ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

মেয়র-চেয়ারম্যানদের পদমর্যাদাও ব্যবহার করতে পারবেন না প্রার্থীরা

  • আপডেট সময় : ০২:১২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা স্থানীয় সরকারের কোনো সুযোগ-সুবিধা তো দূরের কথা মেয়র, চেয়ারম্যানদের পদমর্যাদাও ব্যবহার করতে পারবেন না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দেশের সব মেয়র, চেয়ারম্যানকে এমন নির্দেশনা দিয়ে এক নির্বাহী আদেশ জারি করেছে, যার অনুলিপি পাঠানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনেও। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম সম্প্রতি নির্বাহী আদেশটি জারি করেছেন। এতে ১০টি নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্দেশনা অমান্য করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো
১) স্ব স্ব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া;

২) নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সময়ে সময়ে যেসব আদেশ বা নির্দেশ জারি করেছে কিংবা করবে, তা প্রতিপালন;
৩) নিৰ্বাচনী মিছিল, সভা ও প্রচারণা যাতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও বিধি অনুযায়ী হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা;
৪) কোনো নির্বাচনী অফিস বা প্রতীক বা পোস্টার নষ্ট করার যেকোনো প্রচেষ্টা রোধে সামাজিক প্রতিরোধ গঠনে সহায়তা করা;
৫) সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদে এমন কোনো উন্নয়ন স্কিম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে না, যা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রাণ ভোট প্রাপ্তিতে বা প্রচারণার পক্ষে ব্যবহৃত হতে পারে;
৬) সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান বা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না, যা কোনো প্রার্থীর ভোট প্রাপ্তি বা প্রচারণার কাজে প্রভাব বিস্তার করবে;
৭) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো অফিস, যানবাহন এবং অন্যান্য সম্পত্তি কোনো প্রার্থীর নির্বাচন বা প্রচারণার কাজে কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। মাশুল পরিশোধ করেও ব্যক্তিগত কাজে কোনো যানবাহন ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না;
৮) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে বা প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না;
৯) ভোটকেন্দ্র নির্মাণসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সব কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা প্রয়োজন হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তা প্রদান করবে; এবং
(১০) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের পদমর্যাদা, সরকারি সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মেয়র-চেয়ারম্যানদের পদমর্যাদাও ব্যবহার করতে পারবেন না প্রার্থীরা

আপডেট সময় : ০২:১২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা স্থানীয় সরকারের কোনো সুযোগ-সুবিধা তো দূরের কথা মেয়র, চেয়ারম্যানদের পদমর্যাদাও ব্যবহার করতে পারবেন না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দেশের সব মেয়র, চেয়ারম্যানকে এমন নির্দেশনা দিয়ে এক নির্বাহী আদেশ জারি করেছে, যার অনুলিপি পাঠানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনেও। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম সম্প্রতি নির্বাহী আদেশটি জারি করেছেন। এতে ১০টি নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্দেশনা অমান্য করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো
১) স্ব স্ব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া;

২) নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সময়ে সময়ে যেসব আদেশ বা নির্দেশ জারি করেছে কিংবা করবে, তা প্রতিপালন;
৩) নিৰ্বাচনী মিছিল, সভা ও প্রচারণা যাতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও বিধি অনুযায়ী হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা;
৪) কোনো নির্বাচনী অফিস বা প্রতীক বা পোস্টার নষ্ট করার যেকোনো প্রচেষ্টা রোধে সামাজিক প্রতিরোধ গঠনে সহায়তা করা;
৫) সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদে এমন কোনো উন্নয়ন স্কিম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে না, যা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রাণ ভোট প্রাপ্তিতে বা প্রচারণার পক্ষে ব্যবহৃত হতে পারে;
৬) সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান বা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না, যা কোনো প্রার্থীর ভোট প্রাপ্তি বা প্রচারণার কাজে প্রভাব বিস্তার করবে;
৭) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো অফিস, যানবাহন এবং অন্যান্য সম্পত্তি কোনো প্রার্থীর নির্বাচন বা প্রচারণার কাজে কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। মাশুল পরিশোধ করেও ব্যক্তিগত কাজে কোনো যানবাহন ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না;
৮) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে বা প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না;
৯) ভোটকেন্দ্র নির্মাণসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সব কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা প্রয়োজন হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তা প্রদান করবে; এবং
(১০) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের পদমর্যাদা, সরকারি সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।