ঢাকা ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

মেজর সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে

  • আপডেট সময় : ০২:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদ-ের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসেছে।
গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টের ডেসপাস শাখায় ডেথ রেফারেন্সটি পৌঁছেছে। সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছে
আলোচিত এ হত্যাকা-ের দেড় বছর পর গত ৩১ জানুয়ারি রায় দেওয়া হয়। ওইদিন বিকেল সোয়া চারটার দিকে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ ও পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদ- দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত ও পুলিশের তিন সোর্সসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়। দ-প্রাপ্ত আটজনের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদ-ও করা হয়। এছাড়া অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে এপিবিএনের তিন সদস্যসহ সাতজনকে। যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্তরা হলেন- পুলিশের এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, রুবেল শর্মা, মোহাম্মদ আইয়াজ আয়াছ, সাগর দেব, নুরুল আমিন এবং নিজাম উদ্দিন। খালাস পাওয়া সাতজন হলেন এপিবিএনের তিন সদস্য এসআই মো. শাহজাহান আলী, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, কনস্টেবল রাজিব হোসেন, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল ছাফানুল করিম, কনস্টেবল কামাল হোসাইন আজাদ কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত ৯টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা। এই হত্যাকা- দেশব্যাপী আলেঅড়ন সৃষ্টি করে। হত্যাকা-ের চার দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় টেকনাফের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করা হয়। চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ৮৩ জন সাক্ষীসহ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর দেড় বছর পর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মেজর সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে

আপডেট সময় : ০২:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদ-ের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসেছে।
গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টের ডেসপাস শাখায় ডেথ রেফারেন্সটি পৌঁছেছে। সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছে
আলোচিত এ হত্যাকা-ের দেড় বছর পর গত ৩১ জানুয়ারি রায় দেওয়া হয়। ওইদিন বিকেল সোয়া চারটার দিকে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ ও পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদ- দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত ও পুলিশের তিন সোর্সসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়। দ-প্রাপ্ত আটজনের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদ-ও করা হয়। এছাড়া অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে এপিবিএনের তিন সদস্যসহ সাতজনকে। যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্তরা হলেন- পুলিশের এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, রুবেল শর্মা, মোহাম্মদ আইয়াজ আয়াছ, সাগর দেব, নুরুল আমিন এবং নিজাম উদ্দিন। খালাস পাওয়া সাতজন হলেন এপিবিএনের তিন সদস্য এসআই মো. শাহজাহান আলী, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, কনস্টেবল রাজিব হোসেন, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল ছাফানুল করিম, কনস্টেবল কামাল হোসাইন আজাদ কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত ৯টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা। এই হত্যাকা- দেশব্যাপী আলেঅড়ন সৃষ্টি করে। হত্যাকা-ের চার দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় টেকনাফের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করা হয়। চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ৮৩ জন সাক্ষীসহ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর দেড় বছর পর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।