ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

মেসেঞ্জার ভিডিও কল উপভোগ করে খাঁচার টিয়া

  • আপডেট সময় : ১১:২৭:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : তোতা বা টিয়াপাখি সহজাতভাবে সামাজিক প্রাণী। খাঁচায় বন্দি অবস্থায় পাখির ঝাঁকের সঙ্গ তাদের থাকে না। ফলে, বন্দি টিয়া পাখিকে সুখী ও সুস্থ রাখার বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ সামনে আসতে পারে। তবে, সা¤প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বন্দিদশায় পাখিগুলোর সামাজিক চাহিদা মেটাতে সাহায্য করতে পারে প্রযুক্তি।
স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ গøাসগো ও লন্ডনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের নেতৃত্বে নতুন ও খুব ছোট এক গবেষণায় এ বিষয়টি উঠে এসেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেট। গবেষণায় অংশ নেওয়া টিয়া পাখিদের মেটার মেসেঞ্জারে সরাসরি ভিডিও কল ও আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিও দেখিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করা হয়েছে। সম্ভবত পাখিদের সরাসরি কথোপকথন বা ভিডিও কলই পছন্দ হয়েছে বলে উলেøখ রয়েছে প্রতিবেদনে। বিগত কয়েক বছরের ছোট ছোট কয়েকটি গবেষণার সমন্বয়ে মিলেছে এ তথ্য। এর মধ্যে একটি পরীক্ষায় এক দল গবেষক পোষা টিয়া পাখিদের মানুষের সাহায্যে একে অপরের সঙ্গে ভিডিও কল করার প্রশিক্ষণ দেন, এবং আরেকটি পরীক্ষায় পাখিগুলোকে ট্যাবলেটে গেইম খেলতে শেখানো হয়। সবশেষে নয়টি টিয়া পাখির মালিককে তাদের পোষা পাখির জন্য সেটআপ তৈরির ট্যাবলেট দেওয়া হয় এবং পাখিগুলোকে ছয়মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়। সেই সময়ে, গবেষণার শুরুতে একে অপরের সঙ্গে ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে পরিচিত হওয়া টিয়া পাখিরা, মোট ১২টি সেশনে তিন ঘন্টা পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে কল করতে পেরেছিল। এসব কলের অর্ধেক ছিল সরাসরি মেসেঞ্জার ভিডিও কল ও বাকি অর্ধেক আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিও। এসব সেশন রেকর্ড করা পাখিদের তত্ত¡াবধায়করা জানান, পাখিগুলো লাইভ বা সরাসরি ভিডিও চলাকালীন বেশি ব্য¯Í ছিল। তারা সেই পরিস্থিতিতে আরও কল করেছিল, এবং অন্য প্রান্তের পাখিদের সঙ্গে সংযোগ রাখতে গড়ে বেশি সময় দিয়েছিল। প্রতিটি সেশনে একটি টিয়াপাখিকে দুটি পর্যন্ত কল করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, মেসেঞ্জার ভিডিও কল করার সময় পাখিগুলো এ সীমা ছুঁয়েছে ৪৬ শতাংশ ক্ষেত্রে, আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিওর বেলায় যা ছিল এর অর্ধেক। সব মিলিয়ে পাখিরা মেসেঞ্জার কলে সম্মিলিতভাবে ৫৬১ মিনিট ভিডিও কল করেছে। অন্যদিকে, পাখিরা আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিও মাত্র ১৪২ মিনিট দেখেছে বলে উলেøখ করেছে এনগ্যাজেট।
“লাইভের বিষয়টি সত্যিই টিয়াপাখিদের স্ক্রিনের সঙ্গে যুক্ত রাখার বিষয়ে পার্থক্য তৈরি করেছে বলে মনে হচ্ছে,” – বলেছেন ইউনিভার্সিটি অফ গø্যাসগো’র ‘অ্যানিম্যাল-কম্পিউটার ইন্টার‌্যাকশন’ ল্যাবের পরিচালক ডা. ইলিয়ানা হিরস্কিজ-ডগলাস। নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে আরও অধ্যয়নের প্রয়োজন হবে বলেও উলেøখ করেছেন তিনি। “অন্য পাখির সঙ্গে ভিডিও কলে যোগাযোগ করার সময়, তাদের আচরণ প্রায়ই বা¯Íব জীবনে অন্য টিয়াপাখির সঙ্গে করা আচরণের প্রতিফলন ঘটিয়েছে, যা আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিও সেশনে ছিল না।” তবে, সরাসরি ও আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিও উভয় ক্ষেত্রেই পাখিদের ওপরে ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে বলে জানিয়েছেন তত্ত¡াবধায়করা। “প্রাণীদের একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার নতুন উপায় প্রবর্তনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে ইন্টারনেটের। তবে, আমরা তাদের সাহায্য করার জন্য যে ব্যবস্থা তৈরি করবো, সেটি তাদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতার ওপরে ভিত্তি করে নকশা করা প্রয়োজন।” — বলেছেন ড. হিরস্কিজ-ডগলাস। “এমন গবেষণাগুলো সত্যিকারের প্রাণীবান্ধব ইন্টারনেটের ভিত্তি স্থাপনে সহায়তা করতে পারে।”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের হুঁশিয়ারি

মেসেঞ্জার ভিডিও কল উপভোগ করে খাঁচার টিয়া

আপডেট সময় : ১১:২৭:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : তোতা বা টিয়াপাখি সহজাতভাবে সামাজিক প্রাণী। খাঁচায় বন্দি অবস্থায় পাখির ঝাঁকের সঙ্গ তাদের থাকে না। ফলে, বন্দি টিয়া পাখিকে সুখী ও সুস্থ রাখার বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ সামনে আসতে পারে। তবে, সা¤প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বন্দিদশায় পাখিগুলোর সামাজিক চাহিদা মেটাতে সাহায্য করতে পারে প্রযুক্তি।
স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ গøাসগো ও লন্ডনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের নেতৃত্বে নতুন ও খুব ছোট এক গবেষণায় এ বিষয়টি উঠে এসেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেট। গবেষণায় অংশ নেওয়া টিয়া পাখিদের মেটার মেসেঞ্জারে সরাসরি ভিডিও কল ও আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিও দেখিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করা হয়েছে। সম্ভবত পাখিদের সরাসরি কথোপকথন বা ভিডিও কলই পছন্দ হয়েছে বলে উলেøখ রয়েছে প্রতিবেদনে। বিগত কয়েক বছরের ছোট ছোট কয়েকটি গবেষণার সমন্বয়ে মিলেছে এ তথ্য। এর মধ্যে একটি পরীক্ষায় এক দল গবেষক পোষা টিয়া পাখিদের মানুষের সাহায্যে একে অপরের সঙ্গে ভিডিও কল করার প্রশিক্ষণ দেন, এবং আরেকটি পরীক্ষায় পাখিগুলোকে ট্যাবলেটে গেইম খেলতে শেখানো হয়। সবশেষে নয়টি টিয়া পাখির মালিককে তাদের পোষা পাখির জন্য সেটআপ তৈরির ট্যাবলেট দেওয়া হয় এবং পাখিগুলোকে ছয়মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়। সেই সময়ে, গবেষণার শুরুতে একে অপরের সঙ্গে ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে পরিচিত হওয়া টিয়া পাখিরা, মোট ১২টি সেশনে তিন ঘন্টা পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে কল করতে পেরেছিল। এসব কলের অর্ধেক ছিল সরাসরি মেসেঞ্জার ভিডিও কল ও বাকি অর্ধেক আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিও। এসব সেশন রেকর্ড করা পাখিদের তত্ত¡াবধায়করা জানান, পাখিগুলো লাইভ বা সরাসরি ভিডিও চলাকালীন বেশি ব্য¯Í ছিল। তারা সেই পরিস্থিতিতে আরও কল করেছিল, এবং অন্য প্রান্তের পাখিদের সঙ্গে সংযোগ রাখতে গড়ে বেশি সময় দিয়েছিল। প্রতিটি সেশনে একটি টিয়াপাখিকে দুটি পর্যন্ত কল করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, মেসেঞ্জার ভিডিও কল করার সময় পাখিগুলো এ সীমা ছুঁয়েছে ৪৬ শতাংশ ক্ষেত্রে, আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিওর বেলায় যা ছিল এর অর্ধেক। সব মিলিয়ে পাখিরা মেসেঞ্জার কলে সম্মিলিতভাবে ৫৬১ মিনিট ভিডিও কল করেছে। অন্যদিকে, পাখিরা আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিও মাত্র ১৪২ মিনিট দেখেছে বলে উলেøখ করেছে এনগ্যাজেট।
“লাইভের বিষয়টি সত্যিই টিয়াপাখিদের স্ক্রিনের সঙ্গে যুক্ত রাখার বিষয়ে পার্থক্য তৈরি করেছে বলে মনে হচ্ছে,” – বলেছেন ইউনিভার্সিটি অফ গø্যাসগো’র ‘অ্যানিম্যাল-কম্পিউটার ইন্টার‌্যাকশন’ ল্যাবের পরিচালক ডা. ইলিয়ানা হিরস্কিজ-ডগলাস। নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে আরও অধ্যয়নের প্রয়োজন হবে বলেও উলেøখ করেছেন তিনি। “অন্য পাখির সঙ্গে ভিডিও কলে যোগাযোগ করার সময়, তাদের আচরণ প্রায়ই বা¯Íব জীবনে অন্য টিয়াপাখির সঙ্গে করা আচরণের প্রতিফলন ঘটিয়েছে, যা আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিও সেশনে ছিল না।” তবে, সরাসরি ও আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিও উভয় ক্ষেত্রেই পাখিদের ওপরে ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে বলে জানিয়েছেন তত্ত¡াবধায়করা। “প্রাণীদের একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার নতুন উপায় প্রবর্তনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে ইন্টারনেটের। তবে, আমরা তাদের সাহায্য করার জন্য যে ব্যবস্থা তৈরি করবো, সেটি তাদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতার ওপরে ভিত্তি করে নকশা করা প্রয়োজন।” — বলেছেন ড. হিরস্কিজ-ডগলাস। “এমন গবেষণাগুলো সত্যিকারের প্রাণীবান্ধব ইন্টারনেটের ভিত্তি স্থাপনে সহায়তা করতে পারে।”