নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত নাজিয়া আর প্রথম শ্রেণিতে পড়ত নাফি। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত দুজনকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৩টায় নাজিয়া মারা যায়। তার ছোট ভাই নাফি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এ দুই সহোদরের বাবা আশরাফুল ইসলাম নীরবের বন্ধু আনোয়ার হোসেন এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার খবর শুনে তিনি দিনাজপুর থেকে ঢাকার বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছেন। ভেতরে ঢুকতে কড়াকড়ি থাকায় বাইরে থেকে খোঁজ রাখছেন। নাজিয়া ও নাফি বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তরার কামারপাড়া এলাকায় থাকত। বিকেল ৩টায় কামারপাড়ায় নাজিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান আনোয়ার।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা যায়।
যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপর উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। উত্তরাসহ আশপাশের নয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হতাহতদের উদ্ধারকাজ শুরু হয়। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত (মঙ্গলবার বিকেল ৩টা) ৩১ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে আইএসপিআর। বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে শতাধিক।