ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মোবাইল ফোন থেকে মনোযোগ সরানোর উপায়

  • আপডেট সময় : ০৬:৪৪:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: কী থাকে মোবাইল ফোনের ভেতর যে, রাস্তায় চলতে চলতেও দেখতে হবে! কিংবা ঘুম থেকে উঠেই হাতে ফোনটা না নিলে যেন পূর্ণ হয় না সকালটা! এরকম মানুষের সংখ্যা এখন কম নয়। নিজের দিকে তাকালেও দেখা যাবে, একই অভ্যাস গড়ে উঠেছে দিনে দিনে। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ফোনের ব্যবহার মন ও শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এই তথ্য জানিয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো ভিত্তিক চিকিৎসা-বিষয়ক নিবন্ধিত সমাজকর্মী টিম ক্লাইননেখট কয়েকটি পন্থা দিয়েছেন, যেগুলো অনুসরণ করে ফোনের ব্যবহার কমানো সম্ভব।

অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করা: ফোনের যে কোনো প্রকার আওয়াজ হওয়া মানেই, হাতে তুলে নিতে হবেই। প্রয়োজনীয় মেসেজ বা নোটিফিকেশনের আওয়াজ গুরুত্বপূর্ণ। তবে বেশিরভাগ সময়ই নোটিফিকেশনগুলো থাকে গুরুত্বহীন। যেমন- কোনো দোকানের তথ্য, ফেসবুকের কোনো অপ্রয়োজনীয় পেজের আপডেট, গেমস বা ফোনে থাকা অন্যান্য অ্যাপ’য়ের তথ্য। সারাক্ষণ এগুলোর নোটিফিকেশন আসতে থাকলে মনোযোগ সেদিকে যেতে বাধ্য। তাই অপ্রয়োজনীয় পেজ, গেম বা অ্যাপগুলোর সমস্ত নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিতে হবে। এতে ফোন হাতে নেওয়ার প্রবণতা কমবে।

নিয়ন্ত্রিত সেটিংস: অনেক ফোনেই এই ধরনের সুবিধা দেওয়া থাকে। সেগুলো চালু করে ফোন ব্যবহারের সময় কমানো যায়। যেমন একটি হল ‘ডু নট ডিসটার্ব মুড’। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর পন্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় নির্ধারণ করা যায়।

ধীরে শুরু করা: কোনো অভ্যাস একেবারে ছাড়া যায় না। সারাক্ষণ ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করার অভ্যাসও একবারে কমানো সম্ভব হবে না। এ জন্য ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হতে হবে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় কম ফোন দেখার মাধ্যমে এই অভ্যাস গড়া যায়।

শূন্যস্থান পূরণ করা: যে সময়টা ফোন ব্যবহার করা হবে না সেই সময়টা অন্য কিছুতে মনোযোগ দিতে হবে। এতে পুনরায় ফোন হাতে নেওয়ার ইচ্ছেটা দমিয়ে রাখা সম্ভব হবে। হতে পারে সেটা কোনো সখ পূরণ করা, বই পড়া, রান্না করা, শারীরিকভাবে পাড়া প্রতিবেশির খোঁজ নেওয়া কিংবা বাইরে থেকে হেঁটে আসা।

কার্যকর সীমারেখা তৈরি করা: ঘরের ভেতরেই এমন জায়গা নির্বাচন করা যেতে পারে, যেটা হবে ‘মোবাইল ফ্রি জোন’। যেমন- খাবার ঘর।

ফোন বাদ দিয়ে পরিবারের সবার সঙ্গে গল্প করতে করতে খেলে যেমন পারিবারিক বন্ধন উন্নত হয় তেমনি মানসিকভাবে ফোন ব্যবহার কম করার ক্ষেত্রে সীমারেখা তৈরি হবে। আবার ঘরে নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন করা যেতে পারে, যে সময়টায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হবে না। যেমন- ঘুমানোর অন্তত আধা ঘণ্টা আগ থেকে ফোন দেখা বন্ধ করে বই পড়া শুরু করা। এভাবে অভ্যাস করলে বিছানায় শুয়ে ফোন দেখা বন্ধ হবে, আর ভালো ঘুমও হবে রাতে।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মোবাইল ফোন থেকে মনোযোগ সরানোর উপায়

আপডেট সময় : ০৬:৪৪:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লাইফস্টাইল ডেস্ক: কী থাকে মোবাইল ফোনের ভেতর যে, রাস্তায় চলতে চলতেও দেখতে হবে! কিংবা ঘুম থেকে উঠেই হাতে ফোনটা না নিলে যেন পূর্ণ হয় না সকালটা! এরকম মানুষের সংখ্যা এখন কম নয়। নিজের দিকে তাকালেও দেখা যাবে, একই অভ্যাস গড়ে উঠেছে দিনে দিনে। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ফোনের ব্যবহার মন ও শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এই তথ্য জানিয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো ভিত্তিক চিকিৎসা-বিষয়ক নিবন্ধিত সমাজকর্মী টিম ক্লাইননেখট কয়েকটি পন্থা দিয়েছেন, যেগুলো অনুসরণ করে ফোনের ব্যবহার কমানো সম্ভব।

অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করা: ফোনের যে কোনো প্রকার আওয়াজ হওয়া মানেই, হাতে তুলে নিতে হবেই। প্রয়োজনীয় মেসেজ বা নোটিফিকেশনের আওয়াজ গুরুত্বপূর্ণ। তবে বেশিরভাগ সময়ই নোটিফিকেশনগুলো থাকে গুরুত্বহীন। যেমন- কোনো দোকানের তথ্য, ফেসবুকের কোনো অপ্রয়োজনীয় পেজের আপডেট, গেমস বা ফোনে থাকা অন্যান্য অ্যাপ’য়ের তথ্য। সারাক্ষণ এগুলোর নোটিফিকেশন আসতে থাকলে মনোযোগ সেদিকে যেতে বাধ্য। তাই অপ্রয়োজনীয় পেজ, গেম বা অ্যাপগুলোর সমস্ত নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিতে হবে। এতে ফোন হাতে নেওয়ার প্রবণতা কমবে।

নিয়ন্ত্রিত সেটিংস: অনেক ফোনেই এই ধরনের সুবিধা দেওয়া থাকে। সেগুলো চালু করে ফোন ব্যবহারের সময় কমানো যায়। যেমন একটি হল ‘ডু নট ডিসটার্ব মুড’। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর পন্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় নির্ধারণ করা যায়।

ধীরে শুরু করা: কোনো অভ্যাস একেবারে ছাড়া যায় না। সারাক্ষণ ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করার অভ্যাসও একবারে কমানো সম্ভব হবে না। এ জন্য ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হতে হবে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় কম ফোন দেখার মাধ্যমে এই অভ্যাস গড়া যায়।

শূন্যস্থান পূরণ করা: যে সময়টা ফোন ব্যবহার করা হবে না সেই সময়টা অন্য কিছুতে মনোযোগ দিতে হবে। এতে পুনরায় ফোন হাতে নেওয়ার ইচ্ছেটা দমিয়ে রাখা সম্ভব হবে। হতে পারে সেটা কোনো সখ পূরণ করা, বই পড়া, রান্না করা, শারীরিকভাবে পাড়া প্রতিবেশির খোঁজ নেওয়া কিংবা বাইরে থেকে হেঁটে আসা।

কার্যকর সীমারেখা তৈরি করা: ঘরের ভেতরেই এমন জায়গা নির্বাচন করা যেতে পারে, যেটা হবে ‘মোবাইল ফ্রি জোন’। যেমন- খাবার ঘর।

ফোন বাদ দিয়ে পরিবারের সবার সঙ্গে গল্প করতে করতে খেলে যেমন পারিবারিক বন্ধন উন্নত হয় তেমনি মানসিকভাবে ফোন ব্যবহার কম করার ক্ষেত্রে সীমারেখা তৈরি হবে। আবার ঘরে নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন করা যেতে পারে, যে সময়টায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হবে না। যেমন- ঘুমানোর অন্তত আধা ঘণ্টা আগ থেকে ফোন দেখা বন্ধ করে বই পড়া শুরু করা। এভাবে অভ্যাস করলে বিছানায় শুয়ে ফোন দেখা বন্ধ হবে, আর ভালো ঘুমও হবে রাতে।