ঢাকা ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

মেট্রোরেল চালু হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে

  • আপডেট সময় : ০২:৪৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাজধানীবাসীর জন্য মেট্রোরেল চালু হচ্ছে। শুরুতে প্রথম ধাপে রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হবে মেট্টোরেল। ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক এ কথা জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-১) ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন বিষয়ক এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-৬) প্রতি কিলোমিটার ভাড়া ৫ টাকা এবং সর্বনি¤œ ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ভাড়া হবে ১০০ টাকা। তবে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাড়া মওকুফ থাকবে।
এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, উদ্বোধনের কোনো তারিখ এখনো পাওয়া যায়নি। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ প্রস্তাব করে এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করি, সেই প্রস্তাব অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দেবেন। ১৬ ডিসেম্বরের প্রস্তাবনা আমাদের কাছে নেই। কারণ ওইদিন অনেক প্রোগ্রাম রয়েছে। তাই ওইদিন মেট্রোরেল উদ্বোধন করা সম্ভব হচ্ছে না।
ডিএমটিসিএলের এমডি আরও বলেন, আগামী বছর জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এমআরটি লাইন-১ এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরে পাতাল রেলপথের কাজ শুরু হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, আমরা অন্তত ৩০ মিটার নিচ দিয়ে কাজ করবো। বাংলাদেশের কোনো ইউটিলিটি লাইন এত নিচ দিয়ে নেই। যার ফলে পুরো রুট অ্যালাইমেন্টে আমাদের কোনো ইউটিলিটি লাইন সরানোর প্রয়োজন পড়বে না। শুধুমাত্র স্টেশন এলাকায় এটি প্রয়োজন পড়বে। সেখানে আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করব এবং সেই এলাকায় যে ইউটিলিটি লাইনগুলো যেভাবে আছে ঠিক সেভাবে রেখে আমরা নিচে চলে যাব।
মেট্রোরেলের ডিপোর ভূমি উন্নয়নে ৬০৭ কোটির চুক্তি : মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-১) ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (জাপান) এবং ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের (বাংলাদেশ) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-১ এর আওতায় নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ মৌজায় ৮৮.৭১ একর এলাকার ভূমি উন্নয়ন করা হবে। এই চুক্তি মূল্যের পরিমাণ ৬০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ৬০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চুক্তি মূল্যের মধ্যে ৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার এবং ৫২৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়ক প্রতিষ্ঠান জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) থেকে নেওয়া হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৯১০ দিনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ডিএমটিসিএলের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (জাপান) নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মাসাকাজু কনিশী। জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কাজের পদ্ধতি ও বাস্তবায়নকালের ওপর ভিত্তি করে পুরো এলাকাকে মোট ছয়টি জোনে বিভক্ত করা হবে। এই কাজে স্ট্যাটিক সেন্ড কম্প্যাকশন পাইল, ডায়নামিক সেন্ড কম্প্যাকশন পাইল, প্রিফেব্রিকেটেড ভার্টিক্যাল ড্রেইনের মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ডিপোর ভূমি উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এই এলাকায় কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ ২ এর আওতায় ডিপোর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ও ম্যাকানিক্যাল সিস্টেম স্থাপন করা হবে। এমআরটি লাইন-১ এর বিমানবন্দর রুট ও পূর্বাচল রুটে চলাচলকারী সব মেট্রো ট্রেন এই ডিপোর সুবিধাগুলো ব্যবহার করবে। অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, এটা অনেক বড় প্রকল্প। এর মোট ব্যয় ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। আজ থেকে প্রথম ফেইজের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে পিতলগঞ্জ এলাকায় মেট্রোরেলের ডিপো ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। আমি এই কাজের সাফল্য কামনা করছি। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। এই চুক্তির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ এলাকায় মেট্রোরেল ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। জাপান বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। বাংলাদেশ জাপানের সম্পর্ক আরও সুন্দর হবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমআরটি লাইন-১ এর প্রকল্প পরিচালক আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মামুন-আল রশিদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি টমোহাইড।
মেট্রোরেল এবার চট্টগ্রাম শহরে : এবারে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত চট্টগ্রাম শহরে মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে সরকার। সেখানে মেট্রোরেল চালু করার আগে প্রাথমিক সমীক্ষা পরিচালনার জন্য ৭০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। ‘ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান অ্যান্ড প্রিলিমিনারি ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর আরবান মেট্রোরেল ট্রানজিট কনস্ট্রাকশন ফর চিটাগাং মেট্রোপলিটন এরিয়া’ শীর্ষক এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটি শুরুর সময় ধরা হয়েছে চলতি ২০২২ সালের অক্টোবর, যা শেষ হবে ২০২৫ সালের মার্চে। ৭০ কোটি টাকার এই প্রকল্পে কোরিয়ার সাহায্য সংস্থা কইকা দেবে ৫৭ কোটি টাকা। প্রকল্পটির আওতায় প্রাথমিক সমীক্ষা করার উদ্দেশ্য হলো, চট্টগ্রাম শহর এলাকার জন্য পরিবহনব্যবস্থার একটি মহাপরিকল্পনা করা, মেট্রো সিস্টেম চালু করা ও ট্রাফিকব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি। একনেক সভায় সব মিলিয়ে আটটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য মোট খরচ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মেট্রোরেল চালু হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে

আপডেট সময় : ০২:৪৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাজধানীবাসীর জন্য মেট্রোরেল চালু হচ্ছে। শুরুতে প্রথম ধাপে রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হবে মেট্টোরেল। ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক এ কথা জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-১) ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন বিষয়ক এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-৬) প্রতি কিলোমিটার ভাড়া ৫ টাকা এবং সর্বনি¤œ ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ভাড়া হবে ১০০ টাকা। তবে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাড়া মওকুফ থাকবে।
এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, উদ্বোধনের কোনো তারিখ এখনো পাওয়া যায়নি। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ প্রস্তাব করে এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করি, সেই প্রস্তাব অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দেবেন। ১৬ ডিসেম্বরের প্রস্তাবনা আমাদের কাছে নেই। কারণ ওইদিন অনেক প্রোগ্রাম রয়েছে। তাই ওইদিন মেট্রোরেল উদ্বোধন করা সম্ভব হচ্ছে না।
ডিএমটিসিএলের এমডি আরও বলেন, আগামী বছর জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এমআরটি লাইন-১ এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরে পাতাল রেলপথের কাজ শুরু হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, আমরা অন্তত ৩০ মিটার নিচ দিয়ে কাজ করবো। বাংলাদেশের কোনো ইউটিলিটি লাইন এত নিচ দিয়ে নেই। যার ফলে পুরো রুট অ্যালাইমেন্টে আমাদের কোনো ইউটিলিটি লাইন সরানোর প্রয়োজন পড়বে না। শুধুমাত্র স্টেশন এলাকায় এটি প্রয়োজন পড়বে। সেখানে আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করব এবং সেই এলাকায় যে ইউটিলিটি লাইনগুলো যেভাবে আছে ঠিক সেভাবে রেখে আমরা নিচে চলে যাব।
মেট্রোরেলের ডিপোর ভূমি উন্নয়নে ৬০৭ কোটির চুক্তি : মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-১) ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (জাপান) এবং ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের (বাংলাদেশ) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-১ এর আওতায় নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ মৌজায় ৮৮.৭১ একর এলাকার ভূমি উন্নয়ন করা হবে। এই চুক্তি মূল্যের পরিমাণ ৬০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ৬০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চুক্তি মূল্যের মধ্যে ৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার এবং ৫২৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়ক প্রতিষ্ঠান জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) থেকে নেওয়া হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৯১০ দিনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ডিএমটিসিএলের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (জাপান) নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মাসাকাজু কনিশী। জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কাজের পদ্ধতি ও বাস্তবায়নকালের ওপর ভিত্তি করে পুরো এলাকাকে মোট ছয়টি জোনে বিভক্ত করা হবে। এই কাজে স্ট্যাটিক সেন্ড কম্প্যাকশন পাইল, ডায়নামিক সেন্ড কম্প্যাকশন পাইল, প্রিফেব্রিকেটেড ভার্টিক্যাল ড্রেইনের মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ডিপোর ভূমি উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এই এলাকায় কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ ২ এর আওতায় ডিপোর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ও ম্যাকানিক্যাল সিস্টেম স্থাপন করা হবে। এমআরটি লাইন-১ এর বিমানবন্দর রুট ও পূর্বাচল রুটে চলাচলকারী সব মেট্রো ট্রেন এই ডিপোর সুবিধাগুলো ব্যবহার করবে। অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, এটা অনেক বড় প্রকল্প। এর মোট ব্যয় ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। আজ থেকে প্রথম ফেইজের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে পিতলগঞ্জ এলাকায় মেট্রোরেলের ডিপো ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। আমি এই কাজের সাফল্য কামনা করছি। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। এই চুক্তির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ এলাকায় মেট্রোরেল ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। জাপান বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। বাংলাদেশ জাপানের সম্পর্ক আরও সুন্দর হবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমআরটি লাইন-১ এর প্রকল্প পরিচালক আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মামুন-আল রশিদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি টমোহাইড।
মেট্রোরেল এবার চট্টগ্রাম শহরে : এবারে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত চট্টগ্রাম শহরে মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে সরকার। সেখানে মেট্রোরেল চালু করার আগে প্রাথমিক সমীক্ষা পরিচালনার জন্য ৭০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। ‘ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান অ্যান্ড প্রিলিমিনারি ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর আরবান মেট্রোরেল ট্রানজিট কনস্ট্রাকশন ফর চিটাগাং মেট্রোপলিটন এরিয়া’ শীর্ষক এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটি শুরুর সময় ধরা হয়েছে চলতি ২০২২ সালের অক্টোবর, যা শেষ হবে ২০২৫ সালের মার্চে। ৭০ কোটি টাকার এই প্রকল্পে কোরিয়ার সাহায্য সংস্থা কইকা দেবে ৫৭ কোটি টাকা। প্রকল্পটির আওতায় প্রাথমিক সমীক্ষা করার উদ্দেশ্য হলো, চট্টগ্রাম শহর এলাকার জন্য পরিবহনব্যবস্থার একটি মহাপরিকল্পনা করা, মেট্রো সিস্টেম চালু করা ও ট্রাফিকব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি। একনেক সভায় সব মিলিয়ে আটটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য মোট খরচ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা।