্যুতে খালেদ মাহমুদ

আপডেট সময় : ১১:৫৩:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২

ক্রীড়া প্রতিবেদক : কোনো সিরিজের আগে খেলা না খেলা নিয়ে সাকিব আল হাসানের টালবাহানার ইতি টানতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশের শীর্ষ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতে, কোনো ক্রিকেটার যদি খেলতে চায় খেলবে, আর না খেলতে চাইলে খেলবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অবস্থায় নেই সাকিব। এজন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে বিরতি চেয়েছেন। দলে থাকার পরও সফরে যাওয়ার সপ্তাহখানেক আগে সাকিবের এমন অপেশাদার আচরণে রীতিমতো বিরক্ত বিসিবির পরিচালক ও জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
মঙ্গলবার মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে খালেদ মাহমুদ বলেছেন, ‘এখন ফুলস্টপের সময় চলে এসেছে। যথেষ্ট হয়েছে। আপনি বিসিবিকে চালাতে পারেন না। চাইলেই কেউ বলতে পারে না যে আমি খেলব কিংবা খেলব না। কেউ যদি খেলতেই চায় তাহলে ঠিকমতো খেলতে হবে। যদি খেলতে না চায় তাহলে বলে দিতে হবে। যদি বিরতি চায়, তাহলে একবারে বিরতি নিক। কেউ তাকে আটকাবে না। প্রেসিডেন্টও বলতে চেয়েছিলেন এভাবে। হয়তো বা তিনি একটু আস্তে বলেছেন। আমি একটু জোরে।’ সাকিবকে নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে বিসিবি দুই দিন সময় দিয়েছে। এখন বোর্ড তার সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিসিবি নেবে বলেই জানালেন খালেদ মাহমুদ। তিনি বললেন, ‘নিশ্চিতভাবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিসিবি নেবে। বিসিবির প্রোডাক্ট ওরা। বিসিবি ওদের প্রোডাক্ট না। বিসিবি কোনো ব্যক্তির জন্য না। বিসিবির জন্যই ওরা। নিশ্চিতভাবেই ওরা বাংলাদেশ ক্রিকেটের মূল স্টেকহোল্ডার। কিন্তু এই স্টেকহোল্ডারের জন্য তো বিসিবির অনেক বিনিয়োগ ছিল। অনূর্ধ্ব-১৪, ১৫, ১৭ৃ তাদেরকে তৈরি করে তোলা, এই করা সেই করা। তাদের পেছনে তো বিসিবি অনেক খরচ করেছে সেই সময়। ঠিক না! বিসিবি তো তাদের অভিভাবক। আমাদের সবার অভিভাবক বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ওপর আমরা কেউ না, তারাও না।’
আইপিএলে দল না পাওয়ায় সাকিবের হতাশা থাকতে পারে। মনে আঘাত লাগতে পারে। মানসিক বিপর্যয়ের সেটাও বড় কারণ হতে পারে বলে ধারণা খালেদ মাহমুদের, ‘শুধু সাকিব না, আমিও প্রত্যাশা করেছিলাম সে ভালো দামে আইপিএলে বিক্রি হবে। যে ফর্মে সে ছিল! আইপিএলে দলের সংখ্যাও বেড়েছে। খুবই অবাক হয়েছি যে সাকিবকে কেউ নেয়নি। শুধু সাকিবের জন্য না বাংলাদেশের জন্যও লজ্জার যে দেশের সেরা ক্রিকেটাররা আইপিএলের মতো জায়গায় খেলতে পারছে না। সাকিবও ব্যথা পেতে পারে। যদিও সে বলেছে, ‘‘নাহ সুজন ভাই আমি ব্যথা পাইনি।’’ মনের কোনো একটা ব্যাথা থাকতে পারে। দারুণভাবে নিজেকে তৈরি করছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘হতে পারে আপনি যখন আইপিএলের মতো বড় জায়গায় যাওয়ার আশা করছেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেতে পারছেন না। মন খারাপ হতেই পারে। আমি মনে করি সে পেশাদার। খুব ভালোভাবে ফিরে আসবে। তারপরও সে খেলেছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পারফরম্যান্সে আমি একদমই খুশি না। ছিটেফোটাও খেলতে পারেনি।’ ‘সাকিবকে যেহেতু দুদিনের সময় দেওয়া হয়েছে। সে আসুক। কথা বলুক। তারপর সিদ্ধান্ত নেব। আশা করছি সে যাবে। কারণ সাকিব যাওয়া না যাওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে।’- যোগ করেন খালেদ মাহমুদ।