ঢাকা ০৯:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
মেটার বিরুদ্ধে মামলা করলো আমেরিকা

মেটার বিরুদ্ধে মামলা করলো আমেরিকা

  • আপডেট সময় : ১০:৫৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় টেক জায়ান্ট মেটা। যার অধীনে আছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মত জনপ্রিয় সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই আছে এর ব্যবহারকারী। তবে এবার মেটার বিরুদ্ধে মামলা করলো আমেরিকার ৪০টি প্রদেশ। শিশুদের যন্ত্রণাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা, শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ছেলেখেলার অভিযোগও উঠেছে মেটার বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে শিশুদের হতাশা, উদ্বেগ, অনিদ্রার সমস্যাও বাড়িয়ে দিচ্ছে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো, এমনটাই দাবি তাদের। ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল আদালতে মেটার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ কে সামনে রেখে লাগাতার সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করে চলেছে মেটা। এমন ভাবে নিজেদের ব্যবসাকে সাজিয়েছে, যাতে স্বাস্থ্যের তোয়াক্কা না করে বেশিক্ষণ সেখানে সময় কাটায় অল্পবয়সী শিশুরা।
নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেতিতা জেমস বিবৃতিতে বলেছেন, বর্তমানে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য সবচেয়ে উদ্বেগজনক জায়গায়। মেটার মতো সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলোই এর জন্য দায়ী। ভার্চুয়াল জগতের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করে চলেছে তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কথা জানতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে গ্রাহকদের জন্য সমস্ত বিষয় রয়েছে, তার ক্ষতিকারক দিকগুলোও তুলে ধরা হয়েছে আদালতে। বলা হয়েছে, এমন বিষয়বস্তু রাখা হয়েছে, যা শিশুমনে বিষ ঢেলে দেয়। কিন্তু অ্যালগোরিদম ব্যবহার করে এমন ভাবে সেগুলো চোখের সামনে তুলে ধরা হয় যে, তাতে কার্যত নেশা ধরে যায়। তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর। এর আগেও মার্কিন কংগ্রেসের কাছে জবাবদিহি করতে হয়েছে মেটাকে। ২০২১ সালে মেটার এক প্রাক্তন কর্মী প্রথম সংস্থার দিকে আঙুল তোলেন। তার দাবি, মেটার টার্গেট থাকে অল্পবয়সী গ্রাহকদের দিকে। তাদের উপর নজরদারি চালায় মেটা। ফোটো শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করতে করতে অল্পবয়সি মেয়েরা চেহারা এবং শরীর নিয়ে অবসাদে ভুগতে শুরু করে, উৎকণ্ঠা গ্রাস করে তাদের।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মেটার বিরুদ্ধে মামলা করলো আমেরিকা

মেটার বিরুদ্ধে মামলা করলো আমেরিকা

আপডেট সময় : ১০:৫৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় টেক জায়ান্ট মেটা। যার অধীনে আছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মত জনপ্রিয় সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই আছে এর ব্যবহারকারী। তবে এবার মেটার বিরুদ্ধে মামলা করলো আমেরিকার ৪০টি প্রদেশ। শিশুদের যন্ত্রণাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা, শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ছেলেখেলার অভিযোগও উঠেছে মেটার বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে শিশুদের হতাশা, উদ্বেগ, অনিদ্রার সমস্যাও বাড়িয়ে দিচ্ছে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো, এমনটাই দাবি তাদের। ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল আদালতে মেটার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ কে সামনে রেখে লাগাতার সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করে চলেছে মেটা। এমন ভাবে নিজেদের ব্যবসাকে সাজিয়েছে, যাতে স্বাস্থ্যের তোয়াক্কা না করে বেশিক্ষণ সেখানে সময় কাটায় অল্পবয়সী শিশুরা।
নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেতিতা জেমস বিবৃতিতে বলেছেন, বর্তমানে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য সবচেয়ে উদ্বেগজনক জায়গায়। মেটার মতো সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলোই এর জন্য দায়ী। ভার্চুয়াল জগতের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করে চলেছে তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কথা জানতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে গ্রাহকদের জন্য সমস্ত বিষয় রয়েছে, তার ক্ষতিকারক দিকগুলোও তুলে ধরা হয়েছে আদালতে। বলা হয়েছে, এমন বিষয়বস্তু রাখা হয়েছে, যা শিশুমনে বিষ ঢেলে দেয়। কিন্তু অ্যালগোরিদম ব্যবহার করে এমন ভাবে সেগুলো চোখের সামনে তুলে ধরা হয় যে, তাতে কার্যত নেশা ধরে যায়। তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর। এর আগেও মার্কিন কংগ্রেসের কাছে জবাবদিহি করতে হয়েছে মেটাকে। ২০২১ সালে মেটার এক প্রাক্তন কর্মী প্রথম সংস্থার দিকে আঙুল তোলেন। তার দাবি, মেটার টার্গেট থাকে অল্পবয়সী গ্রাহকদের দিকে। তাদের উপর নজরদারি চালায় মেটা। ফোটো শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করতে করতে অল্পবয়সি মেয়েরা চেহারা এবং শরীর নিয়ে অবসাদে ভুগতে শুরু করে, উৎকণ্ঠা গ্রাস করে তাদের।