প্রযুক্তি ডেস্ক : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল সংযুক্তি এবং শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য অপরিহার্য। দেশের মানুষকে ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়কে নিয়ে আসার জন্য দায়িত্ব নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট একদেশ একরেটের আওতায় এনেছি। মোবাইল ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হবে। বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদযাপন উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যম সুন্দর সিকদার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব-উল-আলম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবেসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিঅ্যান্ডটি বোর্ড গঠন ও কারিগরি শিক্ষা প্রসারে গৃহীত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল সংযুক্তি অপরিহার্য। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা ডিজিটাল রূপান্তরের স্থপতি সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ডিজিটাল সংযুক্তি নিশ্চিত করতে ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক নির্মাণসহ বহুমুখী ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তুলতে বিগত ১৪ বছরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৭ মে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের এক অনন্য দিন, বাঙালি জাতির জন্য এই দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পঁচাত্তর পরবর্তী ছয় বছরের লড়াই, দুখ-কষ্ট, নানা প্রতিকুলতা অতিক্রম করে বাংলাদেশে পদার্পন করেছিলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে দেশে টুজি, ২০১৩ সালে থ্রিজি, ২০১৮ সালে ফোরজি এবং ২০২১ সালে ফাইভ জি প্রচলন করেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যান মূল প্রবন্ধে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্মার্ট সংযোগ, স্মার্ট ডিভাইস বৃদ্ধি, মানব সম্পদ উন্নয়নে প্রশিক্ষণ, স্মার্ট প্রোগ্রেস মনিটরিং-এর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ড. শাহজাহান মাহমুদ ডিজিটাল ডিভাইড দূর করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি সহজ লভ্য করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। ড. মুহাম্মন মাহফুজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষায় আমাদের প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এখন ক্লাসরুমের প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষক বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতে পারছে।
মোবাইল ইন্টারনেটেও ‘এক দেশ এক রেট’
ট্যাগস :
মোবাইল ইন্টারনেটেও ‘এক দেশ এক রেট’
জনপ্রিয় সংবাদ