লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : জাটকা ইলিশ মাছ রক্ষায় লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় গতকাল সোমবার মধ্যরাত থেকে দুই মাস সব ধরনের মাছধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সময়ে ইলিশ মাছ ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য বিভাগ। নিষেধাজ্ঞাকালীন বিকল্প কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের আওতায় জেলায় এ বছর প্রায় ২৫ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। জাটকা রক্ষা ও ইলিশ মাছ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৬ সাল থেকে চাঁদপুরের ষাটনল হতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নি¤œ অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার নৌ-সীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই অভয়াশ্রম এলাকা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে। জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে মাছ ধরা বন্ধ রাখার জন্য জেলে পল্লিসহ মাছঘাট এলাকা এবং উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নানা ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। লিফলেট, পোস্টার ও মাইকিং করা হচ্ছে। মাছ ধরা প্রতিরোধের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, নিষিদ্ধ সময় জেলেদের মাছধরা থেকে বিরত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ওই সময় বিকল্প কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের আওতায় জেলায় এ বছর প্রায় ২৫ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে জেলেসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান তিনি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তোহিদুল ইসলাম জানান, দুই মাস মেঘনায় মাছ ধরা বন্ধ রাখার ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইন ভঙ্গ করে নদীতে মাছ ধরার চেষ্টা করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।