ঢাকা ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

মেয়র আতিকের বিরুদ্ধে বাজার-ফ্ল্যাট-জমি দখলের অভিযোগ

  • আপডেট সময় : ০১:২৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিজয় সরণির কলমিলতা বাজারের জমি, লালমাটিয়ায় দুটি ফ্ল্যাট ও সাভারের কলমায় নয় বিঘা জমি দখলের অভিযোগ করেছে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই পরিবারের সদস্য নুরতাজ আরা ঐশী। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘ডিএনসিসির মেয়র ও তার কর্মকর্তারা যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলমিলতা বাজারের সম্পদ জবরদখল করে রেখেছেন।’
নুরতাজ অভিযোগ করেন, ‘তার দাদার জমিতে নি¤œবিত্তদের জন্য নির্মাণাধীন ভাষানটেক প্রকল্প অবৈধভাবে বন্ধ ও ভাঙচুর করেছেন মেয়র আতিক ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের লোকজন।’
তিনি বলেন, ‘ভাঙচুর চালানোর সময় বসবাসকারীরা বাধা প্রদান করলেও মেয়র আতিক ও তার লোকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেয়। নির্মাণ সামগ্রী লুটপাট করাসহ ৫ কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করে।’
এক প্রশ্নের জবাবে নুরতাজ বলেন, ‘কলমিলতা বাজারের মালিক ডিএনসিসি নয়। বেআইনিভাবে জবরদখল করায় হাইকোর্ট সম্পত্তিটির ক্ষতিপূরণ দিতে ডিএনসিসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের রিট মামলায় ক্ষতিপূরণ দুই মাসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না মেয়র আতিকুল। প্রয়াত আনিসুল হক মেয়র থাকাকালীন আদালতের ওই নির্দেশ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রস্তাব ২০১৭ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার ডিসির কাছে পাঠিয়েছিলেন। ঢাকার ডিসি ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রয়োজনে কিছু তথ্য চেয়ে কয়েক দফা ডিএনসিসিকে চিঠি দেয়। তবে আতিকুল ইসলাম দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৯ সালে কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ক্ষতিপূরণ চার হাজার কোটি টাকার পরিবর্তে দুটি চেকে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা ঢাকার ডিসি বরাবর পাঠান। ফেরত চিঠিতে ঢাকার ডিসি ডিএনসিসি মেয়রের পত্রকে ‘দুরভিসন্ধিমূলক ও অনভিপ্রেত’ বলে উল্লেখ করেন।’
লিখিত বক্তব্যে ঐশী বলেন, ‘মেয়র আতিকের লোকজনের প্রভাব বিস্তারের কারণে তার পরিবার লালমাটিয়ার দুটি ফ্ল্যাটের ভাড়া পাচ্ছে না। এছাড়া সাভারে কলমা মৌজায় নয় বিঘা জমি মেয়র আতিক সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখল করে রেখেছেন।’
পরিবারটিকে চাপে রাখতে ও রোজগারের পথ বন্ধ করতে মেয়র আতিক এমনটা করছেন বলে অভিযোগ করেন নুরতাজ। সংবাদ সম্মেলনে কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ প্রদানে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ নির্দেশ, ভাষানটেক প্রকল্প ব্যর্থ করার দায়ে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি নিশ্চিতে বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন, শহীদ পরিবার হিসেবে নুরতাজ আরা ঐশীর পরিবারের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হিসেবে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদানের দাবি জানানো হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মেয়র আতিকের বিরুদ্ধে বাজার-ফ্ল্যাট-জমি দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০১:২৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিজয় সরণির কলমিলতা বাজারের জমি, লালমাটিয়ায় দুটি ফ্ল্যাট ও সাভারের কলমায় নয় বিঘা জমি দখলের অভিযোগ করেছে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই পরিবারের সদস্য নুরতাজ আরা ঐশী। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘ডিএনসিসির মেয়র ও তার কর্মকর্তারা যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলমিলতা বাজারের সম্পদ জবরদখল করে রেখেছেন।’
নুরতাজ অভিযোগ করেন, ‘তার দাদার জমিতে নি¤œবিত্তদের জন্য নির্মাণাধীন ভাষানটেক প্রকল্প অবৈধভাবে বন্ধ ও ভাঙচুর করেছেন মেয়র আতিক ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের লোকজন।’
তিনি বলেন, ‘ভাঙচুর চালানোর সময় বসবাসকারীরা বাধা প্রদান করলেও মেয়র আতিক ও তার লোকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেয়। নির্মাণ সামগ্রী লুটপাট করাসহ ৫ কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করে।’
এক প্রশ্নের জবাবে নুরতাজ বলেন, ‘কলমিলতা বাজারের মালিক ডিএনসিসি নয়। বেআইনিভাবে জবরদখল করায় হাইকোর্ট সম্পত্তিটির ক্ষতিপূরণ দিতে ডিএনসিসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের রিট মামলায় ক্ষতিপূরণ দুই মাসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না মেয়র আতিকুল। প্রয়াত আনিসুল হক মেয়র থাকাকালীন আদালতের ওই নির্দেশ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রস্তাব ২০১৭ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার ডিসির কাছে পাঠিয়েছিলেন। ঢাকার ডিসি ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রয়োজনে কিছু তথ্য চেয়ে কয়েক দফা ডিএনসিসিকে চিঠি দেয়। তবে আতিকুল ইসলাম দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৯ সালে কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ক্ষতিপূরণ চার হাজার কোটি টাকার পরিবর্তে দুটি চেকে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা ঢাকার ডিসি বরাবর পাঠান। ফেরত চিঠিতে ঢাকার ডিসি ডিএনসিসি মেয়রের পত্রকে ‘দুরভিসন্ধিমূলক ও অনভিপ্রেত’ বলে উল্লেখ করেন।’
লিখিত বক্তব্যে ঐশী বলেন, ‘মেয়র আতিকের লোকজনের প্রভাব বিস্তারের কারণে তার পরিবার লালমাটিয়ার দুটি ফ্ল্যাটের ভাড়া পাচ্ছে না। এছাড়া সাভারে কলমা মৌজায় নয় বিঘা জমি মেয়র আতিক সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখল করে রেখেছেন।’
পরিবারটিকে চাপে রাখতে ও রোজগারের পথ বন্ধ করতে মেয়র আতিক এমনটা করছেন বলে অভিযোগ করেন নুরতাজ। সংবাদ সম্মেলনে কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ প্রদানে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ নির্দেশ, ভাষানটেক প্রকল্প ব্যর্থ করার দায়ে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি নিশ্চিতে বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন, শহীদ পরিবার হিসেবে নুরতাজ আরা ঐশীর পরিবারের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হিসেবে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদানের দাবি জানানো হয়।