ঢাকা ১২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

মৃত্যুর গুজব উড়িয়ে দেখা দিলেন তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা

  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা নির্জনতা ভেঙে প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে হাজির হয়েছেন। গতকাল রোববার তালেবান বলছে, তার এই বিরল উপস্থিতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া মৃত্যুর গুজবকে উড়িয়ে দিয়েছে।
তালেবানের সর্বোচ্চ ও আধ্যাত্মিক নেতা অথবা আমির উল মুমিনিন হিসেবে পরিচিত হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। গত আগস্টে তালেবান দেশটির ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাকে জনসম্মুখে কখনোই দেখা যায়নি। এ নিয়ে সেপ্টেম্বরের শেষের ব্রিটেনের একটি সংবাদমাধ্যমে আখুন্দজাদা তালেবানের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারা গেছেন বলে দাবি করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে থাকায় সেই গুঞ্জন চারদিকে ডালপালা ছড়াতে থাকে।
জনসম্মুখে আসার সময় হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার সঙ্গে ছিলেন তালেবানের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি রয়টার্সকে বলেছেন, গত শনিবার কান্দাহারের জামিয়া দারুল উলুম হাকিমিয়া মাদরাসা পরিদর্শন করেছেন সর্বোচ্চ নেতা।
যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক বাহিনী আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর গত আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান। ইসলামি কট্টরপন্থী এই গোষ্ঠী সেপ্টেম্বরে দেশটির অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন করে। এই গোষ্ঠীর সর্বোচ্চ নেতা রহস্যময় হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা; ২০১৬ সাল থেকে তালেবানের রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সামরিক বিষয়ে চূড়ান্ত কর্তৃত্বের অধিকারী হিসেবে এই পদে আছেন তিনি।
যদিও তালেবানের কিছু কর্মকর্তা বলেছেন, আখুন্দজাদা কোনও ধরনের প্রচারণা ছাড়াই অতীতে জনসম্মুখে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে থাকা হাইবাতুল্লাহর এবারই প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে আসার তথ্য নিশ্চিত করেছে তালেবান। তালেবানের সর্বোচ্চ এই নেতার একটি মাত্র ছবির সত্যতা যাচাই করতে সক্ষম হয়েছে; যে ছবিটি ২০১৬ সালের মে মাসে তালেবানের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করা হয়। ছায়াময় অস্তিত্ব তার অবস্থান এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধ্রুবক জল্পনা সৃষ্টি করেছে।
তালেবানের এই নেতার ছায়াময় অস্তিত্ব তার অবস্থান এবং স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বারবার জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে। তালেবান নেতাদের ব্যাপারে এতটাই গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয় যে, ২০১৩ সালে তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের মৃত্যুর দুই বছর পর তা স্বীকার করা হয়। ওমরের মৃত্যুর তথ্য তার ছেলে প্রথম প্রকাশ্যে স্বীকার করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মৃত্যুর গুজব উড়িয়ে দেখা দিলেন তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা

আপডেট সময় : ১১:৫৫:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা নির্জনতা ভেঙে প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে হাজির হয়েছেন। গতকাল রোববার তালেবান বলছে, তার এই বিরল উপস্থিতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া মৃত্যুর গুজবকে উড়িয়ে দিয়েছে।
তালেবানের সর্বোচ্চ ও আধ্যাত্মিক নেতা অথবা আমির উল মুমিনিন হিসেবে পরিচিত হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। গত আগস্টে তালেবান দেশটির ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাকে জনসম্মুখে কখনোই দেখা যায়নি। এ নিয়ে সেপ্টেম্বরের শেষের ব্রিটেনের একটি সংবাদমাধ্যমে আখুন্দজাদা তালেবানের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারা গেছেন বলে দাবি করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে থাকায় সেই গুঞ্জন চারদিকে ডালপালা ছড়াতে থাকে।
জনসম্মুখে আসার সময় হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার সঙ্গে ছিলেন তালেবানের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি রয়টার্সকে বলেছেন, গত শনিবার কান্দাহারের জামিয়া দারুল উলুম হাকিমিয়া মাদরাসা পরিদর্শন করেছেন সর্বোচ্চ নেতা।
যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক বাহিনী আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর গত আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান। ইসলামি কট্টরপন্থী এই গোষ্ঠী সেপ্টেম্বরে দেশটির অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন করে। এই গোষ্ঠীর সর্বোচ্চ নেতা রহস্যময় হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা; ২০১৬ সাল থেকে তালেবানের রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সামরিক বিষয়ে চূড়ান্ত কর্তৃত্বের অধিকারী হিসেবে এই পদে আছেন তিনি।
যদিও তালেবানের কিছু কর্মকর্তা বলেছেন, আখুন্দজাদা কোনও ধরনের প্রচারণা ছাড়াই অতীতে জনসম্মুখে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে থাকা হাইবাতুল্লাহর এবারই প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে আসার তথ্য নিশ্চিত করেছে তালেবান। তালেবানের সর্বোচ্চ এই নেতার একটি মাত্র ছবির সত্যতা যাচাই করতে সক্ষম হয়েছে; যে ছবিটি ২০১৬ সালের মে মাসে তালেবানের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করা হয়। ছায়াময় অস্তিত্ব তার অবস্থান এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধ্রুবক জল্পনা সৃষ্টি করেছে।
তালেবানের এই নেতার ছায়াময় অস্তিত্ব তার অবস্থান এবং স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বারবার জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে। তালেবান নেতাদের ব্যাপারে এতটাই গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয় যে, ২০১৩ সালে তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের মৃত্যুর দুই বছর পর তা স্বীকার করা হয়। ওমরের মৃত্যুর তথ্য তার ছেলে প্রথম প্রকাশ্যে স্বীকার করেন।