ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

মোদির নতুন মন্ত্রিসভার ৪২ শতাংশের বিরুদ্ধে খুন-রাহাজানির মামলা, কোটিপতি ৯০%

  • আপডেট সময় : ১২:০৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় ৪২ শতাংশের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে। অধিকাংশের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা ও রাহাজানির অভিযোগে এসব মামলা হয়েছে। মন্ত্রীদের এই ‘অপরাধ প্রবণতার’ পাশাপাশি সম্পদের পরিমাণও তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। ৯০ শতাংশ মন্ত্রীই কোটিপতি।
মোদির মন্ত্রিসভার সাম্প্রতিক রদবদলের পর মানবাধিকার সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেটিক রিফর্মস’ বা এডিআরের প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি গত বুধবার তাঁর মন্ত্রিসভার রদবদল ঘটান, যুক্ত করেন ৩৬ জন নতুন মন্ত্রী। এই সম্প্রসারণ ও রদবদলের পর মন্ত্রিপরিষদের বহর বেড়ে হয়েছে ৭৮।
এডিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ৭৮ জনের মধ্যে ৩৩ জনের (৪২ শতাংশ) বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে। তাঁদের মধ্যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা ও রাহাজানির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুনের অভিযোগ রয়েছে। ৩৫ বছরের সর্বকনিষ্ঠ এই মন্ত্রীকে মোদি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন। জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক, পঙ্কজ চৌধুরী ও ভি মুরলিধরনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা দাখিল করেন, এডিআরের এই প্রতিবেদন তার ভিত্তিতেই তৈরি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে মোদি দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে যে মন্ত্রিসভা গড়েন, তার তুলনায় এবার মামলা থাকা মন্ত্রীদের সংখ্যা বেড়েছে। সেবার ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ ছিল ৩৯ শতাংশের বিরুদ্ধে, এবার ৪২ শতাংশ। কোটিপতি মন্ত্রীর সংখ্যা দুই বছর আগে ছিল ৯১ শতাংশ, এবার ৯০।
এই মন্ত্রিসভার ৭৮ জন সদস্যের মধ্যে ৭০ জনই কোটিপতি। এই কোটিপতিদের মধ্যে ৪ জনের সম্পদ ৫০ কোটির বেশি। মন্ত্রিসভার সবচেয়ে ধনী কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের সাবেক রাজপরিবারের এই সদস্যকে মোদি বেসামরিক পরিবহনমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন। তাঁর সম্পত্তির মোট পরিমাণ ৩৭৯ কোটি রুপি। তাঁর পরেই স্থান শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের। মুম্বাইয়ের এই রাজনীতিকের মোট সম্পত্তি ৯৫ কোটি রুপির।
মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে যাঁদের সম্পত্তি তুলনামূলকভাবে কম তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রতিমা ভৌমিক (৬ লাখ), পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের জন বার্লা (১৪ লাখ)।
মন্ত্রিসভা গঠনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি শিক্ষিত ও নবীনদের সুযোগ করে দিয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী ২১ জন মন্ত্রী স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী, ৯ জন পিএইচডি বা ডক্টরেট এবং ১৭ জন গ্র্যাজুয়েট। ১০ জন দশম শ্রেণি পাস এবং ২ জনের পড়াশোনা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

মোদির নতুন মন্ত্রিসভার ৪২ শতাংশের বিরুদ্ধে খুন-রাহাজানির মামলা, কোটিপতি ৯০%

আপডেট সময় : ১২:০৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় ৪২ শতাংশের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে। অধিকাংশের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা ও রাহাজানির অভিযোগে এসব মামলা হয়েছে। মন্ত্রীদের এই ‘অপরাধ প্রবণতার’ পাশাপাশি সম্পদের পরিমাণও তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। ৯০ শতাংশ মন্ত্রীই কোটিপতি।
মোদির মন্ত্রিসভার সাম্প্রতিক রদবদলের পর মানবাধিকার সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেটিক রিফর্মস’ বা এডিআরের প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি গত বুধবার তাঁর মন্ত্রিসভার রদবদল ঘটান, যুক্ত করেন ৩৬ জন নতুন মন্ত্রী। এই সম্প্রসারণ ও রদবদলের পর মন্ত্রিপরিষদের বহর বেড়ে হয়েছে ৭৮।
এডিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ৭৮ জনের মধ্যে ৩৩ জনের (৪২ শতাংশ) বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে। তাঁদের মধ্যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা ও রাহাজানির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুনের অভিযোগ রয়েছে। ৩৫ বছরের সর্বকনিষ্ঠ এই মন্ত্রীকে মোদি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন। জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক, পঙ্কজ চৌধুরী ও ভি মুরলিধরনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা দাখিল করেন, এডিআরের এই প্রতিবেদন তার ভিত্তিতেই তৈরি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে মোদি দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে যে মন্ত্রিসভা গড়েন, তার তুলনায় এবার মামলা থাকা মন্ত্রীদের সংখ্যা বেড়েছে। সেবার ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ ছিল ৩৯ শতাংশের বিরুদ্ধে, এবার ৪২ শতাংশ। কোটিপতি মন্ত্রীর সংখ্যা দুই বছর আগে ছিল ৯১ শতাংশ, এবার ৯০।
এই মন্ত্রিসভার ৭৮ জন সদস্যের মধ্যে ৭০ জনই কোটিপতি। এই কোটিপতিদের মধ্যে ৪ জনের সম্পদ ৫০ কোটির বেশি। মন্ত্রিসভার সবচেয়ে ধনী কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের সাবেক রাজপরিবারের এই সদস্যকে মোদি বেসামরিক পরিবহনমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন। তাঁর সম্পত্তির মোট পরিমাণ ৩৭৯ কোটি রুপি। তাঁর পরেই স্থান শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের। মুম্বাইয়ের এই রাজনীতিকের মোট সম্পত্তি ৯৫ কোটি রুপির।
মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে যাঁদের সম্পত্তি তুলনামূলকভাবে কম তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রতিমা ভৌমিক (৬ লাখ), পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের জন বার্লা (১৪ লাখ)।
মন্ত্রিসভা গঠনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি শিক্ষিত ও নবীনদের সুযোগ করে দিয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী ২১ জন মন্ত্রী স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী, ৯ জন পিএইচডি বা ডক্টরেট এবং ১৭ জন গ্র্যাজুয়েট। ১০ জন দশম শ্রেণি পাস এবং ২ জনের পড়াশোনা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত।