ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেলায় উসকানিমূলক বই প্রকাশ ঠেকাতে কাজ করবে পুলিশ

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৩:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৪০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : একুশে বইমেলায় উসকানিমূলক বই প্রকাশ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক লেখা ঠেকাতে ঢাকা সাইবার মনিটরিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
কোনো লেখক বা প্রকাশকের প্রতি হুমকির শঙ্কা থাকলে, সেটি পুলিশকে জানালে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
গতকাল মঙ্গলবার ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৩’-এর নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। মেলাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট হুমকি না থাকলেও অন্য বছরের তুলনায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কেউ যেন উসকানিমূলক বই প্রকাশ না করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে না লেখে—এগুলো পর্যবেক্ষণে ডিএমপির সাইবার ইউনিট কাজ করবে। বইমেলায় আসতে লেখক-প্রকাশকেরা কোনো ধরনের হুমকি মনে করলে আমাদের অবহিত করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
বইমেলায় তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বইমেলায় অতীতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। সেই অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সন্দেহজনক কিছু দেখলে তল্লাশি করা হবে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রবেশের জন্য দুটি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনটি প্রবেশপথ রাখা হয়েছে। প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকার প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। মেলার আশপাশে অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে শহীদ মিনারকেন্দ্রিক ও শাহবাগ-নীলক্ষেতকেন্দ্রিক নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে তল্লাশি দল থাকবে।
মেলার নিরাপত্তায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্য, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল, ক্রাইম সিন ভ্যান ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, মেলায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসক দল ও অগ্নি–দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। ডিএমপি কন্ট্রোল রুমের ভেতরে ব্রেস্ট ফিডিং কক্ষ থাকবে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত মেলা প্রাঙ্গণে আসবেন ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বিশেষ দিন ও বন্ধের দিনগুলোয় দর্শনার্থী ও বই ক্রেতাদের সমাগম বেশি হওয়ায় অত্যধিক চাপ পড়ে। সেই চাপ সামাল দিতে টিএসসি ও বাংলা একাডেমির গেটে যাতে চাপ না পড়ে, সে জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের গেট খোলা থাকবে। সেখানে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা গাড়ি নিয়েও প্রবেশ করতে পারবেন, এ জন্য পার্কিংয়েরও ব্যবস্থা থাকবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মেলায় উসকানিমূলক বই প্রকাশ ঠেকাতে কাজ করবে পুলিশ

আপডেট সময় : ০৯:৪৩:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : একুশে বইমেলায় উসকানিমূলক বই প্রকাশ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক লেখা ঠেকাতে ঢাকা সাইবার মনিটরিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
কোনো লেখক বা প্রকাশকের প্রতি হুমকির শঙ্কা থাকলে, সেটি পুলিশকে জানালে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
গতকাল মঙ্গলবার ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৩’-এর নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। মেলাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট হুমকি না থাকলেও অন্য বছরের তুলনায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কেউ যেন উসকানিমূলক বই প্রকাশ না করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে না লেখে—এগুলো পর্যবেক্ষণে ডিএমপির সাইবার ইউনিট কাজ করবে। বইমেলায় আসতে লেখক-প্রকাশকেরা কোনো ধরনের হুমকি মনে করলে আমাদের অবহিত করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
বইমেলায় তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বইমেলায় অতীতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। সেই অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সন্দেহজনক কিছু দেখলে তল্লাশি করা হবে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রবেশের জন্য দুটি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনটি প্রবেশপথ রাখা হয়েছে। প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকার প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। মেলার আশপাশে অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে শহীদ মিনারকেন্দ্রিক ও শাহবাগ-নীলক্ষেতকেন্দ্রিক নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে তল্লাশি দল থাকবে।
মেলার নিরাপত্তায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্য, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল, ক্রাইম সিন ভ্যান ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, মেলায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসক দল ও অগ্নি–দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। ডিএমপি কন্ট্রোল রুমের ভেতরে ব্রেস্ট ফিডিং কক্ষ থাকবে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত মেলা প্রাঙ্গণে আসবেন ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বিশেষ দিন ও বন্ধের দিনগুলোয় দর্শনার্থী ও বই ক্রেতাদের সমাগম বেশি হওয়ায় অত্যধিক চাপ পড়ে। সেই চাপ সামাল দিতে টিএসসি ও বাংলা একাডেমির গেটে যাতে চাপ না পড়ে, সে জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের গেট খোলা থাকবে। সেখানে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা গাড়ি নিয়েও প্রবেশ করতে পারবেন, এ জন্য পার্কিংয়েরও ব্যবস্থা থাকবে।