ঢাকা ০২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

মোদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান নিয়ে চুপ থাকবেন না: সুনীল শর্মা

  • আপডেট সময় : ১২:৩০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপু দাস নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরের কিস্তওয়ারে বিক্ষোভ করেছে একটি হিন্দু সংগঠন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিজেপির নেতা ও বিধান সভার বিরোধী নেতা সুনীল শর্মা। তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নিয়ে চুপ থাকবেন না।

সুনীল শর্মা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ভয় পায়। তিনি বিশ্বের সব, বিশেষ করে বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য আশার প্রতীক। শর্মা দাবি করেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে সুপারপাওয়ারে পরিণত হবে। তিনি আরো বলেন, কিছু দেশ মিলে ভারতের দুর্বল করার ষড়যন্ত্র করছে।

বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন সনাতন ধর্ম সেবার প্রেসিডেন্ট মোহন্ত রাম সারন দাস আচার্য্য। তারা একটি ‘বন্ধ’ কর্মসূচিও ঘোষণা করেন, যাতে সাড়া দিয়ে কিছু দোকানি দোকান বন্ধ রাখেন।

সুনীল শর্মা বিক্ষোভে আরো মন্তব্য করেন, বাংলাদেশে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত নির্বাচন বিলম্বিত করার প্রচেষ্টা চলছে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নিয়ে মোদি চুপ থাকবেন না। তার বক্তব্য অনুযায়ী, মোদি সব সময় সংবেদনশীল বিষয়গুলোতে সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে যা ঘটছে, তা কয়েকটি দেশের উসকানির কারণে। এসব ঘটনা ভারতের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। সুনীল শর্মা মনে করেন, দেশের সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য মোদির নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ।

এই বিক্ষোভে সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। হিন্দুত্ববাদী নেতারা বিক্ষোভের মাধ্যমে রাজনৈতিক এবং সামাজিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রতিবেশী দেশের বিষয়গুলোতে মোদির পদক্ষেপ সমালোচনার মধ্যেও তার সমর্থকদের মধ্যে আশার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। সুনীল শর্মার বক্তব্যও এই প্রেক্ষাপটকে ফুটিয়ে তোলে।

বিক্ষোভ ও বিক্ষিপ্ত সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে সমন্বয় করে বিক্ষোভ স্থল পর্যবেক্ষণ করছে।

সুনীল শর্মার বক্তব্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বিষয়ে ভারত সরকারের অবস্থান ও প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এই ধরনের রাজনৈতিক বার্তা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও সংবাদে এসেছে।

এসি/আপ্র/২৩/১২/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মোদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান নিয়ে চুপ থাকবেন না: সুনীল শর্মা

আপডেট সময় : ১২:৩০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপু দাস নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরের কিস্তওয়ারে বিক্ষোভ করেছে একটি হিন্দু সংগঠন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিজেপির নেতা ও বিধান সভার বিরোধী নেতা সুনীল শর্মা। তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নিয়ে চুপ থাকবেন না।

সুনীল শর্মা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ভয় পায়। তিনি বিশ্বের সব, বিশেষ করে বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য আশার প্রতীক। শর্মা দাবি করেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে সুপারপাওয়ারে পরিণত হবে। তিনি আরো বলেন, কিছু দেশ মিলে ভারতের দুর্বল করার ষড়যন্ত্র করছে।

বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন সনাতন ধর্ম সেবার প্রেসিডেন্ট মোহন্ত রাম সারন দাস আচার্য্য। তারা একটি ‘বন্ধ’ কর্মসূচিও ঘোষণা করেন, যাতে সাড়া দিয়ে কিছু দোকানি দোকান বন্ধ রাখেন।

সুনীল শর্মা বিক্ষোভে আরো মন্তব্য করেন, বাংলাদেশে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত নির্বাচন বিলম্বিত করার প্রচেষ্টা চলছে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নিয়ে মোদি চুপ থাকবেন না। তার বক্তব্য অনুযায়ী, মোদি সব সময় সংবেদনশীল বিষয়গুলোতে সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে যা ঘটছে, তা কয়েকটি দেশের উসকানির কারণে। এসব ঘটনা ভারতের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। সুনীল শর্মা মনে করেন, দেশের সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য মোদির নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ।

এই বিক্ষোভে সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। হিন্দুত্ববাদী নেতারা বিক্ষোভের মাধ্যমে রাজনৈতিক এবং সামাজিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রতিবেশী দেশের বিষয়গুলোতে মোদির পদক্ষেপ সমালোচনার মধ্যেও তার সমর্থকদের মধ্যে আশার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। সুনীল শর্মার বক্তব্যও এই প্রেক্ষাপটকে ফুটিয়ে তোলে।

বিক্ষোভ ও বিক্ষিপ্ত সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে সমন্বয় করে বিক্ষোভ স্থল পর্যবেক্ষণ করছে।

সুনীল শর্মার বক্তব্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বিষয়ে ভারত সরকারের অবস্থান ও প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এই ধরনের রাজনৈতিক বার্তা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও সংবাদে এসেছে।

এসি/আপ্র/২৩/১২/২০২৫