ঢাকা ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

মোশাররফকে নিয়ে চ্যালেঞ্জিং শুটিং শেষ করলেন ব্রাত্য

  • আপডেট সময় : ০২:০৩:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : মোশাররফ করিমকে নিয়ে ‘ডিকশনারি’ মুক্তির পর পরই নতুন ছবির ঘোষণা দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দাপুটে অভিনেতা ও নির্দেশক ব্রাত্য বসু। হুগলির ‘দাউদ ইব্রাহিম’ খ্যাত গ্যাংস্টার হুব্বা শ্যামলকে নিয়ে সদ্যই সেই ছবির শুটিং শেষ করেছেন এই নির্দেশক। গ্যাংস্টার হুব্বাকে নিয়ে ব্রাত্য বসুর সেই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। ছবিতে হুব্বার চরিত্রে মোশাররফকে দেখতে কেমন লাগবে, তা আগেই প্রকাশ করেছেন নির্মাতা। এবার ‘হুব্বা’র শুটিং সম্পন্ন হওয়ার খবর জানিয়ে বেশকিছু স্থিরচিত্র প্রকাশ করেছেন ব্রাত্য বসু। নির্মাতা ব্রাত্য বসু শুটিং শেষ হয়েছে জানিয়ে কিছু স্থিরচিত্র শেয়ার করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নতুন ক্রাইম থ্রিলার গ্যাংস্টার ছবি ‘হুব্বা’র শেষ পর্বের বর্ণময় এবং চ্যালেঞ্জিং শুটিং শেষ হল।’ তিনি লিখেছেন,‘ছবিতে নাম ভূমিকায় আছেন মোশাররফ করিম। সঙ্গে আছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। তা ছাড়া নতুন একঝাঁক থিয়েটারের ডিসিপ্লিন্ড সম্ভাবনাময় এবং পোড়খাওয়া উদ্দীপক অভিনেতা অভিনেত্রীরাও আছেন।’
এরআগে ব্রাত্য বসু কলকাতার সংবাদ মাধ্যমকে ছবিটি নিয়ে বলেন, ‘ডিকশনারি’-তে পুরোদস্তুর সম্পর্কের গল্প বলেছিলাম, এবারের ছবির প্রেক্ষাপট রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থা। এটিকে পটিলিক্যাল থ্রিলার বলা যায়। কিন্তু কে এই হুব্বা শ্যামল? হুগলির দাউদ ইব্রাহিম নামেও পরিচিত ছিলেন এই গ্যাংস্টার। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে আবির্ভূত হন হুব্বা। হুগলি জেলার অন্ধকার জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি। খুন, অপহরণ, ড্রাগ পাচারের ৩০টি মামলা ছিল তার বিরুদ্ধে, পুলিশের হাতে তিনবার গ্রেপ্তার হয়েও জামিনে ছাড়া পান। ২০০৫ সালে সল্ট লেক থেকে হুব্বার অতিনাটকীয় গ্রেপ্তারির কথা আজও মনে রেখেছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। শোনা যায়, ৭০টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করত হুব্বা। এই ডন ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে স্বাধীনভাবে ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন। যাতে বেজায় বিপাকেও পড়েছিল শাসকদল। পরবর্তী সময়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন তিনি। ২০১১ সালে বেশকিছুদিন নিখোঁজ থাকার পর বৈদ্যবাটির খালে হুব্বা শ্যামলের পচগলা দেহ ভেসে উঠে, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক নারীকে দুই ভাই বিয়ে করে বললেন- আমরা গর্বিত

মোশাররফকে নিয়ে চ্যালেঞ্জিং শুটিং শেষ করলেন ব্রাত্য

আপডেট সময় : ০২:০৩:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২

বিনোদন ডেস্ক : মোশাররফ করিমকে নিয়ে ‘ডিকশনারি’ মুক্তির পর পরই নতুন ছবির ঘোষণা দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দাপুটে অভিনেতা ও নির্দেশক ব্রাত্য বসু। হুগলির ‘দাউদ ইব্রাহিম’ খ্যাত গ্যাংস্টার হুব্বা শ্যামলকে নিয়ে সদ্যই সেই ছবির শুটিং শেষ করেছেন এই নির্দেশক। গ্যাংস্টার হুব্বাকে নিয়ে ব্রাত্য বসুর সেই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। ছবিতে হুব্বার চরিত্রে মোশাররফকে দেখতে কেমন লাগবে, তা আগেই প্রকাশ করেছেন নির্মাতা। এবার ‘হুব্বা’র শুটিং সম্পন্ন হওয়ার খবর জানিয়ে বেশকিছু স্থিরচিত্র প্রকাশ করেছেন ব্রাত্য বসু। নির্মাতা ব্রাত্য বসু শুটিং শেষ হয়েছে জানিয়ে কিছু স্থিরচিত্র শেয়ার করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নতুন ক্রাইম থ্রিলার গ্যাংস্টার ছবি ‘হুব্বা’র শেষ পর্বের বর্ণময় এবং চ্যালেঞ্জিং শুটিং শেষ হল।’ তিনি লিখেছেন,‘ছবিতে নাম ভূমিকায় আছেন মোশাররফ করিম। সঙ্গে আছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। তা ছাড়া নতুন একঝাঁক থিয়েটারের ডিসিপ্লিন্ড সম্ভাবনাময় এবং পোড়খাওয়া উদ্দীপক অভিনেতা অভিনেত্রীরাও আছেন।’
এরআগে ব্রাত্য বসু কলকাতার সংবাদ মাধ্যমকে ছবিটি নিয়ে বলেন, ‘ডিকশনারি’-তে পুরোদস্তুর সম্পর্কের গল্প বলেছিলাম, এবারের ছবির প্রেক্ষাপট রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থা। এটিকে পটিলিক্যাল থ্রিলার বলা যায়। কিন্তু কে এই হুব্বা শ্যামল? হুগলির দাউদ ইব্রাহিম নামেও পরিচিত ছিলেন এই গ্যাংস্টার। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে আবির্ভূত হন হুব্বা। হুগলি জেলার অন্ধকার জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি। খুন, অপহরণ, ড্রাগ পাচারের ৩০টি মামলা ছিল তার বিরুদ্ধে, পুলিশের হাতে তিনবার গ্রেপ্তার হয়েও জামিনে ছাড়া পান। ২০০৫ সালে সল্ট লেক থেকে হুব্বার অতিনাটকীয় গ্রেপ্তারির কথা আজও মনে রেখেছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। শোনা যায়, ৭০টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করত হুব্বা। এই ডন ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে স্বাধীনভাবে ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন। যাতে বেজায় বিপাকেও পড়েছিল শাসকদল। পরবর্তী সময়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন তিনি। ২০১১ সালে বেশকিছুদিন নিখোঁজ থাকার পর বৈদ্যবাটির খালে হুব্বা শ্যামলের পচগলা দেহ ভেসে উঠে, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তার।