ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

মৌলভীবাজার খুঁড়িয়ে চলছে কমিউনিটি ক্লিনিক

  • আপডেট সময় : ১২:২৯:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারে বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে ১৮৩টি। প্রতিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ছয় হাজার মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার কথা। তবে পর্যাপ্ত নজরদারি ও তদারকির অভাবে খুঁড়িয়ে চলছে এসব ক্লিনিকের কার্যক্রম। সরেজমিনে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের রায়শ্রী কমিউনিটি ক্লিনিকে দেখা যায়, ক্লিনিকে তালা ঝুলছে। দেখেই মনে হলো অনেকদিন ধরেই বন্ধ ক্লিনিকটি। এসময় ক্লিনিকের সামনে দিয়ে যাওয়া পথচারী সাজ্জাদ বলেন, ‘প্রায় সময়ই বন্ধ থাকে ক্লিনিকটি। মাঝেমধ্যে খোলে। ভালো সেবা পাওয়া যায় না। জমুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, কর্মরত দুজন বসে খাতায় লেখালেখি করছেন। রোগীদের তেমন আনাগোনা নেই। ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) জেসমিন বেগম বলেন, ক্লিনিক সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে আমি শুরু থেকেই এখানে কর্মরত। ক্লিনিকের সামনে থাকা রোগী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বেশিরভাগ দিনই ক্লিনিক খোলা থাকে না। আজ খোলা দেখে এলাম। যেদিন খোলা হয়, এক ঘণ্টার মতো খোলা রেখে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই অভিযোগ করলেন তার সঙ্গে থাকা নুর মিয়া। খলিলপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি জসিম মিয়া বলেন, ‘বাস্তবিক দিক দিয়ে একই বেতনে ১৪ বছর ধরে সিএইচসিপিরা চাকরি করছেন। এই পদকে রাজস্ব খাতভুক্ত করতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের মতো অনেকের মন ভেঙে পড়েছে। ঠিকমতো বেতনও পাওয়া যায় না। তারপরও আমরা কমিউনিটি ক্লিনিককে আগলে রাখার চেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছি।’ খলিলপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি রাখী ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমার ক্লিনিকে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে আমরা পরিষ্কার করে ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু করি। তবে মাসখানেক ধরে আমার এখানে এফডব্লিউএ ও এইচএ নেই। নিজেই সবকাজ করি।’

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মৌলভীবাজার খুঁড়িয়ে চলছে কমিউনিটি ক্লিনিক

আপডেট সময় : ১২:২৯:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারে বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে ১৮৩টি। প্রতিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ছয় হাজার মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার কথা। তবে পর্যাপ্ত নজরদারি ও তদারকির অভাবে খুঁড়িয়ে চলছে এসব ক্লিনিকের কার্যক্রম। সরেজমিনে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের রায়শ্রী কমিউনিটি ক্লিনিকে দেখা যায়, ক্লিনিকে তালা ঝুলছে। দেখেই মনে হলো অনেকদিন ধরেই বন্ধ ক্লিনিকটি। এসময় ক্লিনিকের সামনে দিয়ে যাওয়া পথচারী সাজ্জাদ বলেন, ‘প্রায় সময়ই বন্ধ থাকে ক্লিনিকটি। মাঝেমধ্যে খোলে। ভালো সেবা পাওয়া যায় না। জমুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, কর্মরত দুজন বসে খাতায় লেখালেখি করছেন। রোগীদের তেমন আনাগোনা নেই। ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) জেসমিন বেগম বলেন, ক্লিনিক সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে আমি শুরু থেকেই এখানে কর্মরত। ক্লিনিকের সামনে থাকা রোগী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বেশিরভাগ দিনই ক্লিনিক খোলা থাকে না। আজ খোলা দেখে এলাম। যেদিন খোলা হয়, এক ঘণ্টার মতো খোলা রেখে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই অভিযোগ করলেন তার সঙ্গে থাকা নুর মিয়া। খলিলপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি জসিম মিয়া বলেন, ‘বাস্তবিক দিক দিয়ে একই বেতনে ১৪ বছর ধরে সিএইচসিপিরা চাকরি করছেন। এই পদকে রাজস্ব খাতভুক্ত করতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের মতো অনেকের মন ভেঙে পড়েছে। ঠিকমতো বেতনও পাওয়া যায় না। তারপরও আমরা কমিউনিটি ক্লিনিককে আগলে রাখার চেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছি।’ খলিলপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি রাখী ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমার ক্লিনিকে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে আমরা পরিষ্কার করে ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু করি। তবে মাসখানেক ধরে আমার এখানে এফডব্লিউএ ও এইচএ নেই। নিজেই সবকাজ করি।’