ঢাকা ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

মৌসুমি বায়ু সক্রিয়, বৃষ্টি থাকবে মাসজুড়ে

  • আপডেট সময় : ০৯:০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: উত্তর বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দেশের সব বিভাগেই কম-বেশি বৃষ্টি হচ্ছে; যা জুন মাসের বাকি দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে বলেন, যেহেতু এটা বর্ষা মৌসুম, বৃষ্টিপাত থাকবে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় মোটামুটি এই মাসটাতেই বৃষ্টি থাকবে। মাঝে হয়ত কমতে পারে। কিন্তু বৃষ্টি থাকবে। সামনে আরো বাড়বে বৃষ্টিপাত।

এদিকে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় মঙ্গলবার থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা; ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি; ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সোমেশ্বরী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অববাহিকায় আগামী তিন দিন মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এই নদীগুলোর পানি সমতল আগামী তিন দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সিলেট জেলার সারিগোয়াইন নদী, সুনামগঞ্জ জেলার যাদুকাটা নদী ও নেত্রকোণা জেলার সোমেশ্বরী নদী আগামী ৪৮ ঘণ্টা সতর্কসীমায় (বিপৎসীমার কাছাকাছি) প্রবাহিত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের শুক্রবার (২০ জুন) সকালের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, উত্তর পূর্ব ঝাড়খণ্ড এবং তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

শুক্রবার (২০ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। এই সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কুতুবদিয়ায়; ৭৫ মিলিমিটার। এছাড়া, বান্দরবানে ৬৪ মিলিমিটার, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে ৬৩ মিলিমিটার, ফরিদপুরে ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে কম-বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মোংলায়; ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মৌসুমি বায়ু সক্রিয়, বৃষ্টি থাকবে মাসজুড়ে

আপডেট সময় : ০৯:০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: উত্তর বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দেশের সব বিভাগেই কম-বেশি বৃষ্টি হচ্ছে; যা জুন মাসের বাকি দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে বলেন, যেহেতু এটা বর্ষা মৌসুম, বৃষ্টিপাত থাকবে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় মোটামুটি এই মাসটাতেই বৃষ্টি থাকবে। মাঝে হয়ত কমতে পারে। কিন্তু বৃষ্টি থাকবে। সামনে আরো বাড়বে বৃষ্টিপাত।

এদিকে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় মঙ্গলবার থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা; ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি; ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সোমেশ্বরী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অববাহিকায় আগামী তিন দিন মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এই নদীগুলোর পানি সমতল আগামী তিন দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সিলেট জেলার সারিগোয়াইন নদী, সুনামগঞ্জ জেলার যাদুকাটা নদী ও নেত্রকোণা জেলার সোমেশ্বরী নদী আগামী ৪৮ ঘণ্টা সতর্কসীমায় (বিপৎসীমার কাছাকাছি) প্রবাহিত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের শুক্রবার (২০ জুন) সকালের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, উত্তর পূর্ব ঝাড়খণ্ড এবং তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

শুক্রবার (২০ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। এই সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কুতুবদিয়ায়; ৭৫ মিলিমিটার। এছাড়া, বান্দরবানে ৬৪ মিলিমিটার, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে ৬৩ মিলিমিটার, ফরিদপুরে ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে কম-বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মোংলায়; ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।