ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যতদিন ডেভিল থাকবে ততদিন অভিযান চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুর সংবাদদাতা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, যতদিন ডেভিল থাকবে ততদিন অভিযান চলবে। ডেভিল হান্ট অপারেশনে যতগুলো অস্ত্র উদ্ধার আশা করেছিলাম, সেই আশানুরূপ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। তবে আস্তে আস্তে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে। গতকাল বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুরের সফিপুর আনসার-ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৪৫তম জাতীয় সমাবেশ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আনসার বাহিনীর প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশের উন্নয়নমূলক কাজ তারা করছে। গণঅভ্যুত্থানে সব খালি হয়ে গিয়েছিল কিন্তু আনসার বাহিনী তাদের স্থান ছাড়েনি।

এজন্য তাদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। আনসার সদস্যদের যেসব দাবি যৌক্তিক, তা গুরুত্ব দিয়ে মানা হবে, তবে তাদের অযৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ২০২৪ সালের আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে বাহিনীর সদস্যরা থানাসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশের ক্রান্তিকালে সড়ক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে এ বাহিনীর সদস্যরা শতভাগ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করেছে। অনুষ্ঠানে বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, বর্তমান উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ১৬টি আনসার ব্যাটালিয়ন, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৬ হাজার আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য এবং ১৩ হাজার হিল আনসার ও হিল ভিডিপি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, কূটনৈতিক মিশন এবং শিল্প-প্রতিষ্ঠানে বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। বর্তমানে ৫১ হাজার ৬৬৭ জন সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্য সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ৫ হাজার ৭৫৭টি স্থাপনায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। বাহিনীর ৩৯টি পুরুষ আনসার ব্যাটালিয়ন, ২টি মহিলা আনসার ব্যাটালিয়ন এবং একটি বিশেষ আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি), রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন রয়েছে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভিডিপি সদস্যদের জন্য ডিজিটাল ডাটাবেস তৈরি ও নতুন অবকাঠামো সংযোজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) সহযোগিতায় এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা নেওয়া করা হয়েছে। উপদেষ্টা আরও বলেন, বাহিনীর চলমান সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় সদস্যদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে নীতিমালা ও বিধিমালা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য ভালো কাজের স্বীকৃতির জন্য ১৫৬ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সদস্যকে আনসার ও ভিডিপির বিভিন্ন পদকে ভূষিত করা হয়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত সামরিক বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাহিনীর বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তা, কর্মচারী, সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আয়নাঘরের পরতে পরতে নির্যাতনের চিহ্ন

যতদিন ডেভিল থাকবে ততদিন অভিযান চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গাজীপুর সংবাদদাতা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, যতদিন ডেভিল থাকবে ততদিন অভিযান চলবে। ডেভিল হান্ট অপারেশনে যতগুলো অস্ত্র উদ্ধার আশা করেছিলাম, সেই আশানুরূপ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। তবে আস্তে আস্তে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে। গতকাল বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুরের সফিপুর আনসার-ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৪৫তম জাতীয় সমাবেশ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আনসার বাহিনীর প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশের উন্নয়নমূলক কাজ তারা করছে। গণঅভ্যুত্থানে সব খালি হয়ে গিয়েছিল কিন্তু আনসার বাহিনী তাদের স্থান ছাড়েনি।

এজন্য তাদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। আনসার সদস্যদের যেসব দাবি যৌক্তিক, তা গুরুত্ব দিয়ে মানা হবে, তবে তাদের অযৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ২০২৪ সালের আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে বাহিনীর সদস্যরা থানাসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশের ক্রান্তিকালে সড়ক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে এ বাহিনীর সদস্যরা শতভাগ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করেছে। অনুষ্ঠানে বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, বর্তমান উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ১৬টি আনসার ব্যাটালিয়ন, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৬ হাজার আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য এবং ১৩ হাজার হিল আনসার ও হিল ভিডিপি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, কূটনৈতিক মিশন এবং শিল্প-প্রতিষ্ঠানে বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। বর্তমানে ৫১ হাজার ৬৬৭ জন সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্য সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ৫ হাজার ৭৫৭টি স্থাপনায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। বাহিনীর ৩৯টি পুরুষ আনসার ব্যাটালিয়ন, ২টি মহিলা আনসার ব্যাটালিয়ন এবং একটি বিশেষ আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি), রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন রয়েছে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভিডিপি সদস্যদের জন্য ডিজিটাল ডাটাবেস তৈরি ও নতুন অবকাঠামো সংযোজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) সহযোগিতায় এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা নেওয়া করা হয়েছে। উপদেষ্টা আরও বলেন, বাহিনীর চলমান সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় সদস্যদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে নীতিমালা ও বিধিমালা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য ভালো কাজের স্বীকৃতির জন্য ১৫৬ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সদস্যকে আনসার ও ভিডিপির বিভিন্ন পদকে ভূষিত করা হয়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত সামরিক বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাহিনীর বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তা, কর্মচারী, সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।