ঢাকা ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

মেটা’র বিরুদ্ধে তথ্য ফাঁসকারীর নতুন অভিযোগ

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৭:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : এবার বিনিয়োগকারীদের কাছে মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছে ফেইসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা’র বিরুদ্ধে। কোভিড-১৯ নিয়ে ভুয়া তথ্যের প্রচার আর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নিজেদের তৎপরতা নিয়ে মেটা বিনিয়োগকারীদের ভুল বুঝিয়েছে বলে নতুন দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি)’।
এসইসি-এর কাছে নতুন অভিযোগ দুটি এনেছে ‘‘হুইসেলব্লোয়ার এইড’ নামের একটি অলাভজনক সংগঠন। মেটা’র তথ্য ফাঁসকারী সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেনের প্রতিনিধিত্ব করছে সংগঠনটি। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেটের প্রতিবেদন বলছে, নতুন অভিযোগ দুটি আনা হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসেই।
সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, মেটা “তথ্য উপাত্ত ভুলভাবে উপস্থাপন” করেছে এবং বিনিয়োগকারীদের দেওয়া প্রতিবেদনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চেপে গেছে। এসইসি’র কাছে নতুন অভিযোগ দায়ের করার খবর নিশ্চিত করেছে ‘হুইসেলব্লোয়ার এইড’। প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিনিয়োগকারীদের সঠিক তথ্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি। “এসইসি’র কাছে জমা দেওয়া নথিপত্র থেকে এটা পরিষ্কার যে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড মিথ্যাচার মোকাবেলা প্রসঙ্গে ফেইসবুক ব্যক্তি পর্যায়ে এক কথা বলছিল এবং জনসমক্ষে বলছিল ভিন্ন কথা,” ইমেইল মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলেছেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ আইনজীবি অ্যান্ড্রু বাকাজ। তবে, এ প্রসঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছে এসইসি। মেটা’র বিরুদ্ধে নতুন যে দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে, তার মধ্যে একটি বলছে, ফেইসবুক কর্মকর্তারা জলবায়ু পরিবর্তনের “বৈশ্বিক সঙ্কট” সংশ্লিষ্ট ভুয়া তথ্যের প্রচার বন্ধে নিজেদের প্রতিশ্রুতির কথা বললেও প্ল্যাটফর্মটিতে এ ধরনের ভুয়া কনটেন্টের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয় মাত্রায়। দ্বিতীয় অভিযোগে সংগঠনটি বলছে, ফেইসবুকের কর্মকর্তারা কোভড মহামারী সংশ্লিষ্ট ভুয়া খবর ও মিথ্যাচারী কনটেন্ট বারবার মুছে দেওয়ার কথা বললেও প্রতিষ্ঠানটি অভ্যন্তরীণ নথিপত্র বলছে, প্ল্যাটফর্মটিতে ব্যাপকহারে ছড়িয়েছে কোভিড নিয়ে মিথ্যাচার।
বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং মিথ্যাচার মোকাবেলায় ফেইসবুক যথেষ্ট তৎপর নয়, এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। গেল বছর ফেইসবুককে আরো বিপদে ফেলেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন। অভ্যন্তরীণ গোপন নথিপত্র যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস এবং এসইসি’র কাছে তুলে ধরে হাউগেন অভিযোগ তোলেন, প্রতিষ্ঠানটি মুনাফার লোভে ব্যবহারকারীদের ভালো-মন্দ অগ্রাহ্য করে যাচ্ছে। হাউগেনের কাছ থেকে পাওয়া নথিপত্রের ভিত্তিতে কথিত ‘ফেইসবুক ফাইলস’ সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র।
অন্যদিকে, ফেইসবুক দাবি করে আসছে, অভ্যন্তরীণ নথিপত্র ভুলভাবে উপস্থাপন করে প্রতিষ্ঠানটির একটি “ভুল চিত্রায়ন” হচ্ছে। শীর্ষ সামাজিক মাধ্যমটির দাবি, ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও গোপনতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে তাদের ৪০ হাজার কর্মী। এই খাতে এক হাজার ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের দাবিও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গত শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, তার প্রতিষ্ঠান ভুয়া তথ্যের প্রচার বন্ধে বদ্ধপরিকর এবং স্বাধীন তথ্য যাচাইকারীদের সঙ্গে কাজ করে তাদের প্রতিষ্ঠান। “ভুয়া তথ্যের প্রচার বন্ধে সার্বিকভাবে প্রযোজ্য এমন একক কোনো সমাধান নেই, কিন্তু আমরা এটি মোকাবেলা করতে আমরা নতুন নতুন টুল এবং নীতিমালা প্রয়োগে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ,”এক ইমেইল বিবৃতিতে বলেছেন মেটার মুখপাত্র ড্রু পুসাটেরি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মেটা’র বিরুদ্ধে তথ্য ফাঁসকারীর নতুন অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৯:৫৭:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : এবার বিনিয়োগকারীদের কাছে মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছে ফেইসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা’র বিরুদ্ধে। কোভিড-১৯ নিয়ে ভুয়া তথ্যের প্রচার আর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নিজেদের তৎপরতা নিয়ে মেটা বিনিয়োগকারীদের ভুল বুঝিয়েছে বলে নতুন দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি)’।
এসইসি-এর কাছে নতুন অভিযোগ দুটি এনেছে ‘‘হুইসেলব্লোয়ার এইড’ নামের একটি অলাভজনক সংগঠন। মেটা’র তথ্য ফাঁসকারী সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেনের প্রতিনিধিত্ব করছে সংগঠনটি। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেটের প্রতিবেদন বলছে, নতুন অভিযোগ দুটি আনা হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসেই।
সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, মেটা “তথ্য উপাত্ত ভুলভাবে উপস্থাপন” করেছে এবং বিনিয়োগকারীদের দেওয়া প্রতিবেদনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চেপে গেছে। এসইসি’র কাছে নতুন অভিযোগ দায়ের করার খবর নিশ্চিত করেছে ‘হুইসেলব্লোয়ার এইড’। প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিনিয়োগকারীদের সঠিক তথ্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি। “এসইসি’র কাছে জমা দেওয়া নথিপত্র থেকে এটা পরিষ্কার যে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড মিথ্যাচার মোকাবেলা প্রসঙ্গে ফেইসবুক ব্যক্তি পর্যায়ে এক কথা বলছিল এবং জনসমক্ষে বলছিল ভিন্ন কথা,” ইমেইল মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলেছেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ আইনজীবি অ্যান্ড্রু বাকাজ। তবে, এ প্রসঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছে এসইসি। মেটা’র বিরুদ্ধে নতুন যে দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে, তার মধ্যে একটি বলছে, ফেইসবুক কর্মকর্তারা জলবায়ু পরিবর্তনের “বৈশ্বিক সঙ্কট” সংশ্লিষ্ট ভুয়া তথ্যের প্রচার বন্ধে নিজেদের প্রতিশ্রুতির কথা বললেও প্ল্যাটফর্মটিতে এ ধরনের ভুয়া কনটেন্টের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয় মাত্রায়। দ্বিতীয় অভিযোগে সংগঠনটি বলছে, ফেইসবুকের কর্মকর্তারা কোভড মহামারী সংশ্লিষ্ট ভুয়া খবর ও মিথ্যাচারী কনটেন্ট বারবার মুছে দেওয়ার কথা বললেও প্রতিষ্ঠানটি অভ্যন্তরীণ নথিপত্র বলছে, প্ল্যাটফর্মটিতে ব্যাপকহারে ছড়িয়েছে কোভিড নিয়ে মিথ্যাচার।
বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং মিথ্যাচার মোকাবেলায় ফেইসবুক যথেষ্ট তৎপর নয়, এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। গেল বছর ফেইসবুককে আরো বিপদে ফেলেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন। অভ্যন্তরীণ গোপন নথিপত্র যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস এবং এসইসি’র কাছে তুলে ধরে হাউগেন অভিযোগ তোলেন, প্রতিষ্ঠানটি মুনাফার লোভে ব্যবহারকারীদের ভালো-মন্দ অগ্রাহ্য করে যাচ্ছে। হাউগেনের কাছ থেকে পাওয়া নথিপত্রের ভিত্তিতে কথিত ‘ফেইসবুক ফাইলস’ সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র।
অন্যদিকে, ফেইসবুক দাবি করে আসছে, অভ্যন্তরীণ নথিপত্র ভুলভাবে উপস্থাপন করে প্রতিষ্ঠানটির একটি “ভুল চিত্রায়ন” হচ্ছে। শীর্ষ সামাজিক মাধ্যমটির দাবি, ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও গোপনতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে তাদের ৪০ হাজার কর্মী। এই খাতে এক হাজার ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের দাবিও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গত শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, তার প্রতিষ্ঠান ভুয়া তথ্যের প্রচার বন্ধে বদ্ধপরিকর এবং স্বাধীন তথ্য যাচাইকারীদের সঙ্গে কাজ করে তাদের প্রতিষ্ঠান। “ভুয়া তথ্যের প্রচার বন্ধে সার্বিকভাবে প্রযোজ্য এমন একক কোনো সমাধান নেই, কিন্তু আমরা এটি মোকাবেলা করতে আমরা নতুন নতুন টুল এবং নীতিমালা প্রয়োগে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ,”এক ইমেইল বিবৃতিতে বলেছেন মেটার মুখপাত্র ড্রু পুসাটেরি।