ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

মোল্লা বারাদারের নিহত হওয়ার কথা অস্বীকার তালেবানের

  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তালেবানের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও তাদের নতুন সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা বারাদারের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীটি।
কাবুলের পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে পরাজিত করে ক্ষমতা নেওয়ার পর গোষ্ঠীটির অভ্যন্তরীণ বিভক্তির মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে গুজব ছড়ানোর পর তালেবান তা অস্বীকার করে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তালেবান মুখপাত্র সুলাইল শাহীন জানিয়েছেন, মোল্লা আবদুল গনি বারাদার একটি ভয়েস ম্যাসেজে এক সংঘর্ষে তার নিহত বা আহত হওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। “তিনি বলেছেন এটি মিথ্যা এবং পুরোপুরি ভিত্তিহীন,” এক টুইটার বার্তায় বলেছেন শাহীন। তালেবান একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে, সেটিতে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কান্দাহারে এক বৈঠকে বারাদারকে দেখানো হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এই ফুটেজটি যাচাই করে দেখতে পারেনি রয়টার্স।
মোল্লা বারাদার তালেবানের রাজনৈতিক দপ্তরের সাবেক প্রধান এবং গত সপ্তাহে ঘোষিত সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
বারাদারের সমর্থকদের সঙ্গে হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানির সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে বলে কয়েকদিন ধরেই গুজব ছড়াচ্ছিল। পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন আফগানিস্তানের এলাকাগুলো ভিত্তিক হাক্কানি নেটওয়ার্ককে যুদ্ধ চলাকালে সবচেয়ে ভয়াবহ কিছু আত্মঘাতী হামলার জন্য দায়ী করা হয়।
হাক্কানিদের মতো সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে বারাদারের মতো দোহার রাজনৈতিক দপ্তরভিত্তিক নেতাদের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার জল্পনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়াতে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছতে তালেবানের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বারাদার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
অভ্যন্তরীণ বিভক্তি নিয়ে এসব জল্পনা বরাবর অস্বীকার করে এসেছে তালেবান।
এক সময় যাকে নতুন তালেবান সরকারের সম্ভাব্য প্রধান বলে মনে করা হতো সেই বারাদারকে গত কিছুদিন ধরে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। রোববার কাবুলে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সঙ্গে তালেবানের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিদের বৈঠকেও বারাদার উপস্থিত ছিলেন না।
তালেবান ১৫ অগাস্ট কাবুল দখল করে নেওয়ার পর থেকে গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাকেও এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তবে গত সপ্তাহে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর একটি প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়েছিলেন তিনি। তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের মৃত্যুর পর প্রায় দুই বছর খবরটি গোপন করে রেখেছিল গোষ্ঠীটি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মোল্লা বারাদারের নিহত হওয়ার কথা অস্বীকার তালেবানের

আপডেট সময় : ১১:৫৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তালেবানের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও তাদের নতুন সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা বারাদারের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীটি।
কাবুলের পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে পরাজিত করে ক্ষমতা নেওয়ার পর গোষ্ঠীটির অভ্যন্তরীণ বিভক্তির মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে গুজব ছড়ানোর পর তালেবান তা অস্বীকার করে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তালেবান মুখপাত্র সুলাইল শাহীন জানিয়েছেন, মোল্লা আবদুল গনি বারাদার একটি ভয়েস ম্যাসেজে এক সংঘর্ষে তার নিহত বা আহত হওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। “তিনি বলেছেন এটি মিথ্যা এবং পুরোপুরি ভিত্তিহীন,” এক টুইটার বার্তায় বলেছেন শাহীন। তালেবান একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে, সেটিতে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কান্দাহারে এক বৈঠকে বারাদারকে দেখানো হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এই ফুটেজটি যাচাই করে দেখতে পারেনি রয়টার্স।
মোল্লা বারাদার তালেবানের রাজনৈতিক দপ্তরের সাবেক প্রধান এবং গত সপ্তাহে ঘোষিত সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
বারাদারের সমর্থকদের সঙ্গে হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানির সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে বলে কয়েকদিন ধরেই গুজব ছড়াচ্ছিল। পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন আফগানিস্তানের এলাকাগুলো ভিত্তিক হাক্কানি নেটওয়ার্ককে যুদ্ধ চলাকালে সবচেয়ে ভয়াবহ কিছু আত্মঘাতী হামলার জন্য দায়ী করা হয়।
হাক্কানিদের মতো সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে বারাদারের মতো দোহার রাজনৈতিক দপ্তরভিত্তিক নেতাদের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার জল্পনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়াতে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছতে তালেবানের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বারাদার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
অভ্যন্তরীণ বিভক্তি নিয়ে এসব জল্পনা বরাবর অস্বীকার করে এসেছে তালেবান।
এক সময় যাকে নতুন তালেবান সরকারের সম্ভাব্য প্রধান বলে মনে করা হতো সেই বারাদারকে গত কিছুদিন ধরে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। রোববার কাবুলে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সঙ্গে তালেবানের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিদের বৈঠকেও বারাদার উপস্থিত ছিলেন না।
তালেবান ১৫ অগাস্ট কাবুল দখল করে নেওয়ার পর থেকে গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাকেও এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তবে গত সপ্তাহে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর একটি প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়েছিলেন তিনি। তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের মৃত্যুর পর প্রায় দুই বছর খবরটি গোপন করে রেখেছিল গোষ্ঠীটি।