ঢাকা ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

মৃতদেহের সঙ্গে চার ঘণ্টা

  • আপডেট সময় : ০৮:২০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : বিমানে হঠাৎ মৃত্যু হওয়া এক নারীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় বসে থাকতে বাধ্য করার অভিযোগ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক দম্পতি। তারা কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমানে মেলবোর্ন থেকে দোহায় যাচ্ছিলেন। ওই সময় তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। তারা জানিয়েছেন, মৃত ওই নারীকে তাদের পাশে এনে বসানো হয়। আর সেই মৃতদেহের সঙ্গে দীর্ঘ চার ঘণ্টা ভ্রমণ করতে হয়েছে তাদের। এমনকি বিমানটি অবতরণ করার পরও তাদের মরদেহের সঙ্গেই বসে থাকতে হয়েছে।

মাইকেল রিং এবং জেনিফার কলিন নামের এ দম্পতি এক টিভি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, অজ্ঞাত এক নারী যাত্রী বিমানে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই নারীকে বাঁচানো যায়নি। মাইকেল রিং বলেছেন, “এমন বিষয় প্রত্যক্ষ করাই ছিল কষ্টের। ক্রুরা নারীর মরদেহটি বিজনেস ক্লাসের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তার দেহের আকার বড় হওয়ায় নেওয়া সম্ভব হয়নি।” এতে যেন ক্রুরা কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়, এমনটি দাবি করে মাইকেল রিং বলেন, “ক্ষুব্ধ ফ্লাইট ক্রুরা আমাকে একটু সরে যেতে বলে, যেন মরদেহটি আমার পাশে বসানো যায়। ‘তারা বলেন, আপনি কি দয়া করে একটু সরতে পারবেন।

আমি বলি হ্যাঁ, সমস্যা নেই।’ এরপর ওই মৃত নারীকে আমি যে আসনে বসা ছিলাম সেটিতে বসিয়ে দেয়। কম্বল দিয়ে ঢেকে দেওয়া ওই মরদেহের সঙ্গে আমি দীর্ঘ চার ঘণ্টা বসে ছিলাম।” এই দম্পতির মূল যাত্রা ছিল ইতালির ভেনিস শহর। তারা নিজেদের উজ্জীবিত করতে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। এরমধ্যে পড়েছেন এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতায়। মাইকেল রিং জানিয়েছেন, বিমানটি অবতরণ করার পরও তাদের নিজ আসনে বসে থাকতে বলা হয়, যেন স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে মরদেহটি নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করতে পারিনি, তারা আমাকে আরও বসে থাকতে বলছিল। এটি অবশ্যই সুন্দর ছিল না।” সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মৃতদেহের সঙ্গে চার ঘণ্টা

আপডেট সময় : ০৮:২০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক : বিমানে হঠাৎ মৃত্যু হওয়া এক নারীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় বসে থাকতে বাধ্য করার অভিযোগ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক দম্পতি। তারা কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমানে মেলবোর্ন থেকে দোহায় যাচ্ছিলেন। ওই সময় তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। তারা জানিয়েছেন, মৃত ওই নারীকে তাদের পাশে এনে বসানো হয়। আর সেই মৃতদেহের সঙ্গে দীর্ঘ চার ঘণ্টা ভ্রমণ করতে হয়েছে তাদের। এমনকি বিমানটি অবতরণ করার পরও তাদের মরদেহের সঙ্গেই বসে থাকতে হয়েছে।

মাইকেল রিং এবং জেনিফার কলিন নামের এ দম্পতি এক টিভি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, অজ্ঞাত এক নারী যাত্রী বিমানে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই নারীকে বাঁচানো যায়নি। মাইকেল রিং বলেছেন, “এমন বিষয় প্রত্যক্ষ করাই ছিল কষ্টের। ক্রুরা নারীর মরদেহটি বিজনেস ক্লাসের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তার দেহের আকার বড় হওয়ায় নেওয়া সম্ভব হয়নি।” এতে যেন ক্রুরা কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়, এমনটি দাবি করে মাইকেল রিং বলেন, “ক্ষুব্ধ ফ্লাইট ক্রুরা আমাকে একটু সরে যেতে বলে, যেন মরদেহটি আমার পাশে বসানো যায়। ‘তারা বলেন, আপনি কি দয়া করে একটু সরতে পারবেন।

আমি বলি হ্যাঁ, সমস্যা নেই।’ এরপর ওই মৃত নারীকে আমি যে আসনে বসা ছিলাম সেটিতে বসিয়ে দেয়। কম্বল দিয়ে ঢেকে দেওয়া ওই মরদেহের সঙ্গে আমি দীর্ঘ চার ঘণ্টা বসে ছিলাম।” এই দম্পতির মূল যাত্রা ছিল ইতালির ভেনিস শহর। তারা নিজেদের উজ্জীবিত করতে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। এরমধ্যে পড়েছেন এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতায়। মাইকেল রিং জানিয়েছেন, বিমানটি অবতরণ করার পরও তাদের নিজ আসনে বসে থাকতে বলা হয়, যেন স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে মরদেহটি নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করতে পারিনি, তারা আমাকে আরও বসে থাকতে বলছিল। এটি অবশ্যই সুন্দর ছিল না।” সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট