ক্রীড়া ডেস্ক: চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাট-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ। একা হাতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। একদিকে সেঞ্চুরি, অন্যদিকে ইনিংসে পাঁচ উইকেট—মেহেদী হাসান মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে চট্টগ্রাম টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১০৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে ৪৪৪ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন মেহেদী। পরে বল হাতে তুলে নেন ৫ উইকেট। জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১১১ রানে। এ জয়ে দেশের মাটিতে টানা ছয়টি টেস্ট পরাজয়ের হতাশা কাটাল টাইগাররা। এর আগে নিউ জিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছিলো বাংলাদেশ। সর্বশেষ সিলেটে প্রথম টেস্টেও পরাজিত হয়েছিল জিম্বাবুয়ের কাছে।
টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে বৃষ্টির কারণে খেলা কিছুটা বিলম্বে শুরু হলেও, খেলা শুরুর পরই শুরু হয় বাংলাদেশি স্পিন ঘূর্ণি। দিনের শুরুতে মেহেদী তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উইকেট। অন্যদিকে, বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে সঙ্গত দেন মেহেদীকে। দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুলের শিকার ৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ২২৭ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে ৭ উইকেটে ৩২০ রান করে বাংলাদেশ। সেখান থেকে ত্রাতা হয়ে উঠে আসেন মেহেদী। তার সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়েন তাইজুল ইসলাম, আর ৯৬ রানের দুর্দান্ত জুটি আসে অভিষিক্ত তানজিম হাসানের সঙ্গে। শেষ উইকেটে মেহেদীকে সঙ্গ দেন হাসান মাহমুদ। তিনিও করেন ৪১ রান। মেহেদীর ১৬১ বলের ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ১টি ছক্কা। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। জিম্বাবুয়ের পক্ষে অভিষিক্ত লেগস্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা ম্যাচে আলো ছড়ান। তিনি ১০৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে টেস্ট অভিষেকে উইকেট শিকারে দেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হন।
তবে দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ব্যাটিং ধসে পড়ে দ্রুত। শুরুতেই তাইজুল ফিরিয়ে দেন ব্রায়ান বেনেট ও নিক ওয়েলচকে। পরে নাঈম হাসান শিকার করেন শন উইলিয়ামসকে। মেহেদী এরপর একাই তিনটি উইকেট তুলে নেন—ক্রেইগ আরভিন, ওয়েসলি মাধেভেরে ও উইকেটকিপার তাফাদজও সিগাকে। এরপর ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও লুক জংওয়ের উইকেট নিয়ে ইনিংসে নিজের ‘ফাইফার’ পূর্ণ করেন মেহেদী। সবশেষে তাইজুল ও মুমিনুল হকের সরাসরি থ্রোতে জিম্বাবুয়ের ইনিংস শেষ হয়। ম্যাচে পুরোপুরি আধিপত্য বিস্তার করে বাংলাদেশ।