মহানগর প্রতিবেদন : রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকা থেকে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাÐের সঙ্গে জড়িত ৫টি কিশোর গ্যাংয়ের ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
গতকাল রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকায় বেশ কয়েকটি ‘কিশোর গ্যাং’-এর চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব সন্ত্রাসীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি ও মামলা হয়। বিভিন্ন ‘কিশোর গ্যাং’-এর সন্ত্রাসীরা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বি¯Íারের লক্ষ্যে এক গ্রæপ অপর গ্রæপের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে মারামারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়। স¤প্রতি মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডির আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাÐ সম্পর্কে তথ্য পায় র্যাব। ফলশ্রুতিতে র্যাবের টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়। রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাÐে জড়িত কিশোর গ্যাং ‘আক্তার গ্রæপের’র অন্যতম মূলহোতা মো. আক্তার (২৪) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।
‘মাসুম গ্যাং’-এর প্রধান ও ২টি মামলার আসামি মো. মাসুম (২৫) গ্রেফতার হয়েছেন সহযোগীসহ। ‘পিনিক গ্রæপের’র লিডার হাসান (২৯) তিন সহযোগীসহ, ‘বাপ্পী গ্রæপের’র লিডার মো. বাপ্পি (২৭) দুই সহযোগীসহ, ‘লিমন গ্রæপে’র হোতা মো. লিমন (২২) গ্রেফতার হয়েছেন ১০ সহযোগীসহ। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, ছুরি, চাকু, চাইনিজ কুড়াল, অ্যান্টি কাটার ও বিভিন্ন দেশীয় ধারালো অস্ত্র। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম বলেন, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, আদাবর, ঢাকা উদ্যান ও ধানমন্ডি এলাকায় চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো তারা। বিভিন্ন সময় ওইসব এলাকায় মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এছাড়া মাদক সেবনসহ ওই এলাকায় দিনে গাড়ির ড্রাইভার, হেলপারসহ বিভিন্ন পেশার আড়ালে রাতে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো বলে জানান তিনি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হ¯Íান্তর করা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন থানায়।
মোহাম্মদপুর-ধানমন্ডিতে কিশোর গ্যাংয়ের ২৫ সদস্য গ্রেফতার
জনপ্রিয় সংবাদ