ঢাকা ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে আবার গণডাকাতি

  • আপডেট সময় : ০৭:৩১:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর সংবাদদাতা: মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে গাংনী উপজেলার আকুবপুর নামক স্থানে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহনসহ একাধিক গাড়িতে আবারও গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। দেশীয় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ট্রাকচালক মুজাহিদুল ইসলাম (২৮) ও হেল্পার হাসান আলী (২৫) গুরুতর জখম হয়। ওই সময় ঢাকা, থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহন, মালবাহী তিনটি ট্রাক, মাইক্রোবাস, আলগামন (শ্যালো ইঞ্জিন চালিত গাড়ি) সহ রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও ডাকাত দলের কবল থেকে রেহাই পাইনি।
গত শুক্রবার রাত সোয়া ৩টার দিকে উপজেলার আকুবপুর চেকপোস্টের অনতি দূরে সড়কের ওপর গাছ ফেলে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায় ডাকাত। এ সময় শ্যামলী পরিবহন, তিনটা ট্রাক, একটি মাইক্রোবাসসহ আলগামন (শ্যালো ইঞ্জিন চালিত গাড়ি) তাণ্ডব চালিয়ে যাত্রী ও চালকদের কাছ থেকে প্রায় লক্ষাধিক নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
পাথরবাহী ট্রাকের হেল্পার হাসান আলী জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকা থেকে পাথরবাহী ট্রাক সন্ধ্যায় বামন্দীর উদ্দেশে ছেড়ে আসে। যার রেজিঃ নম্বর পাবনা ড-১১ ১০৪৯। ট্রাকটি রাত সোয়া তিনটার দিকে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের আকুপপুর চেকপোস্ট এলাকা ছেড়ে ১ থেকে দেড় কিলোমিটার সামনে পৌছলে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা সড়কের ওপরে দুটি গাছ ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় একটা ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। সড়কের গাড়ি থামিয়ে গণডাকাতি শুরু হয়েছে বুঝতে পেরে ট্রাক থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করলে ডাকাত দলের সদস্যরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হেল্পারের বাম হাতে ও চালকের ডান হাতে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ডাকাতরা ঘণ্টাব্যাপী তান্ডব চালিয়ে যাত্রী ও গাড়ির স্টাফদের কাছ থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ডাকাতির সময় ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়া হলে প্রায় আধাঘণ্টা পর পুলিশের একটি টিম ঘটনারস্থলে পৌঁছায়। ততক্ষণে ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে গেছে। একই কথা জানিয়েছেন ট্রাক ডাইভার আলালউদ্দিন।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় হেলপার ও ড্রাইভারকে উদ্ধার করে রাতেই প্রথমে বামন্দীর স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ বানী ইসরাইল জানান, পুলিশের টহল তৎপরতা পূর্বের ন্যায় অব্যাহত রয়েছে। ডাকাতির ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ডাকাত দলের সদস্যদের আটকের জন্য পুলিশের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডাকাত দলের সদস্যদের চিহ্নিত ও আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর রাতে আকুবপুর চেকপোস্ট এলাকায় রাস্তায় গাছ ফেলে একই কায়দায় গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে আবার গণডাকাতি

আপডেট সময় : ০৭:৩১:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

মেহেরপুর সংবাদদাতা: মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে গাংনী উপজেলার আকুবপুর নামক স্থানে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহনসহ একাধিক গাড়িতে আবারও গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। দেশীয় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ট্রাকচালক মুজাহিদুল ইসলাম (২৮) ও হেল্পার হাসান আলী (২৫) গুরুতর জখম হয়। ওই সময় ঢাকা, থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহন, মালবাহী তিনটি ট্রাক, মাইক্রোবাস, আলগামন (শ্যালো ইঞ্জিন চালিত গাড়ি) সহ রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও ডাকাত দলের কবল থেকে রেহাই পাইনি।
গত শুক্রবার রাত সোয়া ৩টার দিকে উপজেলার আকুবপুর চেকপোস্টের অনতি দূরে সড়কের ওপর গাছ ফেলে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায় ডাকাত। এ সময় শ্যামলী পরিবহন, তিনটা ট্রাক, একটি মাইক্রোবাসসহ আলগামন (শ্যালো ইঞ্জিন চালিত গাড়ি) তাণ্ডব চালিয়ে যাত্রী ও চালকদের কাছ থেকে প্রায় লক্ষাধিক নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
পাথরবাহী ট্রাকের হেল্পার হাসান আলী জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকা থেকে পাথরবাহী ট্রাক সন্ধ্যায় বামন্দীর উদ্দেশে ছেড়ে আসে। যার রেজিঃ নম্বর পাবনা ড-১১ ১০৪৯। ট্রাকটি রাত সোয়া তিনটার দিকে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের আকুপপুর চেকপোস্ট এলাকা ছেড়ে ১ থেকে দেড় কিলোমিটার সামনে পৌছলে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা সড়কের ওপরে দুটি গাছ ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় একটা ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। সড়কের গাড়ি থামিয়ে গণডাকাতি শুরু হয়েছে বুঝতে পেরে ট্রাক থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করলে ডাকাত দলের সদস্যরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হেল্পারের বাম হাতে ও চালকের ডান হাতে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ডাকাতরা ঘণ্টাব্যাপী তান্ডব চালিয়ে যাত্রী ও গাড়ির স্টাফদের কাছ থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ডাকাতির সময় ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়া হলে প্রায় আধাঘণ্টা পর পুলিশের একটি টিম ঘটনারস্থলে পৌঁছায়। ততক্ষণে ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে গেছে। একই কথা জানিয়েছেন ট্রাক ডাইভার আলালউদ্দিন।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় হেলপার ও ড্রাইভারকে উদ্ধার করে রাতেই প্রথমে বামন্দীর স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ বানী ইসরাইল জানান, পুলিশের টহল তৎপরতা পূর্বের ন্যায় অব্যাহত রয়েছে। ডাকাতির ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ডাকাত দলের সদস্যদের আটকের জন্য পুলিশের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডাকাত দলের সদস্যদের চিহ্নিত ও আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর রাতে আকুবপুর চেকপোস্ট এলাকায় রাস্তায় গাছ ফেলে একই কায়দায় গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল।