নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার যত দ্রুত সম্ভব দেশে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে সচেষ্ট বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব এটা আমাদের করতে হবে এবং সেটা করা হচ্ছে। আপনারা শিগগিরই সেটার রেজাল্ট পাবেন।’ গতকাল শনিবার দুপুরে ১৯তম অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও ২৩তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ করে দিলে দেশে টিকাদান কার্যক্রমে এক প্রকার স্থবিরতা তৈরি হয়। চীন, রাশিয়াসহ একাধিক উৎস থেকে ভ্যাকসিন আনতে জোড় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যে দেশ দুটির সঙ্গে চুক্তিও হয়েছে। ভ্যাকসিন উপহারও এসেছে চীনের থেকে। এছাড়াও কোভ্যাক্স মাধ্যমকে ব্যবহার করে ইউরোপীয় ভ্যাকসিন আনতেও তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করলেন অর্থমন্ত্রী।
ব্রিফিংয়ে অর্থনীতিতে করোনা পরিস্থিতির প্রভাব পড়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবসময় ভালোটাই প্রত্যাশা করি। চলতি অর্থবছর যে ধরনের প্রজেকশন ছিল, সেগুলো এচিভ করতে পেরেছি। এটা অবিশ্বাস্য মনে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, সবচেয়ে কঠিন খাত হলো রেভিনিউ জেনারেশন, সেটাও আমাদের ১৭ শতাংশ গ্রোথ হয়েছে। ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভেও গ্রোথ আছে। এদেশের মানুষ যারা বিদেশে আছেন, প্রবাসী ভাই-বোনরা, তারা দেশকে ভালোবাসেন। দেশের জন্য দায়বদ্ধতায় তারা বিশ্বাস করেন। সেই দায়বদ্ধতার কারণে তারা সবকিছু মেনে নিয়ে রেমিট্যান্সপ্রবাহ অব্যাহত রেখেছেন।’
এক বছরে রেকর্ড ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এমনটা আর কখনো হবে কি-না জানি না। আমাদের লোকজন বলেছিল আসবে না, শুধু না না না। আমরা ‘না না’ তে বিশ্বাস করি না। আল্লাহ আমাদের প্রতি সদয় ছিলেন। এবারও আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করব, তিনি আমাদের সুস্থ রাখবেন এবং আমাদের জীবন সুন্দর হবে।
যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে : অর্থমন্ত্রী
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ