ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

মৃত ব্ল্যাক হোলের সংকেত পেলেন বিজ্ঞানীরা

  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ব্ল্যাক হোল শব্দের অর্থ কালো গর্ত। মহাশূন্যের এক অনন্ত বিস্ময়। একে এই নামকরণ করার পেছনে কারণ হল এটি এর নিজের দিকে আসা সকল আলোক রশ্মিকে শুষে নেয়। থেকে কোন আলোক বিন্দুই ফিরে আসতে পারে না ঠিক থার্মোডায়নামিক্সের কালো বস্তুর মতো।
ছায়াপথের কালো হৃদয়ে শায়িত বিরাট ব্ল্যাক হোলগুলোর মধ্যে ঢুকে যেতে পারে লক্ষ লক্ষ সূর্যের সমান ভর! কিন্তু কী করে মৃত্যু হয় ব্ল্যাক হোলগুলোর। এবার সেসম্পর্কে এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলেন বিজ্ঞানীরা।
ব্ল্যাক হোলের একটি বিশেষ শ্রেণিকে অ্যাকটিভ গ্যালাক্টিক নিউক্লেই (এজিএন) নামে ডাকেন বিজ্ঞানীরা। এদের বৈশিষ্ট্যই হল তাদের শরীর থেকে এক্স রে জাতীয় বিকিরণ ও রেডিও তরঙ্গ নির্গত হয়। কিন্তু এই মহাবিশ্বের অমর কেউই নয়। পরাক্রমশালী ব্ল্যাক হোলেরও শেষ আছে। সেটা বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই জানেন। কিন্তু ঠিক কখন ও কেমন করে তাদের মৃত্যু হয়, তা আজও বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি। জাপানের তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী কোহেই ইচিকাওয়ার নেতৃত্বে গবেষণা করতে নেমে এক গবেষক দল একটি সূত্র পেয়েছে। সুদূরে অবস্থিত এআরপি১৮৭ ছায়াপথে তারা এমন এক এজিএন ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়েছেন, যেটি মৃতপ্রায়। ৩ হাজার আলোকবর্ষ দূর থেকে ভেসে আসা তরঙ্গ থেকে এ ব্যাপারে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন তারা। এআরপি১৮৭ ছায়াপথে অবস্থিত ব্ল্যাকহোলটির অবস্থাকে তারা বর্ণনা করেছেন লাইট ইকো হিসেবে। এই ব্ল্যাক হোলটির শরীর থেকে যে বিকিরণ বেরতে দেখা গিয়েছে, তা অনেকটাই নিভন্ত চুলা থেকে নির্গত হওয়া মৃদু ধোঁয়ার মতো। যা থেকে পরিষ্কার, নির্জীব হয়ে পড়ছে ব্ল্যাক হোলটি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মৃত ব্ল্যাক হোলের সংকেত পেলেন বিজ্ঞানীরা

আপডেট সময় : ০৮:০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : ব্ল্যাক হোল শব্দের অর্থ কালো গর্ত। মহাশূন্যের এক অনন্ত বিস্ময়। একে এই নামকরণ করার পেছনে কারণ হল এটি এর নিজের দিকে আসা সকল আলোক রশ্মিকে শুষে নেয়। থেকে কোন আলোক বিন্দুই ফিরে আসতে পারে না ঠিক থার্মোডায়নামিক্সের কালো বস্তুর মতো।
ছায়াপথের কালো হৃদয়ে শায়িত বিরাট ব্ল্যাক হোলগুলোর মধ্যে ঢুকে যেতে পারে লক্ষ লক্ষ সূর্যের সমান ভর! কিন্তু কী করে মৃত্যু হয় ব্ল্যাক হোলগুলোর। এবার সেসম্পর্কে এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলেন বিজ্ঞানীরা।
ব্ল্যাক হোলের একটি বিশেষ শ্রেণিকে অ্যাকটিভ গ্যালাক্টিক নিউক্লেই (এজিএন) নামে ডাকেন বিজ্ঞানীরা। এদের বৈশিষ্ট্যই হল তাদের শরীর থেকে এক্স রে জাতীয় বিকিরণ ও রেডিও তরঙ্গ নির্গত হয়। কিন্তু এই মহাবিশ্বের অমর কেউই নয়। পরাক্রমশালী ব্ল্যাক হোলেরও শেষ আছে। সেটা বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই জানেন। কিন্তু ঠিক কখন ও কেমন করে তাদের মৃত্যু হয়, তা আজও বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি। জাপানের তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী কোহেই ইচিকাওয়ার নেতৃত্বে গবেষণা করতে নেমে এক গবেষক দল একটি সূত্র পেয়েছে। সুদূরে অবস্থিত এআরপি১৮৭ ছায়াপথে তারা এমন এক এজিএন ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়েছেন, যেটি মৃতপ্রায়। ৩ হাজার আলোকবর্ষ দূর থেকে ভেসে আসা তরঙ্গ থেকে এ ব্যাপারে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন তারা। এআরপি১৮৭ ছায়াপথে অবস্থিত ব্ল্যাকহোলটির অবস্থাকে তারা বর্ণনা করেছেন লাইট ইকো হিসেবে। এই ব্ল্যাক হোলটির শরীর থেকে যে বিকিরণ বেরতে দেখা গিয়েছে, তা অনেকটাই নিভন্ত চুলা থেকে নির্গত হওয়া মৃদু ধোঁয়ার মতো। যা থেকে পরিষ্কার, নির্জীব হয়ে পড়ছে ব্ল্যাক হোলটি।