ঢাকা ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫

মেসির পথে নয়, নিজের পথেই হাঁটছেন ইয়ামাল

  • আপডেট সময় : ০৬:০৮:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: ফুটবল বিশ্বের নজর কাড়ছেন তরুণ স্প্যানিশ ফুটবলার লামিনে ইয়ামাল। বার্সেলোনার জার্সিতে প্রতিনিয়ত আলো ছড়ানো এই ফরোয়ার্ডকে ঘিরে উচ্চাশা যেমন অনেক, ঠিক তেমনি তুলনা চলে ফুটবল ইতিহাসের সেরাদের একজন লিওনেল মেসির সঙ্গেও। তবে নিজেকে নিয়ে ভিন্ন এক অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছেন ইয়ামাল। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কারো সঙ্গেই নিজের তুলনা টানেন না- সেটি মেসির সঙ্গেও নয়। লা মাজিয়ার পণ্য ইয়ামাল মাত্র ১৫ বছর বয়সে বার্সেলোনার মূল দলে অভিষেক ঘটিয়ে তাক লাগিয়ে দেন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে, বার্সার আক্রমণভাগে তার প্রভাবও ততটাই বেড়েছে। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই দলটির নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠেছেন তিনি। বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হওয়ার মাধ্যমে পূর্ণ হবে তার শততম ম্যাচ যা তার বয়স বিবেচনায় এক বিশাল অর্জন।

তবে এসব সাফল্য সত্ত্বেও ইয়ামালের মানসিকতা একেবারেই পরিণত। মঙ্গলবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি কারো সঙ্গে নিজের তুলনা করি না, মেসির সঙ্গেও না। তিনি সর্বকালের সেরা। আমি কেবল নিজের উন্নতিতে মনোযোগ দিচ্ছি, অন্যদের সঙ্গে তুলনার কোনো মানে হয় না আমার কাছে।” এই ধরনের বক্তব্য প্রমাণ করে, ফুটবল মাঠে যেমন পরিণত তার খেলা, তেমনি পরিণত তার দৃষ্টিভঙ্গিও। যখন অনেক তরুণ খেলোয়াড় তুলনার চাপে নিজের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন, তখন ইয়ামাল শান্ত এবং দৃঢ় অবস্থানে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। ২০২৩ সালে বার্সার মূল দলে অভিষেকের দিন থেকেই ইয়ামালের মধ্যে মেসির ছায়া দেখেছিলেন তৎকালীন কোচ শাভি। তার ড্রিবলিং, পজিশন সেন্স এবং খেলার পাঠে ছিল মেসির ছোঁয়া। তবে ইয়ামাল জানেন, মেসির মতো কিংবদন্তি হওয়া কেবল প্রতিভা নয়, প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম ও সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষমতা। সে জন্যই হয়তো গত বছর এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব।”

নিজের প্রতি এই আত্মবিশ্বাস এবং বাস্তবতাবোধই ইয়ামালকে করে তুলেছে ব্যতিক্রমী। তিনি বুঝেন, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের পথ আলাদা, আর সেই পথ পাড়ি দিতে হয় নিজের মতো করেই। লা মাজিয়া থেকে উঠে এসে যেভাবে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন, তাতে বোঝাই যায় তার মধ্যে কতটা দৃঢ়তা ও একাগ্রতা রয়েছে। যদিও মেসির সঙ্গে তুলনা হয়তো তার পিছু ছাড়বে না, তবে ইয়ামাল ঠিকই জানেন কোন দিকে তাকিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তার এই দৃষ্টিভঙ্গিই হয়তো তাকে ভবিষ্যতের নতুন কিংবদন্তি করে তুলতে পারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাজধানীর বাজারে দাম বেড়েছে মুরগির

মেসির পথে নয়, নিজের পথেই হাঁটছেন ইয়ামাল

আপডেট সময় : ০৬:০৮:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: ফুটবল বিশ্বের নজর কাড়ছেন তরুণ স্প্যানিশ ফুটবলার লামিনে ইয়ামাল। বার্সেলোনার জার্সিতে প্রতিনিয়ত আলো ছড়ানো এই ফরোয়ার্ডকে ঘিরে উচ্চাশা যেমন অনেক, ঠিক তেমনি তুলনা চলে ফুটবল ইতিহাসের সেরাদের একজন লিওনেল মেসির সঙ্গেও। তবে নিজেকে নিয়ে ভিন্ন এক অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছেন ইয়ামাল। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কারো সঙ্গেই নিজের তুলনা টানেন না- সেটি মেসির সঙ্গেও নয়। লা মাজিয়ার পণ্য ইয়ামাল মাত্র ১৫ বছর বয়সে বার্সেলোনার মূল দলে অভিষেক ঘটিয়ে তাক লাগিয়ে দেন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে, বার্সার আক্রমণভাগে তার প্রভাবও ততটাই বেড়েছে। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই দলটির নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠেছেন তিনি। বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হওয়ার মাধ্যমে পূর্ণ হবে তার শততম ম্যাচ যা তার বয়স বিবেচনায় এক বিশাল অর্জন।

তবে এসব সাফল্য সত্ত্বেও ইয়ামালের মানসিকতা একেবারেই পরিণত। মঙ্গলবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি কারো সঙ্গে নিজের তুলনা করি না, মেসির সঙ্গেও না। তিনি সর্বকালের সেরা। আমি কেবল নিজের উন্নতিতে মনোযোগ দিচ্ছি, অন্যদের সঙ্গে তুলনার কোনো মানে হয় না আমার কাছে।” এই ধরনের বক্তব্য প্রমাণ করে, ফুটবল মাঠে যেমন পরিণত তার খেলা, তেমনি পরিণত তার দৃষ্টিভঙ্গিও। যখন অনেক তরুণ খেলোয়াড় তুলনার চাপে নিজের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন, তখন ইয়ামাল শান্ত এবং দৃঢ় অবস্থানে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। ২০২৩ সালে বার্সার মূল দলে অভিষেকের দিন থেকেই ইয়ামালের মধ্যে মেসির ছায়া দেখেছিলেন তৎকালীন কোচ শাভি। তার ড্রিবলিং, পজিশন সেন্স এবং খেলার পাঠে ছিল মেসির ছোঁয়া। তবে ইয়ামাল জানেন, মেসির মতো কিংবদন্তি হওয়া কেবল প্রতিভা নয়, প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম ও সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষমতা। সে জন্যই হয়তো গত বছর এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব।”

নিজের প্রতি এই আত্মবিশ্বাস এবং বাস্তবতাবোধই ইয়ামালকে করে তুলেছে ব্যতিক্রমী। তিনি বুঝেন, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের পথ আলাদা, আর সেই পথ পাড়ি দিতে হয় নিজের মতো করেই। লা মাজিয়া থেকে উঠে এসে যেভাবে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন, তাতে বোঝাই যায় তার মধ্যে কতটা দৃঢ়তা ও একাগ্রতা রয়েছে। যদিও মেসির সঙ্গে তুলনা হয়তো তার পিছু ছাড়বে না, তবে ইয়ামাল ঠিকই জানেন কোন দিকে তাকিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তার এই দৃষ্টিভঙ্গিই হয়তো তাকে ভবিষ্যতের নতুন কিংবদন্তি করে তুলতে পারে।