ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মোটা হওয়ার কারণ জানালেন সানাই!

  • আপডেট সময় : ০২:০১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

বিনোদন প্রতিবেদক: মোটা হয়ে গেছেন সানাই, এ নিয়ে চলছে আলোচনা। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সানাই মাহবুবকে দেখা যায় আদালত চত্বরে। সেখানে তার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। দেখা যায় বেশ মুটিয়ে গেছেন তিনি। বিশেষ করে বুকের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে চলতে থাকে ট্রল। নানা রকম কটাক্ষ দেখে অবশেষে মুখ খুলেছেন সানাই। জানালেন কারণ, তিনি হরমোনজনিত অসুখে ভুগছেন।

কয়েক বছর আগে কৃত্রিম উপায়ে স্তনের আকার বৃদ্ধি করে আলোচনায় এসেছিলেন তথাকথিত মডেল ও অভিনেত্রী সানাই মাহবুব। সেসময় সামাজিক মাধ্যমে তাকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ করতে দেখা যায় নেটিজেনদের। আবার অনেকে ‘অস্বাভাবিক ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্টের’র পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সতর্ক করে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে বলেন এই অভিনেত্রীকে। কিন্তু সেসব গায়ে মাখেননি তিনি।

সেই বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে গতকাল তার ছবি ও ভিডিও প্রকাশের পর। অনেকে তার শরীরের অস্বাভাবিক অবস্থা দেখে এটি নিয়ে তীর্যক মন্তব্যে মেতেছেন। কেউ কেউ এটাকে ‘ব্রেষ্ট ইমপ্ল্যান্ট’ করার প্রতিক্রিয়া বলছেন, কেউ বলছেন গজব।

আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সানাই। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‌‘আমার হাইপোথাইরয়েডের কারণে এরকম হয়েছে কোনো ব্রেস্ট সার্জারী থেকে ওরকম হয়নি। নিচে প্রমাণসহ প্রেসক্রিপশন দিয়েছি। আশা করি, আপনারা অশিক্ষিত না। পড়ে নেবেন যে কি কি রোগের কারণে আমি মোটা হয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি অনেকদিন ধরেই হাইপোথাইরয়েডিজমে ভুগছি এবং আমার মতো যে আপুরা ভুক্তভোগী তারা বুঝবেন এই রোগ কতোটা জটিল। আমি যুদ্ধ করছি আমার এই অসুখের সাথে প্রতিনিয়ত।’

স্ট্যাটাসটির সঙ্গে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন যুক্ত করে তিনি আরো লিখেছেন, ‘নিচে পোস্ট দেয়া প্রেসক্রিপশনটি অত্যন্ত ব্যক্তিগত এবং গোপনীয় হলেও আমি সেই সব মানুষদের উদ্দেশ্যে আমার ব্যক্তিগত প্রেসক্রিপশনটি দিলাম- যারা না বুঝে না জেনে বডি শেমিং করছেন আমাকে। তারা ভাবছেন, ব্রেস্ট সার্জারি করানোর জন্য আমার এরকম হয়েছে বা গজব পড়েছে আমার উপর ব্লা ব্লা ব্লা…।’

তিনি আরো লিখেছেন, ‘সব জানার পরও নিজ নিজ উদ্যেগে আপনারা আপনাদের ইউটিউব কন্টেন্ট বা ফেসবুক পোস্ট ডিলিট না করলে ২ দিনের মাঝে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাইবার বুলিংয়ের ভুক্তভোগী হিসেবে মামলা করতে বাধ্য হবো। কারণ আমি প্রমাণ দিয়েছি যে আমি মারাত্মকভাবে হরমোনাল ডিসঅর্ডারে ভুগছি এবং এটা কোনো ব্রেস্ট সার্জারির সাইড ইফেক্ট না। তারপরও যদি আপনারা আপনাদের বডি শেমিংয়ের কাজ ধারাবাহিক রাখেন তাহলে আমি বাদী হয়ে সবগুলো কন্টেন্ট এবং পোস্টের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনের আশ্রয় নেবো। সুতরাং আমি এখনো অনুরোধ করছি আপনাদের কাছে পোস্ট ডিলিট করুন, কন্টেন্ট ডিলিট করুন, আমি ২ দিনের মাঝে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করবো ইনশাআল্লাহ।’

মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সানাই। এরপর নাম লেখান চলচ্চিত্রে। ‘ময়নার ইতিকথা’ ও ‘সুপ্ত আগুন-দ্য হিডেন ফায়ার’ নামে দুটি সিনেমায় কাজ করেছেন। সেগুলো মুক্তি পায়নি। কয়েকটি আইটেম গানের মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করেন তিনি। হঠাৎ করেই মিডিয়া ছেড়ে দিয়ে সংসারী হয়ে পড়েন সানাই। সেই সংসারেও চলছে ভাঙনের খেলা।

এসি/আপ্র/১৭/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মোটা হওয়ার কারণ জানালেন সানাই!

আপডেট সময় : ০২:০১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিনোদন প্রতিবেদক: মোটা হয়ে গেছেন সানাই, এ নিয়ে চলছে আলোচনা। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সানাই মাহবুবকে দেখা যায় আদালত চত্বরে। সেখানে তার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। দেখা যায় বেশ মুটিয়ে গেছেন তিনি। বিশেষ করে বুকের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে চলতে থাকে ট্রল। নানা রকম কটাক্ষ দেখে অবশেষে মুখ খুলেছেন সানাই। জানালেন কারণ, তিনি হরমোনজনিত অসুখে ভুগছেন।

কয়েক বছর আগে কৃত্রিম উপায়ে স্তনের আকার বৃদ্ধি করে আলোচনায় এসেছিলেন তথাকথিত মডেল ও অভিনেত্রী সানাই মাহবুব। সেসময় সামাজিক মাধ্যমে তাকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ করতে দেখা যায় নেটিজেনদের। আবার অনেকে ‘অস্বাভাবিক ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্টের’র পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সতর্ক করে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে বলেন এই অভিনেত্রীকে। কিন্তু সেসব গায়ে মাখেননি তিনি।

সেই বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে গতকাল তার ছবি ও ভিডিও প্রকাশের পর। অনেকে তার শরীরের অস্বাভাবিক অবস্থা দেখে এটি নিয়ে তীর্যক মন্তব্যে মেতেছেন। কেউ কেউ এটাকে ‘ব্রেষ্ট ইমপ্ল্যান্ট’ করার প্রতিক্রিয়া বলছেন, কেউ বলছেন গজব।

আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সানাই। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‌‘আমার হাইপোথাইরয়েডের কারণে এরকম হয়েছে কোনো ব্রেস্ট সার্জারী থেকে ওরকম হয়নি। নিচে প্রমাণসহ প্রেসক্রিপশন দিয়েছি। আশা করি, আপনারা অশিক্ষিত না। পড়ে নেবেন যে কি কি রোগের কারণে আমি মোটা হয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি অনেকদিন ধরেই হাইপোথাইরয়েডিজমে ভুগছি এবং আমার মতো যে আপুরা ভুক্তভোগী তারা বুঝবেন এই রোগ কতোটা জটিল। আমি যুদ্ধ করছি আমার এই অসুখের সাথে প্রতিনিয়ত।’

স্ট্যাটাসটির সঙ্গে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন যুক্ত করে তিনি আরো লিখেছেন, ‘নিচে পোস্ট দেয়া প্রেসক্রিপশনটি অত্যন্ত ব্যক্তিগত এবং গোপনীয় হলেও আমি সেই সব মানুষদের উদ্দেশ্যে আমার ব্যক্তিগত প্রেসক্রিপশনটি দিলাম- যারা না বুঝে না জেনে বডি শেমিং করছেন আমাকে। তারা ভাবছেন, ব্রেস্ট সার্জারি করানোর জন্য আমার এরকম হয়েছে বা গজব পড়েছে আমার উপর ব্লা ব্লা ব্লা…।’

তিনি আরো লিখেছেন, ‘সব জানার পরও নিজ নিজ উদ্যেগে আপনারা আপনাদের ইউটিউব কন্টেন্ট বা ফেসবুক পোস্ট ডিলিট না করলে ২ দিনের মাঝে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাইবার বুলিংয়ের ভুক্তভোগী হিসেবে মামলা করতে বাধ্য হবো। কারণ আমি প্রমাণ দিয়েছি যে আমি মারাত্মকভাবে হরমোনাল ডিসঅর্ডারে ভুগছি এবং এটা কোনো ব্রেস্ট সার্জারির সাইড ইফেক্ট না। তারপরও যদি আপনারা আপনাদের বডি শেমিংয়ের কাজ ধারাবাহিক রাখেন তাহলে আমি বাদী হয়ে সবগুলো কন্টেন্ট এবং পোস্টের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনের আশ্রয় নেবো। সুতরাং আমি এখনো অনুরোধ করছি আপনাদের কাছে পোস্ট ডিলিট করুন, কন্টেন্ট ডিলিট করুন, আমি ২ দিনের মাঝে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করবো ইনশাআল্লাহ।’

মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সানাই। এরপর নাম লেখান চলচ্চিত্রে। ‘ময়নার ইতিকথা’ ও ‘সুপ্ত আগুন-দ্য হিডেন ফায়ার’ নামে দুটি সিনেমায় কাজ করেছেন। সেগুলো মুক্তি পায়নি। কয়েকটি আইটেম গানের মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করেন তিনি। হঠাৎ করেই মিডিয়া ছেড়ে দিয়ে সংসারী হয়ে পড়েন সানাই। সেই সংসারেও চলছে ভাঙনের খেলা।

এসি/আপ্র/১৭/০৯/২০২৫