ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কে রেখেই ২০২৪-এর বিদায়

  • আপডেট সময় : ০৬:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে সামান্য কমলেও দুই অংকের মূল্যস্ফীতি নিয়েই ২০২৪ সাল শেষ করেছে বাংলাদেশ।

বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।

এর মানে হল, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১১০ টাকা ৮৯ পয়সা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সোমবার (৬ জানুয়ারি) সার্বিক মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

২০২৪ সালের শুরুতে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার সরকার গঠনের পর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মৎস্য, কৃষি, খাদ্য, বাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রণালয়ের সংযোগে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছিল; তাতে লাভ হয়নি।

জানুয়ারি থেকে ৯ শতাংশের উপরে থাকা মূল্যস্ফীতির হার সরকার পতনের আন্দোলনের উত্তাপে জুলাই শেষে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে পৌঁছায়। অগাস্টে তা কিছুটা কমে ১০.৪৯ শতাংশ হয়।

সেপ্টেম্বরের মূল্যস্ফীতির হিসাব যখন বের হয় ততদিনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়ে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায়। সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ হলেও অক্টোবরে তা আবার দুই অংকের ঘর ছাড়ায়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন । মুদ্রা সরবরাহে লাগাম দিতে বারবার সুদের হার বাড়ানো হয়। কিন্তু নিত্যপণ্যের বাজারে সুফল মেলেনি।

চড়তে থাকা মূল্যস্ফীতির হার নভেম্বরে আরও বেড়ে অক্টোবরে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং নভেম্বরে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে পৌঁছায়।

সেই হিসাবে ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমলেও পুরো বছরের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) গড় মূল্যস্ফীতি ঠিকই দুই অঙ্কের ঘরে রয়ে গেছে।

গেল বছর সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ; যা ২০২৩ সালে ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ ছিল।

বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত খাতেও মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে। তবে খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতির হার এখনো ১৩ শতাংশের কাছাকাছি রয়ে গেছে।

খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা নভেম্বরে ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।

আর খাদ্য বহির্ভূত খাতে নভেম্বরের ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ থেকে কমে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ হয়েছে ডিসেম্বরে। শহর এলাকার চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার এখনো বেশি। ডিসেম্বরে গ্রামীণ পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১১ দশমিক ০৯ শতাংশ, যা নভেম্বরে ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ ছিল। আর শহর এলাকায় নভেম্বরের ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ থেকে কমে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কে রেখেই ২০২৪-এর বিদায়

আপডেট সময় : ০৬:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে সামান্য কমলেও দুই অংকের মূল্যস্ফীতি নিয়েই ২০২৪ সাল শেষ করেছে বাংলাদেশ।

বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।

এর মানে হল, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১১০ টাকা ৮৯ পয়সা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সোমবার (৬ জানুয়ারি) সার্বিক মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

২০২৪ সালের শুরুতে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার সরকার গঠনের পর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মৎস্য, কৃষি, খাদ্য, বাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রণালয়ের সংযোগে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছিল; তাতে লাভ হয়নি।

জানুয়ারি থেকে ৯ শতাংশের উপরে থাকা মূল্যস্ফীতির হার সরকার পতনের আন্দোলনের উত্তাপে জুলাই শেষে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে পৌঁছায়। অগাস্টে তা কিছুটা কমে ১০.৪৯ শতাংশ হয়।

সেপ্টেম্বরের মূল্যস্ফীতির হিসাব যখন বের হয় ততদিনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়ে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায়। সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ হলেও অক্টোবরে তা আবার দুই অংকের ঘর ছাড়ায়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন । মুদ্রা সরবরাহে লাগাম দিতে বারবার সুদের হার বাড়ানো হয়। কিন্তু নিত্যপণ্যের বাজারে সুফল মেলেনি।

চড়তে থাকা মূল্যস্ফীতির হার নভেম্বরে আরও বেড়ে অক্টোবরে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং নভেম্বরে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে পৌঁছায়।

সেই হিসাবে ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমলেও পুরো বছরের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) গড় মূল্যস্ফীতি ঠিকই দুই অঙ্কের ঘরে রয়ে গেছে।

গেল বছর সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ; যা ২০২৩ সালে ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ ছিল।

বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত খাতেও মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে। তবে খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতির হার এখনো ১৩ শতাংশের কাছাকাছি রয়ে গেছে।

খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা নভেম্বরে ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।

আর খাদ্য বহির্ভূত খাতে নভেম্বরের ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ থেকে কমে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ হয়েছে ডিসেম্বরে। শহর এলাকার চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার এখনো বেশি। ডিসেম্বরে গ্রামীণ পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১১ দশমিক ০৯ শতাংশ, যা নভেম্বরে ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ ছিল। আর শহর এলাকায় নভেম্বরের ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ থেকে কমে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ।