ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

ময়নাতদন্তে সাংবাদিক সোহানার আত্মহত্যার প্রমাণ

  • আপডেট সময় : ০২:৩১:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর হাজারীবাগে নিজ বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া সাংবাদিক সোহানা তুলির মরদেহে আত্মহত্যার আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্টেও আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছে। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাংবাদিক সোহানা তুলির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সোহানার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। এতে আত্মহত্যার প্রমাণ মেলে। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সেলিম রেজা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘তার মরদেহ উদ্ধারের সময় করা সুরতহাল রিপোর্টের সঙ্গে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের মিল রয়েছে।’ এদিকে পুলিশের করা সুরতহাল রিপোর্টে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে হাজারীবাগ থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার পর আমরা সোহানা তুলির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। তুলি মারা যাওয়ার আগে তার মানসিক হতাশার কথা ছোট ভাই মোহাইমিনুলকে জানিয়েছিলেন। বিশেষ করে চাকরি এবং ব্যবসার অবস্থা নিয়ে এ হতাশা কাজ করছিল। এ কারণেই আমরা প্রাথমিকভাবে ধরে নিচ্ছি যে তুলি আত্মহত্যা করেছেন। তার শরীরের কোথাও জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি যে বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়, সেই বাসার জানালা ভেঙে কেউ ভেতরে প্রবেশ করেছে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। সোহানার মৃত্যুর ঘটনায় হাজারীবাগ থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তবে পরিবার কোনো অভিযোগ করেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সোহানা তুলি দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক কালের কণ্ঠে কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি ২০২১ সালের মে পর্যন্ত বাংলা ট্রিবিউনে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি একটি অনলাইন শপ খুলে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। সোহানা তুলি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ময়নাতদন্তে সাংবাদিক সোহানার আত্মহত্যার প্রমাণ

আপডেট সময় : ০২:৩১:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর হাজারীবাগে নিজ বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া সাংবাদিক সোহানা তুলির মরদেহে আত্মহত্যার আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্টেও আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছে। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাংবাদিক সোহানা তুলির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সোহানার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। এতে আত্মহত্যার প্রমাণ মেলে। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সেলিম রেজা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘তার মরদেহ উদ্ধারের সময় করা সুরতহাল রিপোর্টের সঙ্গে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের মিল রয়েছে।’ এদিকে পুলিশের করা সুরতহাল রিপোর্টে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে হাজারীবাগ থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার পর আমরা সোহানা তুলির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। তুলি মারা যাওয়ার আগে তার মানসিক হতাশার কথা ছোট ভাই মোহাইমিনুলকে জানিয়েছিলেন। বিশেষ করে চাকরি এবং ব্যবসার অবস্থা নিয়ে এ হতাশা কাজ করছিল। এ কারণেই আমরা প্রাথমিকভাবে ধরে নিচ্ছি যে তুলি আত্মহত্যা করেছেন। তার শরীরের কোথাও জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি যে বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়, সেই বাসার জানালা ভেঙে কেউ ভেতরে প্রবেশ করেছে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। সোহানার মৃত্যুর ঘটনায় হাজারীবাগ থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তবে পরিবার কোনো অভিযোগ করেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সোহানা তুলি দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক কালের কণ্ঠে কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি ২০২১ সালের মে পর্যন্ত বাংলা ট্রিবিউনে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি একটি অনলাইন শপ খুলে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। সোহানা তুলি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন।