ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু

  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :রাজধানীর উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে রওনা হয়ে পল্লবী পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টায় চারটি স্টেশন ঘুরে আবার ডিপোতে ফিরেছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার গতিবেগে চলেছে ট্রেনটি।
গতকাল রোববার সকালে ‘ভায়াডাক্টের উপর প্রথম মেট্রো ট্রেন চলাচল পরীক্ষণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানের পর পরীক্ষামূলক চলে ট্রেনটি। মেট্রোরেলের প্রথম পরীক্ষামূলক এই চলাচলে কোনো যাত্রী পরিবহন করা হয়নি। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে পল্লবী পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার ভায়াডাক্টের উপর সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলেছে ট্রেনটি। এই পরীক্ষামূলক চলাচলে চালকের আসনে ছিলেন একজন জাপানি নাগরিক। তিনি পিসিসিএল কোম্পানির একজন কর্মচারী। এছাড়া তার সঙ্গে আরও কয়েকজন জাপানি কর্মী ও দেশীয় কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় পরীক্ষামূলক টেন চলাচলের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মেট্রোরেলের এমআরপি লাইন ৬ এর বাণিজ্যিক চলাচল শুরু হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী বছর ডিসেম্বরে তরুণ প্রজন্মের মেট্রোরেল যাত্রী নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে চলাচল করতে পারবে। তার আগে ছয় মাস পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রী ছাড়া চলবে। মেট্রোরেল ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘আজ খুবই ভালো লাগছে। শেখ হাসিনার অবদান, মেট্রোরেল দৃশ্যমান। ছয়টি মেট্রোরেলের কাজ ২০৩০ সালে শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি। এর ধারাবাহিকতায় কাজ পুরো দমে এগিয়ে চলছে।’ ৩১ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৬৮.৪৯ শতাংশ বলেও জানান তিনি।
দেশের প্রথম মেট্রোরেল হচ্ছে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে কমলাপুর পর্যন্ত। বর্তমানে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে এটি মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পর্যন্ত নির্মাণের কাজ চলছে। এটি পরে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে। রাজধানীর যানজট নিরসনে উড়ালসড়ক, বাসের বিশেষ লেন নির্মাণসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে বা হচ্ছে। তবে আধুনিক নগর–পরিকল্পনায় ও গণপরিবহনে সবচেয়ে কার্যকর হিসেবে দেখা হয় মেট্রোরেলকে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন গঠন করা হয় ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি (ডিএমটিসিএল)। ২০১৫ সালে জাপানের সহায়তায় এসটিপি সংশোধন (আরএসটিপি) করে মেট্রোরেলের রুট সংখ্যা বাড়ানো হয়। মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে মতিঝিলে যেতে লাগবে ৩৮ মিনিট। ঘণ্টায় দুই দিক থেকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত স্টেশন হবে ১৬টি। শুরুতে ২৪টি ট্রেন দিয়ে মেট্রোরেল চালু করার কথা রয়েছে। প্রতিটি ট্রেনে প্রাথমিকভাবে ছয়টি করে বগি থাকবে। পরে তা আটটিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে। প্রাথমিক হিসাব অনুসারে, শুরুতে দিনে চার লাখ ৮৩ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। ২০৩৫ সালে যাত্রীসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৮ লাখের বেশি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন আপদ ‘মব সন্ত্রাস’, আতঙ্কে সারা দেশ

মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু

আপডেট সময় : ০১:৫৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :রাজধানীর উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে রওনা হয়ে পল্লবী পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টায় চারটি স্টেশন ঘুরে আবার ডিপোতে ফিরেছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার গতিবেগে চলেছে ট্রেনটি।
গতকাল রোববার সকালে ‘ভায়াডাক্টের উপর প্রথম মেট্রো ট্রেন চলাচল পরীক্ষণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানের পর পরীক্ষামূলক চলে ট্রেনটি। মেট্রোরেলের প্রথম পরীক্ষামূলক এই চলাচলে কোনো যাত্রী পরিবহন করা হয়নি। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে পল্লবী পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার ভায়াডাক্টের উপর সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলেছে ট্রেনটি। এই পরীক্ষামূলক চলাচলে চালকের আসনে ছিলেন একজন জাপানি নাগরিক। তিনি পিসিসিএল কোম্পানির একজন কর্মচারী। এছাড়া তার সঙ্গে আরও কয়েকজন জাপানি কর্মী ও দেশীয় কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় পরীক্ষামূলক টেন চলাচলের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মেট্রোরেলের এমআরপি লাইন ৬ এর বাণিজ্যিক চলাচল শুরু হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী বছর ডিসেম্বরে তরুণ প্রজন্মের মেট্রোরেল যাত্রী নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে চলাচল করতে পারবে। তার আগে ছয় মাস পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রী ছাড়া চলবে। মেট্রোরেল ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘আজ খুবই ভালো লাগছে। শেখ হাসিনার অবদান, মেট্রোরেল দৃশ্যমান। ছয়টি মেট্রোরেলের কাজ ২০৩০ সালে শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি। এর ধারাবাহিকতায় কাজ পুরো দমে এগিয়ে চলছে।’ ৩১ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৬৮.৪৯ শতাংশ বলেও জানান তিনি।
দেশের প্রথম মেট্রোরেল হচ্ছে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে কমলাপুর পর্যন্ত। বর্তমানে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে এটি মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পর্যন্ত নির্মাণের কাজ চলছে। এটি পরে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে। রাজধানীর যানজট নিরসনে উড়ালসড়ক, বাসের বিশেষ লেন নির্মাণসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে বা হচ্ছে। তবে আধুনিক নগর–পরিকল্পনায় ও গণপরিবহনে সবচেয়ে কার্যকর হিসেবে দেখা হয় মেট্রোরেলকে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন গঠন করা হয় ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি (ডিএমটিসিএল)। ২০১৫ সালে জাপানের সহায়তায় এসটিপি সংশোধন (আরএসটিপি) করে মেট্রোরেলের রুট সংখ্যা বাড়ানো হয়। মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে মতিঝিলে যেতে লাগবে ৩৮ মিনিট। ঘণ্টায় দুই দিক থেকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত স্টেশন হবে ১৬টি। শুরুতে ২৪টি ট্রেন দিয়ে মেট্রোরেল চালু করার কথা রয়েছে। প্রতিটি ট্রেনে প্রাথমিকভাবে ছয়টি করে বগি থাকবে। পরে তা আটটিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে। প্রাথমিক হিসাব অনুসারে, শুরুতে দিনে চার লাখ ৮৩ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। ২০৩৫ সালে যাত্রীসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৮ লাখের বেশি।