ঢাকা ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

মৌ-পিয়াসার দুই সহযোগী মিশু-জিসান রিমান্ডে

  • আপডেট সময় : ০১:২৭:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদক মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মৌ আক্তারের প্রধান সমন্বয়ক শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান ও তার সহযোগী মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পৃথক তিন মামলায় মিশুর নয় দিন ও দুই মামলায় জিসানের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুই আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ভাটারা থানার পর্নোগ্রাফি, অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক তিন মামলায় মিশুকে দশ দিন করে মোট ৩০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক পর্নোগ্রাফি মামলায় একদিন, অস্ত্র আইনের মামলায় পাঁচ দিন ও মাদক আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অন্যদিকে ভাটারা থানার পর্নোগ্রাফি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলায় জিসানের দশ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় একদিন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার রাতে মিশু ও তার সহযোগী জিসানের বিরুদ্ধে রাজধানীর ভাটারা থানায় চারটি মামলা করে র‌্যাব। এছাড়া চাঁদাবাজির অভিযোগে খিলগাঁও থানায় আরেকটি মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী।

সম্প্রতি মাদকসহ আটক মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মৌসহ অর্ধশতাধিক মডেলকে অনৈতিক ও প্রতারণার কাজে ব্যবহার করতেন শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান। তাদের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। কিনেছেন নামি-দামি ব্রান্ডের বিলাসী সব গাড়ি।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মিশু ও তার সহযোগীকে অস্ত্র, মাদক, ভারতীয় জাল রুপী, বিলাসবহুল ফেরারি গাড়িসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আটকরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এই চক্রের সদস্য ১০ থেকে ১২ জন। তারা রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকা বিশেষ করে গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টির নামে মাদক সেবনসহ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকা-ের ব্যবস্থা করে থাকেন। পার্টিতে তারা অংশগ্রহণকারীদের নিকট হতে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন। অংশগ্রহণকারীরা সাধারণত উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্য।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মৌ-পিয়াসার দুই সহযোগী মিশু-জিসান রিমান্ডে

আপডেট সময় : ০১:২৭:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদক মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মৌ আক্তারের প্রধান সমন্বয়ক শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান ও তার সহযোগী মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পৃথক তিন মামলায় মিশুর নয় দিন ও দুই মামলায় জিসানের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুই আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ভাটারা থানার পর্নোগ্রাফি, অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক তিন মামলায় মিশুকে দশ দিন করে মোট ৩০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক পর্নোগ্রাফি মামলায় একদিন, অস্ত্র আইনের মামলায় পাঁচ দিন ও মাদক আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অন্যদিকে ভাটারা থানার পর্নোগ্রাফি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলায় জিসানের দশ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় একদিন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার রাতে মিশু ও তার সহযোগী জিসানের বিরুদ্ধে রাজধানীর ভাটারা থানায় চারটি মামলা করে র‌্যাব। এছাড়া চাঁদাবাজির অভিযোগে খিলগাঁও থানায় আরেকটি মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী।

সম্প্রতি মাদকসহ আটক মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মৌসহ অর্ধশতাধিক মডেলকে অনৈতিক ও প্রতারণার কাজে ব্যবহার করতেন শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান। তাদের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। কিনেছেন নামি-দামি ব্রান্ডের বিলাসী সব গাড়ি।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মিশু ও তার সহযোগীকে অস্ত্র, মাদক, ভারতীয় জাল রুপী, বিলাসবহুল ফেরারি গাড়িসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আটকরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এই চক্রের সদস্য ১০ থেকে ১২ জন। তারা রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকা বিশেষ করে গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টির নামে মাদক সেবনসহ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকা-ের ব্যবস্থা করে থাকেন। পার্টিতে তারা অংশগ্রহণকারীদের নিকট হতে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন। অংশগ্রহণকারীরা সাধারণত উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্য।’