নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় টোল ফ্রি নম্বর চালু করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। নম্বর দুটি হলো ০১৭৬৯৬০০৫৫৫ এবং ০১৮৮৯৬০০৫৫৫। বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সীমান্তবর্তী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম বার্তা পৌঁছে দিতে মাঠে নেমেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ঘরে ঘরে যাচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা। সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে টেকনাফে আমার ব্যাটালিয়নের দায়িত্বাধীন এলাকায় ৫শ সৈনিক মাঠে তৎপর। তারা প্রতিটি বাড়িতে যাচ্ছেন। এলাকাবাসীদের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার কথা জানাচ্ছেন। তাদের সাইক্লোন শেল্টার বা নিকটবর্তী আশ্রয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও বৈরী আবহাওয়ার সুযোগে সীমান্ত অপরাধ যেন না বাড়ে, এজন্য সীমান্তে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা।
মোখা’ মোকাবিলায় প্রস্তুত পুলিশ
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে পুলিশ। ‘মোখা’ সংক্রান্ত যেকোনও সেবা গ্রহণের জন্য নিকটস্থ থানা অথবা ৯৯৯ এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। গতকাল শনিবার (১৩ মে) বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে এ তথ্য জানানো হয়। পুলিশ জানায়, পুলিশের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নৌ পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। উপকূলীয় এলাকা, নৌবন্দর, ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে নৌ পুলিশ। তারই অংশ হিসেবে উপকূল এলাকা থেকে ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষকে আশ্রয় শিবিরে আনা হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা গভীর নি¤œচাপটি উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকার ঘূর্ণিঝড় মোখায় পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকাগুলোয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। মাছ ধরার ট্রলার, নৌকা জেলেদের নিরাপদ গন্তব্যে থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আশ্রয় শিবির কেন্দ্রে মানুষকে আনা হচ্ছে। সবশেষ কক্সবাজারে ১০ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।