ঢাকা ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

ম্যালেরিয়ায় প্রতি দুই মিনিটে এক শিশুর মৃত্যু

  • আপডেট সময় : ১০:৫৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ম্যালেরিয়াকে এখনো বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যাতে বেশি মারা যায় শিশু ও নবজাতকরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতি দুই মিনিটে এক শিশুর মৃত্যু হয়। বুধবার প্রথমবারের মতো ম্যালেরিয়া টিকার অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মশাবাহিত এই রোগে প্রতি বছর বিশ্বে চার লাখের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়। যাদের বেশিরভাগই আফ্রিকান দেশগুলোর। খবর এএফপির।
সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং অন্যান্য অঞ্চলে মাঝারি থেকে উচ্চ ম্যালেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের দুই বছর বয়স পর্যন্ত টিকার চার ডোজ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
প্রাণঘাতী ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আফ্রিকা জুড়ে শিশুদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে এসেছে ভ্যাকসিন বা টিকার অনুমোদন।
বুধবার টিকার অনুমোদনের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসাস বলেছেন, “এটি ঐতিহাসিক এক মুহূর্ত”।
প্রায় এক শতাব্দীর চেষ্টার পর শিশুদের জন্য ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন পাওয়াকে চিকিৎসা খাতের সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর একটি হিসেবে দেখা হচ্ছে। আরটিএসএস নামক ভ্যাকসিনটি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছিল ছয় বছর আগে।
এরপর ঘানা, কেনিয়া ও মালাউইতে টিকাদানের পাইলট কর্মসূচি পরিচালনার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন বলছে, এখন এটি সাব সাহারা আফ্রিকা এবং অন্য অঞ্চলেও মধ্যম থেকে উচ্চ মাত্রার ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে।
বিশ্বে একশরও বেশি ধরনের ম্যালেরিয়া আছে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী কিন্তু আফ্রিকাতে বেশি দেখা যায়, এমন ধরনটির বিরুদ্ধেই নতুন টিকা কার্যকর। তবে টিকাটি কার্যকর হতে চার ডোজ দরকার হওয়ায় এ নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে।
এর মধ্যে প্রথম তিন ডোজ – পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম মাসে আর দেড় বছর বয়সে আরেকটি বুস্টার ডোজ। ঔষধ প্রস্ততকারক কোম্পানি জিএসকে এটি প্রস্তুত করছে। তবে এটি আফ্রিকার বাইরে ম্যালেরিয়ার অন্য ধরনগুলোর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ম্যালেরিয়ায় প্রতি দুই মিনিটে এক শিশুর মৃত্যু

আপডেট সময় : ১০:৫৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ম্যালেরিয়াকে এখনো বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যাতে বেশি মারা যায় শিশু ও নবজাতকরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতি দুই মিনিটে এক শিশুর মৃত্যু হয়। বুধবার প্রথমবারের মতো ম্যালেরিয়া টিকার অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মশাবাহিত এই রোগে প্রতি বছর বিশ্বে চার লাখের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়। যাদের বেশিরভাগই আফ্রিকান দেশগুলোর। খবর এএফপির।
সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং অন্যান্য অঞ্চলে মাঝারি থেকে উচ্চ ম্যালেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের দুই বছর বয়স পর্যন্ত টিকার চার ডোজ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
প্রাণঘাতী ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আফ্রিকা জুড়ে শিশুদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে এসেছে ভ্যাকসিন বা টিকার অনুমোদন।
বুধবার টিকার অনুমোদনের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসাস বলেছেন, “এটি ঐতিহাসিক এক মুহূর্ত”।
প্রায় এক শতাব্দীর চেষ্টার পর শিশুদের জন্য ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন পাওয়াকে চিকিৎসা খাতের সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর একটি হিসেবে দেখা হচ্ছে। আরটিএসএস নামক ভ্যাকসিনটি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছিল ছয় বছর আগে।
এরপর ঘানা, কেনিয়া ও মালাউইতে টিকাদানের পাইলট কর্মসূচি পরিচালনার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন বলছে, এখন এটি সাব সাহারা আফ্রিকা এবং অন্য অঞ্চলেও মধ্যম থেকে উচ্চ মাত্রার ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে।
বিশ্বে একশরও বেশি ধরনের ম্যালেরিয়া আছে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী কিন্তু আফ্রিকাতে বেশি দেখা যায়, এমন ধরনটির বিরুদ্ধেই নতুন টিকা কার্যকর। তবে টিকাটি কার্যকর হতে চার ডোজ দরকার হওয়ায় এ নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে।
এর মধ্যে প্রথম তিন ডোজ – পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম মাসে আর দেড় বছর বয়সে আরেকটি বুস্টার ডোজ। ঔষধ প্রস্ততকারক কোম্পানি জিএসকে এটি প্রস্তুত করছে। তবে এটি আফ্রিকার বাইরে ম্যালেরিয়ার অন্য ধরনগুলোর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে না।