ঢাকা ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ম্যারাডোনাই বলেছিলেন, পেলে সর্বকালের সেরা

  • আপডেট সময় : ০১:৩০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ২০০০ সালে ফিফা যখন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলেকে সর্বকালের সেরা অভিহিত করে, তখন বিষয়টা মেনে নিতে পারেনি দিয়েগো ম্যারাডোনা ভক্তরা। ম্যারাডোনা নিজেও ছিলেন বিরোধীদের দলে। কিন্তু সেই ম্যারাডোনাই পরে স্বীকার করে নিয়েছিলেন, পেলেই সর্বকালের সেরা। যদিও আজও পেলে না ম্যারাডোনা- কে সেরা এ নিয়ে বিভক্ত ফুটবল বিশ্ব। একপক্ষ পেলেকে, অন্যপক্ষ ম্যারাডোনাকে সেরা মানতে চান। কিন্তু যেখানে ম্যারাডোনা নিজেই সমাধান বাতলে দিয়েছিলেন, সেখানে আর বিতর্কের কোনো অবকাশ থাকে না।
বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয় করেন পেলেন। তাকেই সেরা স্বীকার করেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ম্যারাডোনা। কয়েক বছর আগে দেয়া এক টিভি সাক্ষাৎকারে পেলের সঙ্গে নিজের তুলনা প্রসঙ্গে আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি বলেছিলেন, ‘না, না, ম্যারাডোনা ম্যারাডোনাই। পেলে সেরাদের সেরা। আমি শুধুই একজন সাধারণ খেলোয়াড়। আমি পেলেকে ছাড়িয়ে যেতে চাই না। সবাই জানে তিনি (পেলে) সর্বকালের সেরা।’ এক সময় সবাই বলতো পেলে এবং ম্যারাডোনার মধ্যে সম্পর্ক ভালো নয়। বিশেষ করে ম্যারাডোনা পেলেকে সেরা মানতে রাজি নন। কিন্তু দু’জনের সম্পর্ক যে খুবই ভালো ছিলো, একে অপরের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল সেটা নানা সময়ে দু’জনের ছবি দেখলেই বোঝা যায়। একে অপরের গভীর শ্রদ্ধাও ছিলো তাদের মধ্যে। পেলে এবং ম্যারাডোনা কখনও একে অপরের বিপক্ষে খেলেননি। কারণ, ম্যারাডোনার ক্যারিয়ার যখন শুরু, পেলে তখন অনেক বছরের সাবেক। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপ খেলেই ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি। আর ম্যারাডোনার বিশ্বকাপ ক্যারিয়ার শুরু হয় তারও একযুগ পর, ১৯৮২ বিশ্বকাপ থেকে। ১৯৫৮ সালে ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক পেলে। এরপর ১৯৬২ এবং ১৯৭০ সালেও ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতান তিনি। একমাত্র ফুটবলার, যার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে তিনটি বিশ্বকাপ ট্রফি। অন্যদিকে আর্জেন্টিনাকে ম্যারাডোনা উপহার দিতে পেরেছেন কেবল ১টি বিশ্বকাপ। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে প্রায় একক প্রচেষ্টায় আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাইয়ে দেন ম্যারাডোনা। ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও জার্মানির কাছে হারতে হয় ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাকে। জাতীয় দল এবং ক্লাবের জার্সিতে সমান ১৪টি করে শিরোপা জিতেছেন পেলে এবং ম্যারাডোনা। দেশের জার্সিতে গোলের দিক দিয়ে ম্যারাডোনা অবশ্য পেলের চেয়ে পিছিয়ে। ব্রাজিলের জার্সিতে ৯০ ম্যাচে ৭৭ গোল পেলের। আর্জেন্টিনার জার্সিতে ম্যারাডোনা ৯১ ম্যাচে করেছেন ৩৪টি গোল।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাজের প্রাক্তন ও বর্তমান এক ফ্রেমে, চুমু খেলেন মিমি-শুভশ্রী!

ম্যারাডোনাই বলেছিলেন, পেলে সর্বকালের সেরা

আপডেট সময় : ০১:৩০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : ২০০০ সালে ফিফা যখন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলেকে সর্বকালের সেরা অভিহিত করে, তখন বিষয়টা মেনে নিতে পারেনি দিয়েগো ম্যারাডোনা ভক্তরা। ম্যারাডোনা নিজেও ছিলেন বিরোধীদের দলে। কিন্তু সেই ম্যারাডোনাই পরে স্বীকার করে নিয়েছিলেন, পেলেই সর্বকালের সেরা। যদিও আজও পেলে না ম্যারাডোনা- কে সেরা এ নিয়ে বিভক্ত ফুটবল বিশ্ব। একপক্ষ পেলেকে, অন্যপক্ষ ম্যারাডোনাকে সেরা মানতে চান। কিন্তু যেখানে ম্যারাডোনা নিজেই সমাধান বাতলে দিয়েছিলেন, সেখানে আর বিতর্কের কোনো অবকাশ থাকে না।
বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয় করেন পেলেন। তাকেই সেরা স্বীকার করেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ম্যারাডোনা। কয়েক বছর আগে দেয়া এক টিভি সাক্ষাৎকারে পেলের সঙ্গে নিজের তুলনা প্রসঙ্গে আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি বলেছিলেন, ‘না, না, ম্যারাডোনা ম্যারাডোনাই। পেলে সেরাদের সেরা। আমি শুধুই একজন সাধারণ খেলোয়াড়। আমি পেলেকে ছাড়িয়ে যেতে চাই না। সবাই জানে তিনি (পেলে) সর্বকালের সেরা।’ এক সময় সবাই বলতো পেলে এবং ম্যারাডোনার মধ্যে সম্পর্ক ভালো নয়। বিশেষ করে ম্যারাডোনা পেলেকে সেরা মানতে রাজি নন। কিন্তু দু’জনের সম্পর্ক যে খুবই ভালো ছিলো, একে অপরের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল সেটা নানা সময়ে দু’জনের ছবি দেখলেই বোঝা যায়। একে অপরের গভীর শ্রদ্ধাও ছিলো তাদের মধ্যে। পেলে এবং ম্যারাডোনা কখনও একে অপরের বিপক্ষে খেলেননি। কারণ, ম্যারাডোনার ক্যারিয়ার যখন শুরু, পেলে তখন অনেক বছরের সাবেক। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপ খেলেই ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি। আর ম্যারাডোনার বিশ্বকাপ ক্যারিয়ার শুরু হয় তারও একযুগ পর, ১৯৮২ বিশ্বকাপ থেকে। ১৯৫৮ সালে ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক পেলে। এরপর ১৯৬২ এবং ১৯৭০ সালেও ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতান তিনি। একমাত্র ফুটবলার, যার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে তিনটি বিশ্বকাপ ট্রফি। অন্যদিকে আর্জেন্টিনাকে ম্যারাডোনা উপহার দিতে পেরেছেন কেবল ১টি বিশ্বকাপ। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে প্রায় একক প্রচেষ্টায় আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাইয়ে দেন ম্যারাডোনা। ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও জার্মানির কাছে হারতে হয় ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাকে। জাতীয় দল এবং ক্লাবের জার্সিতে সমান ১৪টি করে শিরোপা জিতেছেন পেলে এবং ম্যারাডোনা। দেশের জার্সিতে গোলের দিক দিয়ে ম্যারাডোনা অবশ্য পেলের চেয়ে পিছিয়ে। ব্রাজিলের জার্সিতে ৯০ ম্যাচে ৭৭ গোল পেলের। আর্জেন্টিনার জার্সিতে ম্যারাডোনা ৯১ ম্যাচে করেছেন ৩৪টি গোল।