ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫

মেট্রোরেলের মালামাল চুরি করে বেচতো চক্রটি

  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে চলমান মেট্রোরেল প্রকল্পে ব্যবহৃত লোহার বিভিন্ন মালামাল চুরি করে সেগুলো ভাঙারির দোকান ও লোহার কারখানায় বিক্রির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে এক টন ৩৫৪ কেজি চোরাই মালামালসহ তিনটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন দুলাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, হাসমত বেপারী, রবিন ও আনোয়ার হোসেন।
গতকাল শুক্রবার পল্লবী থানায় এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ডিএমপির মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) আরিফুল ইসলাম।
এডিসি আরিফ বলেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পল্লবী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশ মিরপুর-১২ নম্বর সেকশনের সিরামিকস রোড থেকে দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তার তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর ডিওএইচএসের বৃন্দাবন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় দেলোয়ার মেট্রোরেলের পথ তৈরিতে ব্যবহৃত চোরাই সরঞ্জাম বিক্রির জন্য একটি ট্রাকে তুলছিলেন। দেলোয়ারের তথ্যের ভিত্তিতে পরে পল্লবীর কালশী এলাকা থেকে আনোয়ার হোসেন, রূপনগর থেকে হাশমত আলী এবং পল্লবী থেকে রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মেট্রোরেলের বিভিন্ন ধরনের ইস্কাপ ফ্লোন্ডিং, লোহার পাইপ, জ্যাংগ রেইজিং, এইচ ভিম, লোহার রড, লিপটিং স্প্রিং, স্টিলের সাইনবোর্ড, অ্যাঙ্গেল, হলো বক্স, প্লাটবারসহ এক টন ৩৫৪ কেজি চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়। এ সময় চোরাই মালামাল বহনে ব্যবহৃত তিনটি ট্রাক জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন, মেট্রোরেল প্রকল্পের ৮৪ নম্বর থেকে ২৪৭ নম্বর পিলার পর্যন্ত এলাকা থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন সময়ে মেট্রোরেলের বিভিন্ন ধরনের মালামাল চুরি করে আসছিলেন। চোরাই চক্রের সদস্যরা কয়েকটি ধাপে কাজ করে থাকেন। তারা চুরির পর কয়েকটি ধাপে মালামালের রূপ পাল্টিয়ে লোহার কারখানায় সরবরাহ করতেন। পুলিশ এই চোরাই চক্রের প্রধানকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে কোরবানির পশু পর্যাপ্ত, পাশের দেশের প্রয়োজন নেই: উপদেষ্টা

মেট্রোরেলের মালামাল চুরি করে বেচতো চক্রটি

আপডেট সময় : ০৯:০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে চলমান মেট্রোরেল প্রকল্পে ব্যবহৃত লোহার বিভিন্ন মালামাল চুরি করে সেগুলো ভাঙারির দোকান ও লোহার কারখানায় বিক্রির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে এক টন ৩৫৪ কেজি চোরাই মালামালসহ তিনটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন দুলাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, হাসমত বেপারী, রবিন ও আনোয়ার হোসেন।
গতকাল শুক্রবার পল্লবী থানায় এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ডিএমপির মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) আরিফুল ইসলাম।
এডিসি আরিফ বলেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পল্লবী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশ মিরপুর-১২ নম্বর সেকশনের সিরামিকস রোড থেকে দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তার তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর ডিওএইচএসের বৃন্দাবন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় দেলোয়ার মেট্রোরেলের পথ তৈরিতে ব্যবহৃত চোরাই সরঞ্জাম বিক্রির জন্য একটি ট্রাকে তুলছিলেন। দেলোয়ারের তথ্যের ভিত্তিতে পরে পল্লবীর কালশী এলাকা থেকে আনোয়ার হোসেন, রূপনগর থেকে হাশমত আলী এবং পল্লবী থেকে রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মেট্রোরেলের বিভিন্ন ধরনের ইস্কাপ ফ্লোন্ডিং, লোহার পাইপ, জ্যাংগ রেইজিং, এইচ ভিম, লোহার রড, লিপটিং স্প্রিং, স্টিলের সাইনবোর্ড, অ্যাঙ্গেল, হলো বক্স, প্লাটবারসহ এক টন ৩৫৪ কেজি চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়। এ সময় চোরাই মালামাল বহনে ব্যবহৃত তিনটি ট্রাক জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন, মেট্রোরেল প্রকল্পের ৮৪ নম্বর থেকে ২৪৭ নম্বর পিলার পর্যন্ত এলাকা থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন সময়ে মেট্রোরেলের বিভিন্ন ধরনের মালামাল চুরি করে আসছিলেন। চোরাই চক্রের সদস্যরা কয়েকটি ধাপে কাজ করে থাকেন। তারা চুরির পর কয়েকটি ধাপে মালামালের রূপ পাল্টিয়ে লোহার কারখানায় সরবরাহ করতেন। পুলিশ এই চোরাই চক্রের প্রধানকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।