ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মোদির শাসনে কমছে ভারতীয়দের জীবনযাত্রার মান

  • আপডেট সময় : ০৬:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক: ভারতে সাধারণ মানুষের মধ্যে জীবনযাত্রার মান উন্নত হওয়ার আশা ক্রমেই কমছে। মজুরি স্থবির থাকা এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে নাগরিকদের মধ্যে। সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

এ সপ্তাহেই বার্ষিক বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তার আগে সি-ভোটার পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, প্রায় ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, আগামী এক বছরে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান আরও খারাপ হবে। ২০১৩ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ হার বলে জানানো হয়েছে।
দিল্লিভিত্তিক জরিপ সংস্থাটি জানায়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ৫ হাজার ২৬৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক এই জরিপে অংশ নেন। এতে দেখা গেছে, ক্রমাগত উচ্চ মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের ব্যয়ভার বাড়িয়ে দিয়েছে এবং তাদের ব্যয়ক্ষমতা সংকুচিত করেছে।

বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত চলতি বছরে গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে ধীর প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ উত্তরদাতা বলেছেন, মোদীর শাসনামলে ভারতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণহীন রয়ে গেছে।
অর্ধেকের বেশি অংশগ্রহণকারী জানান, ক্রমাগত মূল্যস্ফীতির কারণে তাদের জীবনযাত্রার মান ‘নেতিবাচকভাবে’ প্রভাবিত হয়েছে।

কর্মসংস্থানে আশার আলো নেই: বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হলেও ভারতে কর্মসংস্থানের পর্যাপ্ত সুযোগ নেই। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় অর্ধেক জানিয়েছেন, তাদের ব্যক্তিগত আয় গত এক বছরে অপরিবর্তিত থাকলেও ব্যয় বেড়েছে। আর দুই-তৃতীয়াংশের মতে, এই ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতি সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

গত বছরের বাজেটে ভারত সরকার পাঁচ বছরে বিভিন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রকল্পে প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছিল। তবে এই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন এখনো শুরুই হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবারের বাজেটে অর্থনীতির গতি বাড়ানো, মানুষের আয় বৃদ্ধি এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর চাপ কমানোর জন্য নানা পদক্ষেপ ঘোষণা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তা বাস্তবায়ন কতটা কার্যকর হবে, সেটি সময়ই বলে দেবে। সূত্র: রয়টার্স।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

মোদির শাসনে কমছে ভারতীয়দের জীবনযাত্রার মান

আপডেট সময় : ০৬:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক: ভারতে সাধারণ মানুষের মধ্যে জীবনযাত্রার মান উন্নত হওয়ার আশা ক্রমেই কমছে। মজুরি স্থবির থাকা এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে নাগরিকদের মধ্যে। সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

এ সপ্তাহেই বার্ষিক বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তার আগে সি-ভোটার পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, প্রায় ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, আগামী এক বছরে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান আরও খারাপ হবে। ২০১৩ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ হার বলে জানানো হয়েছে।
দিল্লিভিত্তিক জরিপ সংস্থাটি জানায়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ৫ হাজার ২৬৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক এই জরিপে অংশ নেন। এতে দেখা গেছে, ক্রমাগত উচ্চ মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের ব্যয়ভার বাড়িয়ে দিয়েছে এবং তাদের ব্যয়ক্ষমতা সংকুচিত করেছে।

বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত চলতি বছরে গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে ধীর প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ উত্তরদাতা বলেছেন, মোদীর শাসনামলে ভারতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণহীন রয়ে গেছে।
অর্ধেকের বেশি অংশগ্রহণকারী জানান, ক্রমাগত মূল্যস্ফীতির কারণে তাদের জীবনযাত্রার মান ‘নেতিবাচকভাবে’ প্রভাবিত হয়েছে।

কর্মসংস্থানে আশার আলো নেই: বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হলেও ভারতে কর্মসংস্থানের পর্যাপ্ত সুযোগ নেই। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় অর্ধেক জানিয়েছেন, তাদের ব্যক্তিগত আয় গত এক বছরে অপরিবর্তিত থাকলেও ব্যয় বেড়েছে। আর দুই-তৃতীয়াংশের মতে, এই ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতি সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

গত বছরের বাজেটে ভারত সরকার পাঁচ বছরে বিভিন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রকল্পে প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছিল। তবে এই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন এখনো শুরুই হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবারের বাজেটে অর্থনীতির গতি বাড়ানো, মানুষের আয় বৃদ্ধি এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর চাপ কমানোর জন্য নানা পদক্ষেপ ঘোষণা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তা বাস্তবায়ন কতটা কার্যকর হবে, সেটি সময়ই বলে দেবে। সূত্র: রয়টার্স।