নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় জব্দ করা মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট নিজের জিম্মায় রাখতে চেয়ে আবেদন করেছেন মেঘনা আলম।
ঢাকার মহানগর হাকিম এম.এ আজহারুল ইসলামের আদালতে রোববার (২২ জুন) হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফেরত চেয়ে আবেদন করেন মেঘনা।
এ বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার (২৩ জুন) দিন ঠিক করেছে আদালত। ধানমন্ডি মডেল থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই আবুল বাসার আব্দুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মেঘনার পক্ষে শুনানি করেন তাহমীম মহিমা বাঁধন, মহসিন রেজা শুনানি করেন। এ দিন আদালতে হাজির হন মেঘনা।
শুনানি শেষে মেঘনা বলেন, গণমাধ্যম একটা মানুষকে নিয়ে নিউজ করার আগে তার আইডেন্টিটি স্পেসিফিক করা গুরুত্বপূর্ণ। মিডিয়ায় আমাকে মডেল মেঘনা বলে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু প্রোফেশনাল আইডেন্টিটি হচ্ছে আমি একজন পলিটিক্যাল লিডারশিপ ট্রেইনার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষদের একটা বিষয়ে পরিস্কার হওয়া দরকার। আমার বিরুদ্ধে কোনো রাষ্ট্রদূতের ফরমাল অভিযোগ নেই। যে রাষ্ট্রদূতের কথা বলা হচ্ছে, তিনি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হন বা ভিক্টিম হন আদালতে এসে প্রমাণ দিয়ে যাক। মিথ্যা মামলা চালিয়ে রাষ্ট্র ও আমার বা সেই রাষ্ট্রদূতের কোনো লাভ হচ্ছে না।
নিজের গ্রেপ্তার নিয়ে মেঘনা আলম বলেন, গত ৯ এপ্রিল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলা যে তথ্য এসেছে সেটি ‘ভুল’। আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল। কারণ গ্রেপ্তার করার একটি আইনি প্রক্রিয়া থাকে, সেটা মানা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ, মামলা বা ওয়ারেন্ট ছিল না। আইনের লোক হোক বা না হোক আমার বাসায় এসে তাৎক্ষণিকভাবে হামলা করে জোর করে নিয়ে যায়। এটাকে আইনি ভাষায় অপহরণ বলে, গ্রেপ্তার বলে না।
গত ২৮ এপ্রিল ‘ডিটেনশন আইনে’ মেঘনা আলমের ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল করা হয়। ওইদিনই কারামুক্তি হন তিনি। এরপর থেকে তিনি জামিনে আছেন। গত ৯ এপ্রিল বাসা থেকে আটক হন মেঘনা আলম। পরদিন ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১৭ এপ্রিল রাজধানীর ধানমণ্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২৮ এপ্রিল এ মামলায় জামিন পান তিনি। ওইদিন ডিটেনশন আইনে মেঘনা আলমের ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল করা হয়। পরদিন (২৯ এপ্রিল) কারামুক্ত হন মেঘনা।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, মেঘনা আলম, দেওয়ার সমিরসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক/প্রতিনিধি ও দেশীয় ধণাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করায়। এবং কৌশলে বিভিন্ন উপায়ে তাদের সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে থাকে।