ঢাকা ১০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

যত চাপই আসুক মাথা নত করবে না বাংলাদেশ:শেখ হাসিনা

  • আপডেট সময় : ০৫:১৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশি-বিদেশি যত চাপই আসুক বাংলাদেশ মাথা নত করবে না প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এই দেশ আমাদের। আমরা স্বাধীন করেছি। দেশি-বিদেশি যতই চাপ আসুক না কেন, আমরা কোনো চাপের কাছেই মাথা নত করব না। বাঙালি কোনো চাপের কাছে মাথা নত করে না, করবে না।
গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ছয়দফা দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি। আমেরিকার ভিসানীতির কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি যাদের কথা নাচে তারাই তাদের খাবে। আমাদের কিছুই হবে না। আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও করলে আমেরিকার ভিসা পাবে না বিএনপি। তারা যদি ভাবে নাগরদোলায় বসে থাকেব আর কেউ এসে তাদেরকে (বিএনপি) ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে… কিন্তু বিদেশিরা ক্ষমতায় বসাতে পারেবে না। ক্ষমতায় বসাতে পারে একমাত্র দেশের জনগণ। আমাদের দেশের মানুষের ভোটের অধিকার আমরাই সুরক্ষা করব। ২০১৩-১৪ সালের বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের কথা উল্লোখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে বলে ২০১৩-১৪ সালের আগুন সন্ত্রাস করে শতশত মানুষকে আগুনে পুড়ে হত্যা করেছে। যানবাহন, স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস আগুনে পুড়িয়েছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি আর যেন আগুন সন্ত্রাস করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।

‘তারা আন্দোলন করবে আর আমাদেরকে উৎখাত করবে- এই স্বপ্ন তারা দেখে। একদিক দিয়ে ভালো হয়েছে। বিএনপি এখন মানুষকে পুড়িয়ে মারলে বা অগ্নি সন্ত্রাস করলে তারাই আমেরিকার ভিসা পাবে না। সেটা একদিক দিয়েই ভালো হয়েছে।’
শেখ হাসিনা দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে। আদালত রায় দিয়েছে কেউ অসাংবিধানিক ভাবে যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে, ক্ষমতায় থাকতে না পারে। আওয়ামী লীগ কখনো এদেশে ভোটারবিহীন ক্ষমতায় আসে নাই। ভোটারবিহীন ক্ষমতায় আসছে জিয়াউর রহমান, এরশাদ। যারা ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতায় আসছে তারা আবার গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে। ভোট চুরির কারণে খালেদা জিয়াকে দুইবার ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হয়েছে। এখন তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনি, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে হাসি পায়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যা করে জনগণের জন্য করে। জনগণের ভোটের অধিকার কেউ কেড়ে নিলে জনগণ ছেড়ে দেবে না। জনগণের ভোটের সুরক্ষা দেবে আওয়ামী লীগ।
১০-১৫ দিন পর আর বিদ্যুতের কষ্ট থাকবে না: প্রচ- গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুইদিনের মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। দশ থেকে ১৫ দিন পর দেশে আর বিদ্যুতের কষ্ট থাকবে না। এরমধ্যেই দেশে বিদ্যুতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দিয়েছিলেন। তিনি জানতেন ধাপে ধাপে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। পরবর্তীতে এই ৬ দফাই এক দফা দাবিতে পরিণত হয়, যেটা ছিল স্বাধীনতা। তিনি বলেন, এ দেশের জনগণের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম আওয়ামী লীগই করেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। ইদানীং বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু কোন গণতান্ত্রিক ধারায় জন্ম হয়েছিল বিএনপির? অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে উর্দি খুলে রাজনীতির খায়েশ জাগে তাদের। তখন হ্যাঁ-না ভোটের প্রচলন করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছিল। ভোট চুরি করা ছাড়া তখন ক্ষমতার সুযোগ ছিল না জিয়াউর রহমানের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশে হত্যার রাজনীতি, ভোট কারচুপি, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা- এসব শুরু করেন জিয়াউর রহমান। উচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল অবৈধ। যেটা করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে যা করার তা আওয়ামী লীগই করেছে। দেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার নিয়ে এখন সচেতন। কেউ ভোটের অধিকার কেড়ে নিলে মানুষ তাদের ছেড়ে দেয় না। খালেদা জিয়া তার প্রমাণ। ১৯৯৬ সালে ভোট চুরি করে জোর করে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল বিএনপি। তাদের মুখে এখন গণতন্ত্র আর ভোটের কথা মানায় না। বিএনপি আজ ভোটের কথা বলে, ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কত ভোট পেয়েছিল? আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। মানুষ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ কখনো পরাজিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুইবার ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে বিদায় নিতে হয়েছে। শুনলে আমাদের হাসি পায়, ওরা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে। গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার সুরক্ষিত করেছে আওয়ামী লীগ। আর খালেদা-তারেক জিয়ার অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার দেশের মানুষ। বিএনপির দুঃশাসন-দুর্নীতির কথা তারা ভুলে যায়নি। একদিকে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন, অন্যদিকে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা- এটাই ছিল তাদের কাজ। এখন যদি তারা জ্বালাও-পোড়াও করে, অগ্নিসন্ত্রাস করে, তাহলে মার্কিন ভিসা পাবে না। যাদের কথায় তারা নাচে, তারাই বিএনপিকে ভিসা দেবে না। তিনি আরও বলেন, বিএনপি মনে করে অন্য কেউ কোথাও থেকে এসে নাগরদোলায় করে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু দেবে না। ব্যবহার করবে, কিন্তু ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। ক্ষমতায় বসাতে পারে একমাত্র জনগণ। যতই দেশি-বিদেশি চাপ আসুক, এদেশের মানুষ চাপের কাছে মাথা নত করবে না। আমরাই আমাদের দেশের মানুষের ভোটের অধিকারের সুরক্ষা দেবো।
দেশে ১৬.২৭ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে: দেশে বর্তমানে ১৬ দশমিক ২৭ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, মজুত খাদ্যশস্যের মধ্যে চাল ১২ দশমিক ২৫ টন, গম ৩ দশমিক ৯৬ টন এবং ধান ৯ হাজার টন। প্রধানমন্ত্রী জানান, খাদ্য মজুত বাড়াতে বর্তমান বোরো সংগ্রহ মৌসুমে ৪ লাখ টন ধান ও ১২ দশমিক ৫০ টন চালসহ চাল আকারে সর্বমোট ১৫ দশমিক ১০ লাখ টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ টন নির্ধারণ করা হয়েছে। অধিকতর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) এখন পর্যন্ত (২৩ মে ২০২৩) ৬ দশমিক ৩৪ লাখ টন চাল ও ৬ দশমিক ৮০ টন গম আমদানি করা হয়েছে বলেও জানন সরকারপ্রধান।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যত চাপই আসুক মাথা নত করবে না বাংলাদেশ:শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০৫:১৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশি-বিদেশি যত চাপই আসুক বাংলাদেশ মাথা নত করবে না প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এই দেশ আমাদের। আমরা স্বাধীন করেছি। দেশি-বিদেশি যতই চাপ আসুক না কেন, আমরা কোনো চাপের কাছেই মাথা নত করব না। বাঙালি কোনো চাপের কাছে মাথা নত করে না, করবে না।
গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ছয়দফা দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি। আমেরিকার ভিসানীতির কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি যাদের কথা নাচে তারাই তাদের খাবে। আমাদের কিছুই হবে না। আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও করলে আমেরিকার ভিসা পাবে না বিএনপি। তারা যদি ভাবে নাগরদোলায় বসে থাকেব আর কেউ এসে তাদেরকে (বিএনপি) ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে… কিন্তু বিদেশিরা ক্ষমতায় বসাতে পারেবে না। ক্ষমতায় বসাতে পারে একমাত্র দেশের জনগণ। আমাদের দেশের মানুষের ভোটের অধিকার আমরাই সুরক্ষা করব। ২০১৩-১৪ সালের বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের কথা উল্লোখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে বলে ২০১৩-১৪ সালের আগুন সন্ত্রাস করে শতশত মানুষকে আগুনে পুড়ে হত্যা করেছে। যানবাহন, স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস আগুনে পুড়িয়েছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি আর যেন আগুন সন্ত্রাস করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।

‘তারা আন্দোলন করবে আর আমাদেরকে উৎখাত করবে- এই স্বপ্ন তারা দেখে। একদিক দিয়ে ভালো হয়েছে। বিএনপি এখন মানুষকে পুড়িয়ে মারলে বা অগ্নি সন্ত্রাস করলে তারাই আমেরিকার ভিসা পাবে না। সেটা একদিক দিয়েই ভালো হয়েছে।’
শেখ হাসিনা দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে। আদালত রায় দিয়েছে কেউ অসাংবিধানিক ভাবে যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে, ক্ষমতায় থাকতে না পারে। আওয়ামী লীগ কখনো এদেশে ভোটারবিহীন ক্ষমতায় আসে নাই। ভোটারবিহীন ক্ষমতায় আসছে জিয়াউর রহমান, এরশাদ। যারা ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতায় আসছে তারা আবার গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে। ভোট চুরির কারণে খালেদা জিয়াকে দুইবার ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হয়েছে। এখন তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনি, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে হাসি পায়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যা করে জনগণের জন্য করে। জনগণের ভোটের অধিকার কেউ কেড়ে নিলে জনগণ ছেড়ে দেবে না। জনগণের ভোটের সুরক্ষা দেবে আওয়ামী লীগ।
১০-১৫ দিন পর আর বিদ্যুতের কষ্ট থাকবে না: প্রচ- গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুইদিনের মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। দশ থেকে ১৫ দিন পর দেশে আর বিদ্যুতের কষ্ট থাকবে না। এরমধ্যেই দেশে বিদ্যুতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দিয়েছিলেন। তিনি জানতেন ধাপে ধাপে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। পরবর্তীতে এই ৬ দফাই এক দফা দাবিতে পরিণত হয়, যেটা ছিল স্বাধীনতা। তিনি বলেন, এ দেশের জনগণের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম আওয়ামী লীগই করেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। ইদানীং বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু কোন গণতান্ত্রিক ধারায় জন্ম হয়েছিল বিএনপির? অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে উর্দি খুলে রাজনীতির খায়েশ জাগে তাদের। তখন হ্যাঁ-না ভোটের প্রচলন করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছিল। ভোট চুরি করা ছাড়া তখন ক্ষমতার সুযোগ ছিল না জিয়াউর রহমানের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশে হত্যার রাজনীতি, ভোট কারচুপি, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা- এসব শুরু করেন জিয়াউর রহমান। উচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল অবৈধ। যেটা করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে যা করার তা আওয়ামী লীগই করেছে। দেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার নিয়ে এখন সচেতন। কেউ ভোটের অধিকার কেড়ে নিলে মানুষ তাদের ছেড়ে দেয় না। খালেদা জিয়া তার প্রমাণ। ১৯৯৬ সালে ভোট চুরি করে জোর করে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল বিএনপি। তাদের মুখে এখন গণতন্ত্র আর ভোটের কথা মানায় না। বিএনপি আজ ভোটের কথা বলে, ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কত ভোট পেয়েছিল? আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। মানুষ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ কখনো পরাজিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুইবার ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে বিদায় নিতে হয়েছে। শুনলে আমাদের হাসি পায়, ওরা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে। গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার সুরক্ষিত করেছে আওয়ামী লীগ। আর খালেদা-তারেক জিয়ার অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার দেশের মানুষ। বিএনপির দুঃশাসন-দুর্নীতির কথা তারা ভুলে যায়নি। একদিকে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন, অন্যদিকে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা- এটাই ছিল তাদের কাজ। এখন যদি তারা জ্বালাও-পোড়াও করে, অগ্নিসন্ত্রাস করে, তাহলে মার্কিন ভিসা পাবে না। যাদের কথায় তারা নাচে, তারাই বিএনপিকে ভিসা দেবে না। তিনি আরও বলেন, বিএনপি মনে করে অন্য কেউ কোথাও থেকে এসে নাগরদোলায় করে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু দেবে না। ব্যবহার করবে, কিন্তু ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। ক্ষমতায় বসাতে পারে একমাত্র জনগণ। যতই দেশি-বিদেশি চাপ আসুক, এদেশের মানুষ চাপের কাছে মাথা নত করবে না। আমরাই আমাদের দেশের মানুষের ভোটের অধিকারের সুরক্ষা দেবো।
দেশে ১৬.২৭ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে: দেশে বর্তমানে ১৬ দশমিক ২৭ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, মজুত খাদ্যশস্যের মধ্যে চাল ১২ দশমিক ২৫ টন, গম ৩ দশমিক ৯৬ টন এবং ধান ৯ হাজার টন। প্রধানমন্ত্রী জানান, খাদ্য মজুত বাড়াতে বর্তমান বোরো সংগ্রহ মৌসুমে ৪ লাখ টন ধান ও ১২ দশমিক ৫০ টন চালসহ চাল আকারে সর্বমোট ১৫ দশমিক ১০ লাখ টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ টন নির্ধারণ করা হয়েছে। অধিকতর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) এখন পর্যন্ত (২৩ মে ২০২৩) ৬ দশমিক ৩৪ লাখ টন চাল ও ৬ দশমিক ৮০ টন গম আমদানি করা হয়েছে বলেও জানন সরকারপ্রধান।