ঢাকা ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

মেসি-নেইমার-এমবাপের নৈপুণ্যে জয়ে ফিরল পিএসজি

  • আপডেট সময় : ০২:১৫:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : আগের ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর হতাশা পেছনে ফেলে তুলুজের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা মেলল পিএসজি। আক্রমণ ত্রয়ীর দুজন পেলেন জালের দেখা। ম্যাচ জুড়ে চমৎকার খেলে সতীর্থদের দুটি গোলে অবদান রাখলেন লিওনেল মেসি। দাপুটে পারফরম্যান্সে জয়ের পথে ফিরল ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল। দুই মৌসুম পর লিগ ওয়ানে ফেরা দলটির মাঠে বুধবার রাতে ৩-০ গোলে জিতেছে পিএসজি। নেইমার চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান কিলিয়ান এমবাপে। শেষ দিকে জালের দেখা পান হুয়ান বের্নাত। তুলুজের গোলরক্ষক একের পর এক দুর্দান্ত সব সেভ না করলে আরও অন্তত চার-পাঁচটি গোল পেতে পারত পিএসজি। এক ম্যাচ পর লিগে জয়ের স্বাদ পেল প্যারিসের দলটি। গত রাউন্ডে মোনাকোর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল তারা।
সপ্তম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় তুলুজ। সতীর্থের ক্রস বক্সে বুক দিয়ে নামিয়ে শট নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল রাতাও। সতর্ক থাকা গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা পা দিয়ে ফিরিয়ে দেন সেই প্রচেষ্টা। পরের মিনিটে সুযোগ আসে পিএসজির সামনে। বক্সের ভেতর কয়েক জনের মাঝ দিয়ে মেসির বাঁ পায়ের শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান স্বাগতিক গোলরক্ষক মাক্সিম। অষ্টাদশ মিনিটে নুনো মেন্দেসের দারুণ পাস বক্সের বাইরে খুঁজে পায় মেসিকে। আর্জেন্টাইন তারকার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। সাত মিনিট পর বক্সের ভেতর থেকে মেসির শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক। ৩৬তম মিনিটে সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের দারুণ থ্রু বলে কাছ থেকে এমবাপের ভলিও ফিরিয়ে দেন মাক্সিম। পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। মেসির আরেকটি চমৎকার থ্রু বল ধরে এবার জাল খুঁজে নেন নেইমার। লাইন্সম্যান শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরে অনেকটা সময় নিয়ে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।
আসরে পাঁচ ম্যাচে নেইমারের গোল হলো ৭টি। প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে দ্বিগুণ হতে পারত ব্যবধান। নেইমারের পাস ধরে দুরূহ কোণ থেকে মেসির শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে মেসির ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। পরের মিনিটে ব্যবধান বাড়ান এমবাপে। যেখানে বড় অবদান মেসিরই। বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে পাশেই থাকা এমবাপেকে পাস দেন তিনি। ডান পায়ের শটে সহজেই বাকিটা সারেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। একটু পর মেসির আরেকটি পাস থেকে নেইমারের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ৭০তম মিনিটে ওয়ান-অন-ওয়ানে এমবাপের প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে রুখে দেন গোলরক্ষক। ৮২তম মিনিটে আরও একবার বিশ্বকাপ জয়ী তারকার শট ফেরান তিনি। ৮৩তম মিনিটে মেসিকে তুলে আশরাফ হাকিমিকে নামান পিএসজি কোচ। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন বের্নাত। এমবাপের শট পোস্টে লেগে গোলরক্ষককে ছুঁয়ে বল যায় স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের সামনে। জাল খুঁজে নিতে ভুল করেননি তিনি। পুরো ম্যাচে পিএসজির দাপটের চিত্র মেলে পরিসংখ্যানেও। ৬২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য তারা শট নেয় ২০টি, যার ১৩টি ছিল লক্ষ্যে। তুলুজের ১৪ শটের ৭টি লক্ষ্যে ছিল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মেসি-নেইমার-এমবাপের নৈপুণ্যে জয়ে ফিরল পিএসজি

আপডেট সময় : ০২:১৫:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : আগের ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর হতাশা পেছনে ফেলে তুলুজের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা মেলল পিএসজি। আক্রমণ ত্রয়ীর দুজন পেলেন জালের দেখা। ম্যাচ জুড়ে চমৎকার খেলে সতীর্থদের দুটি গোলে অবদান রাখলেন লিওনেল মেসি। দাপুটে পারফরম্যান্সে জয়ের পথে ফিরল ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল। দুই মৌসুম পর লিগ ওয়ানে ফেরা দলটির মাঠে বুধবার রাতে ৩-০ গোলে জিতেছে পিএসজি। নেইমার চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান কিলিয়ান এমবাপে। শেষ দিকে জালের দেখা পান হুয়ান বের্নাত। তুলুজের গোলরক্ষক একের পর এক দুর্দান্ত সব সেভ না করলে আরও অন্তত চার-পাঁচটি গোল পেতে পারত পিএসজি। এক ম্যাচ পর লিগে জয়ের স্বাদ পেল প্যারিসের দলটি। গত রাউন্ডে মোনাকোর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল তারা।
সপ্তম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় তুলুজ। সতীর্থের ক্রস বক্সে বুক দিয়ে নামিয়ে শট নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল রাতাও। সতর্ক থাকা গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা পা দিয়ে ফিরিয়ে দেন সেই প্রচেষ্টা। পরের মিনিটে সুযোগ আসে পিএসজির সামনে। বক্সের ভেতর কয়েক জনের মাঝ দিয়ে মেসির বাঁ পায়ের শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান স্বাগতিক গোলরক্ষক মাক্সিম। অষ্টাদশ মিনিটে নুনো মেন্দেসের দারুণ পাস বক্সের বাইরে খুঁজে পায় মেসিকে। আর্জেন্টাইন তারকার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। সাত মিনিট পর বক্সের ভেতর থেকে মেসির শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক। ৩৬তম মিনিটে সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের দারুণ থ্রু বলে কাছ থেকে এমবাপের ভলিও ফিরিয়ে দেন মাক্সিম। পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। মেসির আরেকটি চমৎকার থ্রু বল ধরে এবার জাল খুঁজে নেন নেইমার। লাইন্সম্যান শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরে অনেকটা সময় নিয়ে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।
আসরে পাঁচ ম্যাচে নেইমারের গোল হলো ৭টি। প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে দ্বিগুণ হতে পারত ব্যবধান। নেইমারের পাস ধরে দুরূহ কোণ থেকে মেসির শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে মেসির ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। পরের মিনিটে ব্যবধান বাড়ান এমবাপে। যেখানে বড় অবদান মেসিরই। বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে পাশেই থাকা এমবাপেকে পাস দেন তিনি। ডান পায়ের শটে সহজেই বাকিটা সারেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। একটু পর মেসির আরেকটি পাস থেকে নেইমারের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ৭০তম মিনিটে ওয়ান-অন-ওয়ানে এমবাপের প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে রুখে দেন গোলরক্ষক। ৮২তম মিনিটে আরও একবার বিশ্বকাপ জয়ী তারকার শট ফেরান তিনি। ৮৩তম মিনিটে মেসিকে তুলে আশরাফ হাকিমিকে নামান পিএসজি কোচ। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন বের্নাত। এমবাপের শট পোস্টে লেগে গোলরক্ষককে ছুঁয়ে বল যায় স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের সামনে। জাল খুঁজে নিতে ভুল করেননি তিনি। পুরো ম্যাচে পিএসজির দাপটের চিত্র মেলে পরিসংখ্যানেও। ৬২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য তারা শট নেয় ২০টি, যার ১৩টি ছিল লক্ষ্যে। তুলুজের ১৪ শটের ৭টি লক্ষ্যে ছিল।