ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেডিকেলে ভর্তিতে কোটায় উত্তীর্ণদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই হবে

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৫:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস (মেডিকেল) ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের কাগজপত্র বা তথ্যাদি যাচাই–বাছাই করা হবে। এতে যদি কারও তথ্য ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁদের প্রাথমিক নির্বাচন বাতিল করা হবে বলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে।

আর এই যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের ভর্তিসংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। তবে বাকিদের ভর্তিসহ মেডিকেল কলেজের অন্যান্য কার্যক্রম চালু থাকবে।

নীতিমালা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রয়েছে। এ ছাড়া পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্যও রয়েছে কোটা।

গত রোববার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। কিন্তু মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় থাকা কোটা বাতিল, গত রোববার প্রকাশিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে আবারও প্রকাশের দাবিতে সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন একদল শিক্ষার্থী। ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ কয়েকটি মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে রাত আটটার মধ্যে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে আবার প্রকাশের দাবি জানানো হয়।

এর মধ্যে সোমবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নীতিমালায় মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান কোটা এবং পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর কোটায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে অনুমোদনক্রমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ ও ২৬ জানুয়ারি পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর কোটার প্রার্থীদের এবং ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানের জন্য সংরক্ষিত আসনে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের কোটার সপক্ষে সনদ বা প্রমাণসহ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে (মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরোনো ভবনের দ্বিতীয় তলা) উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। যাচাই–বাছাইয়ে দাখিল করা তথ্য মিথ্যা বা ভুল প্রমাণিত হলে প্রাথমিক নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন প্রথম আলোকে বলেন, ভর্তি নীতিমালায় মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটার কথা লেখা আছে। এখন সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় এই কোটা থাকবে না, তাহলে কেউ-ই এই কোটায় থাকবেন না। আর যদি সিদ্ধান্ত হয় এই কোটা থাকবে, তাহলে শুধু মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের মধ্যে যাঁদের কাগজপত্র বৈধ হবে, তাঁরা নির্বাচিত হবেন। বাকিদের আসন মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মেডিকেলে ভর্তিতে কোটায় উত্তীর্ণদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই হবে

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস (মেডিকেল) ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের কাগজপত্র বা তথ্যাদি যাচাই–বাছাই করা হবে। এতে যদি কারও তথ্য ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁদের প্রাথমিক নির্বাচন বাতিল করা হবে বলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে।

আর এই যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের ভর্তিসংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। তবে বাকিদের ভর্তিসহ মেডিকেল কলেজের অন্যান্য কার্যক্রম চালু থাকবে।

নীতিমালা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রয়েছে। এ ছাড়া পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্যও রয়েছে কোটা।

গত রোববার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। কিন্তু মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় থাকা কোটা বাতিল, গত রোববার প্রকাশিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে আবারও প্রকাশের দাবিতে সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন একদল শিক্ষার্থী। ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ কয়েকটি মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে রাত আটটার মধ্যে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে আবার প্রকাশের দাবি জানানো হয়।

এর মধ্যে সোমবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নীতিমালায় মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান কোটা এবং পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর কোটায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে অনুমোদনক্রমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ ও ২৬ জানুয়ারি পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর কোটার প্রার্থীদের এবং ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানের জন্য সংরক্ষিত আসনে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের কোটার সপক্ষে সনদ বা প্রমাণসহ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে (মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরোনো ভবনের দ্বিতীয় তলা) উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। যাচাই–বাছাইয়ে দাখিল করা তথ্য মিথ্যা বা ভুল প্রমাণিত হলে প্রাথমিক নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন প্রথম আলোকে বলেন, ভর্তি নীতিমালায় মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটার কথা লেখা আছে। এখন সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় এই কোটা থাকবে না, তাহলে কেউ-ই এই কোটায় থাকবেন না। আর যদি সিদ্ধান্ত হয় এই কোটা থাকবে, তাহলে শুধু মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের মধ্যে যাঁদের কাগজপত্র বৈধ হবে, তাঁরা নির্বাচিত হবেন। বাকিদের আসন মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে।