নিজস্ব প্রতিবেদক : হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রুলের অন্য বিবাদীরা হলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিকী ও প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক।
গত সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদেশের লিখিত অনুলিপি ইতিমধ্যে প্রকাশ হয়েছে। যা গতকাল মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট আইনজীবী পংকজ কুমার কু-ু এই বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি না হওয়ার বিষয়ে ডিএনসিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান সংশ্লিষ্টদের বরাবর একটি আবেদন জানান। কিন্তু সে আবেদনের কোনো জবাব না পেয়ে তিনি রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষকে মিজানুর রহমানের পদোন্নতির সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তি করতে আদেশ দেন। এরপরও সেই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় মিজানুর রহমান সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ পাঠান।
আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, নোটিশ পাওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে সে বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি রিট দায়ের করেন মিজানুর রহমান। সেই রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৪ জানুয়ারি হাইকোর্ট বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। ৪ মে আপিল বিভাগও হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। তবে আদালতের আদেশের পরও মিজানুর রহমানকে স্বপদে বহাল করা হয়নি। উল্টো মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিটি করপোরেশন। এছাড়া বরখাস্ত থাকাদের মতোই মিজানুর রহমানকে অর্ধেক আনুষঙ্গিক ভাতা দেওয়া হয়। এ অবস্থায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে অবমাননার মামলা করা হয়।
মেয়র আতিকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নয়: হাইকোর্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ